Report a question
3 / 50
3. ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
EXPLANATION:
ম্যালোরয়া একটি পরজীবী। ম্যালেরিয়া পরজীবীর নাম প্লাজমোডিয়াম।
অন্যান্য অপশন সম্পর্কিত তথ্য: সঠিক উত্তর ব্যতীত বাকি অপশনগুলোর পোস্টমর্টেম:
ভাইরাস ঘটিত রোগসমূহ
AIDS (রোগ নয়, লক্ষ্মণ সমষ্টি), ডেঙ্গু, জলাতঙ্ক, গুটি বসন্ত, হাম, পোলিওমাইলাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস, ভাইরাল হেপাটাইটিস, চিকুনগুনিয়া, Swine flue, SARS, জলবসন্ত (Chicken Pox), ভাইরাল নিউমোনিয়া, কোষের লাইসিস (Lysis), সাধারণ সর্দি, জন্ডিস বা লিভার ক্যান্সার, পীত জ্বর, গো-বসন্ত, পা ও মুখের ক্ষত (ফুট অ্যান্ড মাউথ), ইঁদুরের টিউমার, ক্যাপোসি সার্কোমা, এনোজেনিটাল ক্যান্সার, বার্ড ফ্লু, পোলিও ইত্যাদি।
5 / 50
EXPLANATION:
S (A) Why বর্তমানে সময়ে খাবার সংরক্ষণের ভাইরাস ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্যাথোজেন বস্ততে ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাস অনুপ্রবেশ করার মাধ্যমে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দমন করা হচ্ছে। এমন ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাস মূল্যে মানবদেহের বিরুদ্ধে প্রভাব রাখে না।
ভাইরাসের উপকারিতা:
টিকা হিসেবে বসন্ত, পোলিও, জলাতঙ্ক, প্লেগ, হেপাটাইটিস বা ভিন্ন রোগের টিকা উৎপন্ন হয়।
অস্ত্র হিসেবে কলেরা, টাইফয়েড, আমাশা, প্লেগ ইত্যাদি রোগের অস্ত্র তৈরিতে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভাইরাসের আক্রমণে পাতা ডিটিপ্লে হলে পাতা কালো পড়ে। একে ব্লেকেন টিপ্লিং বলে।
পতঙ্গনাশক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে NPV (Nuclear Polyhydrosis Virus) কে পতঙ্গনাশক হিসেবে প্রয়োগ করা হয়।
স্বকল্পিত নিয়ন্ত্রণে অণুজীবজাতীয় Myxovirus ব্যবহার হয়।
জীন প্রকল্পনে বাইরে থেকে ভাইরাস ব্যবহার হয়।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাস ব্যবহার হয়।
17 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু ভাইরাস-“
এই প্রশ্নটি ডেঙ্গু ভাইরাসের ধরন সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ডেঙ্গু ভাইরাস হলো এক ধরনের আরএনএ ভাইরাস যা মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় এবং ডেঙ্গু রোগের কারণ হয়। এই ভাইরাসের ধারণাটি ভাইরোলজি এবং সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অপশন বিশ্লেষণ:
TIV:
ভুল অপশন: TIV সাধারণত ট্রাইভ্যালেন্ট ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনকে বোঝায়, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এটি ডেঙ্গু ভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত নয়। সুতরাং, এটি ভুল অপশন।
DNA ভাইরাস:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস, ডিএনএ ভাইরাস নয়। ডিএনএ ভাইরাসের মধ্যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস একটি উদাহরণ হতে পারে। ডেঙ্গু ভাইরাস আরএনএ জেনেটিক উপাদান নিয়ে গঠিত, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
RNA ভাইরাস:
সঠিক অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস, যার জেনেটিক উপাদান রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (RNA) দিয়ে তৈরি। এটি মূলত চারটি সেরোটাইপে (DENV-1, DENV-2, DENV-3, DENV-4) বিভক্ত। সুতরাং, এটি সঠিক উত্তর।
T2 ভাইরাস:
ভুল অপশন: T2 ভাইরাস হলো ব্যাকটেরিওফাজের একটি ধরন, যা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এটি ডেঙ্গু ভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই, এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকার সঠিকভাবে চিহ্নিত করা শিক্ষার্থীদের ভাইরাস এবং তাদের সংক্রমণ সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াতে সহায়ক। ডেঙ্গু ভাইরাস আরএনএ ভাইরাস হওয়ায় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হবে “RNA ভাইরাস।” এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের সংক্রামক রোগ এবং ভাইরাসের ধরনের উপর জ্ঞান যাচাই করতে সহায়ক।
18 / 50
18.
HIV রক্তের কোনটিকে আক্রমণ করে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “HIV রক্তের কোনটিকে আক্রমণ করে?”
এই প্রশ্নটি HIV (Human Immunodeficiency Virus) ভাইরাসের প্রভাব সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। HIV ভাইরাসটি মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, যা অ্যান্টিভাইরাল প্রতিরোধ ব্যবস্থা ধ্বংস করে। এই ভাইরাসটি শরীরের কিছু বিশেষ কোষকে আক্রমণ করে এবং তাদের ধ্বংস করে, যার ফলে শরীর ধীরে ধীরে সংক্রমণ এবং অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হারায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
লোহিত রক্ত কণিকা (Red Blood Cells):
ভুল অপশন: লোহিত রক্ত কণিকা শরীরে অক্সিজেন বহন করে, তবে HIV ভাইরাস লোহিত রক্ত কণিকাকে আক্রমণ করে না। তাই, এটি সঠিক উত্তর নয়।
শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells):
সঠিক অপশন: HIV ভাইরাস মূলত শ্বেত রক্ত কণিকার একটি বিশেষ ধরনের কোষকে আক্রমণ করে, যাকে T-helper cell (CD4 cells) বলা হয়। এই কোষগুলি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। HIV ভাইরাস এই কোষগুলিকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেলে। সুতরাং, এটি সঠিক উত্তর।
অনুচক্রিকা (Platelets):
ভুল অপশন: অনুচক্রিকা রক্তের জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু HIV ভাইরাস অনুচক্রিকাকে আক্রমণ করে না। তাই, এটি সঠিক উত্তর নয়।
রক্ত রস (Plasma):
ভুল অপশন: রক্ত রস হলো রক্তের তরল অংশ, যা পুষ্টি, হরমোন, এবং প্রোটিন বহন করে। HIV ভাইরাস সরাসরি রক্ত রস আক্রমণ করে না। তাই, এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি HIV ভাইরাসের প্রভাব এবং মানব শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর তার আক্রমণের প্রকৃতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর হলো “শ্বেত রক্ত কণিকা,” কারণ HIV ভাইরাস শ্বেত রক্ত কণিকার T-helper cell (CD4 cells) কে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে, যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
19 / 50
19.
কোন অণুজীবটি সাধারণত অ্যান্টিবায়ােটিক প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয় না?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন অণুজীবটি সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয় না?”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং এতে ব্যবহৃত অণুজীব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করতে চায়। অ্যান্টিবায়োটিক হল এমন একটি পদার্থ যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বা ধ্বংসের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি প্রধানত ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস দ্বারা উৎপাদিত হয়। প্রশ্নের লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞান যাচাই করা যে কোন অণুজীবটি সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় না, কারণ এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Bacillus:
ভুল অপশন: Bacillus হল একটি রড-আকৃতির ব্যাকটেরিয়া যা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়, যেমন পলিমাইক্সিন, ব্যাসিট্রাসিন ইত্যাদি। Bacillus মূলত মাটিতে পাওয়া যায় এবং এটি বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, এই অপশনটি সঠিক নয় কারণ Bacillus অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
Streptomyces:
ভুল অপশন: Streptomyces হল মাটিতে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়ার একটি প্রজাতি, যা থেকে স্ট্রেপ্টোমাইসিন, টেট্রাসাইক্লিন, এরিথ্রোমাইসিনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অণুজীব। তাই, এটি সঠিক উত্তর হতে পারে না কারণ এটি অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
E.coli:
সঠিক অপশন: E.coli (Escherichia coli) হল মানুষের অন্ত্রে বসবাসকারী একটি ব্যাকটেরিয়া, যা সাধারণত জিনগত গবেষণা এবং প্রোটিন উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে, এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় না। E.coli প্রধানত ল্যাবরেটরিতে গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে এর কোনও ভূমিকা নেই। সুতরাং, এটি সঠিক উত্তর।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের প্রক্রিয়া এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অণুজীব সম্পর্কে তাদের জ্ঞান পরীক্ষা করতে সহায়ক। Bacillus এবং Streptomyces হল দুটি সাধারণ অণুজীব যা থেকে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়। অন্যদিকে, E.coli সাধারণত গবেষণার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় না। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো “E.coli,” এবং এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট অণুজীব সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাবে।
20 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ভাইরাস”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের প্রকারভেদ এবং বিভিন্ন উদাহরণ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাস হলো জীবাণু, যা প্রোটিন কোটে আবদ্ধ একটি নিউক্লিক অ্যাসিড দ্বারা গঠিত এবং শুধুমাত্র জীবিত কোষের মধ্যে প্রতিলিপি করতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
HIV:
ভুল অপশন:
HIV (Human Immunodeficiency Virus) হলো এক ধরনের ভাইরাস, যা মানবদেহের ইমিউন সিস্টেমকে আক্রমণ করে এবং AIDS রোগ সৃষ্টি করে। যদিও HIV একটি ভাইরাস, এই প্রশ্নে এটি সঠিক উত্তর নয় কারণ প্রশ্নটি ভাইরাসের বিভিন্ন উদাহরণ যাচাই করছে এবং এখানে TMV (Tobacco Mosaic Virus) সঠিক উত্তর হিসেবে উল্লেখযোগ্য।
Influenza:
ভুল অপশন:
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায় এবং ফ্লু রোগ সৃষ্টি করে। এটি একটি সাধারণ ভাইরাস যা প্রতি বছর প্রচুর মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই অপশনটিও ভুল কারণ TMV এখানে সঠিক উত্তর।
TMV:
সঠিক অপশন:
TMV (Tobacco Mosaic Virus) হলো প্রথম আবিষ্কৃত ভাইরাস, যা তামাক গাছের পাতায় মোজাইক রোগ সৃষ্টি করে। এটি উদ্ভিদের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করার জন্য পরিচিত এবং ভাইরাসের বিষয়ে মৌলিক ধারণা পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই অপশনটি সঠিক।
নোট:
ভাইরাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের গভীর ধারণা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বিভিন্ন ভাইরাসের উদাহরণ ও তাদের সংক্রমণের ধরন সম্পর্কে। TMV ভাইরাসের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ, কারণ এটি প্রথম আবিষ্কৃত ভাইরাস এবং এটি উদ্ভিদের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করে। সঠিক উত্তর হলো “TMV,” যা ভাইরাসের প্রথম আবিষ্কৃত উদাহরণ নির্দেশ করে।
21 / 50
21.
ডেঙ্গু ভাইরাসের আকৃতি কেমন?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু ভাইরাসের আকৃতি কেমন?”
এই প্রশ্নটি মূলত ডেঙ্গু ভাইরাসের শারীরিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীর জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু ভাইরাস একটি RNA ভাইরাস, যা ফ্ল্যাভিভিরিডি (Flaviviridae) পরিবারের অন্তর্গত। এর আকার গোলাকার, এবং এই বৈশিষ্ট্যটি ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে নির্ধারণ করা হয়। প্রশ্নটি তৈরি করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থী ভাইরাসের আকার সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারে এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের ক্ষেত্রে গোলাকার আকৃতির সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
গোলাকার:
সঠিক উত্তর: ডেঙ্গু ভাইরাসের আকৃতি গোলাকার, যা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। এই অপশনটি সঠিক উত্তর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক জ্ঞান সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে এই অপশনটি রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের ক্ষেত্রে গোলাকার আকৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
দন্ডাকার:
ভুল অপশন: দন্ডাকার আকৃতি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা কিছু নির্দিষ্ট ভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ব্যাকটেরিয়া ই-কোলাই দন্ডাকার আকৃতির হয়। কিন্তু ডেঙ্গু ভাইরাস দন্ডাকার নয়। এই অপশনটি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য রাখা হয়েছে, যা তাদের জানার গভীরতা পরিমাপ করতে সাহায্য করে।
ডিস্কাকার:
ভুল অপশন: ডিস্কাকার আকৃতি সাধারণত লাল রক্তকণিকার ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিছু ভাইরাসও ডিস্কাকার হতে পারে, কিন্তু ডেঙ্গু ভাইরাস এই আকৃতির নয়। এই অপশনটি শিক্ষার্থীদের সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য দেয়া হয়েছে, যাতে তারা সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারে এবং গোলাকার আকৃতির সঠিক উত্তরে পৌঁছাতে পারে।
ঘনক্ষেত্রাকার:
ভুল অপশন: ঘনক্ষেত্রাকার আকৃতি সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট ভাইরাস বা অন্যান্য মাইক্রোস্কোপিক অংশের ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিন্তু ডেঙ্গু ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে এই অপশনটি রাখা হয়েছে, যাতে তারা সঠিক উত্তরটি বেছে নিতে পারে।
নোট:
এই প্রশ্ন এবং এর অপশনগুলি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের আকার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান এবং বোঝাপড়া গড়ে তুলতে সহায়ক। সঠিক উত্তর গোলাকার , যা ডেঙ্গু ভাইরাসের বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত আকার। ভুল অপশনগুলি শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে সঠিক উত্তরের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে, এবং একই সঙ্গে তাদের চিন্তাশক্তি উন্নত করে। এভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের উত্তরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে এবং বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে শিখে।
22 / 50
22.
নিচের কোনটি সংক্রামক ব্যাধি ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি সংক্রমক ব্যাধি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের সংক্রমণযোগ্য এবং অসংক্রমণযোগ্য রোগ সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সংক্রমক ব্যাধি হলো সেই সব রোগ যা জীবাণুর দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের সংক্রমণযোগ্য রোগ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক।
অপশন বিশ্লেষণ:
যক্ষ্মা:
সঠিক উত্তর: যক্ষ্মা (টিবি) একটি সংক্রমক ব্যাধি, যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি সাধারণত ফুসফুসকে আক্রমণ করে এবং এটি বাতাসের মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়াতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ:
ভুল অপশন: উচ্চ রক্তচাপ একটি অসংক্রমণযোগ্য রোগ। এটি সাধারণত হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণের কারণে হয় না।
ডায়াবেটিস:
ভুল অপশন: ডায়াবেটিসও একটি অসংক্রমণযোগ্য রোগ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি কোনো সংক্রমণের কারণে হয় না।
রেইন স্ট্রোক:
ভুল অপশন: রেইন স্ট্রোক একটি অসংক্রমণযোগ্য সমস্যা, যা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের বাধার কারণে ঘটে। এটি সংক্রমণজনিত রোগ নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সংক্রমণযোগ্য এবং অসংক্রমণযোগ্য রোগের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানতে পারবে। সঠিক উত্তর যক্ষ্মা , যা একটি সংক্রমক ব্যাধি এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট হয়। এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায় এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
23 / 50
23.
কোনটি পানি বাহিত রোগ ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি পানি বাহিত রোগ?”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পানি বাহিত রোগ বলতে সেইসব রোগকে বোঝানো হয়, যেগুলি সংক্রামিত পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের রোগের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া একটি মশাবাহিত রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
লেপ্রসি:
ভুল অপশন: লেপ্রসি একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত রোগ, যা প্রধানত ত্বক এবং স্নায়ুকে আক্রমণ করে। এটি সাধারণত মানুষের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এবং পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না। তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
টাইফয়েড:
সঠিক অপশন: টাইফয়েড একটি পানি বাহিত রোগ, যা স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়। এই রোগটি প্রধানত দূষিত পানি বা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এটি সঠিক উত্তর।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের পানি বাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়ক। পানি বাহিত রোগগুলি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে থাকে, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশে যেখানে সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা এবং স্যানিটেশন সুবিধা কম। সঠিক উত্তর হলো “টাইফয়েড,” কারণ এটি একটি পানি বাহিত রোগ যা দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়।
24 / 50
24.
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু জ্বর এবং এর কারণ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা বিশেষত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু ভাইরাসের সঠিক শ্রেণিবিন্যাস এবং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Rhino virus:
ভুল অপশন: Rhino virus সাধারণত সর্দি-কাশির জন্য দায়ী, যা সাধারণ ঠান্ডা বা ফ্লুর কারণ হতে পারে। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী নয়।
Variola virus:
ভুল অপশন: Variola virus হলো গুটি বসন্তের (smallpox) জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের সাথে সম্পর্কিত নয়।
Flavi virus:
সঠিক উত্তর: Flavi virus ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি ফ্ল্যাভিভিরিডি (Flaviviridae) পরিবারের অন্তর্গত এবং ডেঙ্গু ভাইরাস ফ্ল্যাভি ভাইরাসের একটি প্রকার।
H1N1:
ভুল অপশন: H1N1 হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের একটি প্রকার, যা বিশেষত সোয়াইন ফ্লুর জন্য পরিচিত। এটি ডেঙ্গু জ্বরের কারণ নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসজনিত রোগের সঠিক শ্রেণিবিন্যাস এবং ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করবে। সঠিক উত্তর Flavi virus , যা ডেঙ্গু জ্বরের কারণ। এটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে সহায়ক হবে।
ডেংগু একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এই ভাইরাসের জীবানুর নাম ফ্লাভিভাইরাস বা ডেংগী ভাইরাস।
25 / 50
25.
কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া কোনটি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার আকার এবং তাদের শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন আকার রয়েছে, যেমন গোলাকার (কক্কাস), দন্ডাকার (ব্যাসিলাস), স্পাইরাল (স্পিরিলাম), এবং কমা আকৃতির (ভিব্রিও)। এই প্রশ্নটি বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া সনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Spirillium:
ভুল অপশন: Spirillium হলো স্পাইরাল বা পেঁচানো আকারের ব্যাকটেরিয়া। এটি কমা আকৃতির নয়।
Pseudomonas:
ভুল অপশন: Pseudomonas হলো একটি দন্ডাকার ব্যাকটেরিয়া, যা ব্যাসিলাস হিসেবে পরিচিত। এটি কমা আকৃতির নয়।
Vibrio:
সঠিক উত্তর: Vibrio হলো কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া প্রকার, যা বিশেষত Vibrio cholerae এর জন্য পরিচিত, যা কলেরা রোগের কারণ।
Sarcina:
ভুল অপশন: Sarcina হলো একটি গোলাকার ব্যাকটেরিয়া, যা কোষের গুচ্ছ আকারে থাকে। এটি কমা আকৃতির নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন আকার এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর Vibrio , যা কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়ার একটি উদাহরণ। Vibrio ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে এবং এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবে।
26 / 50
26.
কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া-“
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার আকার এবং গঠন সম্পর্কে ধারণা যাচাই করা হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন আকৃতি থাকতে পারে, এবং এই ক্ষেত্রে, কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Pseudomonas:
ভুল অপশন: Pseudomonas হলো রড-আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (rod-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়। তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
Vibrio:
সঠিক অপশন: Vibrio হলো কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (comma-shaped bacteria)। Vibrio cholerae হল এক ধরনের Vibrio ব্যাকটেরিয়া, যা কলেরা রোগ সৃষ্টি করে। এটি সঠিক উত্তর।
Spirillium:
ভুল অপশন: Spirillium হলো সর্পিল আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (spiral-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
Sarcina:
ভুল অপশন: Sarcina হলো কক্কি আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (cocci-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি এবং তাদের পার্থক্য নিয়ে জ্ঞান যাচাই করা হচ্ছে। কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া Vibrio নামে পরিচিত এবং এটি রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে Vibrio cholerae যা কলেরা রোগ সৃষ্টি করে। সঠিক উত্তর হলো “Vibrio,” কারণ এটি কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া।
27 / 50
27.
কোন উদ্ভিদ ভাইরাসে ডিএনএ থাকে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন উদ্ভিদ ভাইরাসে ডিএনএ থাকে?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাসের গঠন এবং প্রকার সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে, বিশেষ করে উদ্ভিদ ভাইরাসের ক্ষেত্রে। সাধারণত, বেশিরভাগ ভাইরাসের জিনোম RNA নিয়ে গঠিত হয়, তবে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে ভাইরাসের জিনোম DNA দিয়ে গঠিত হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
টোবাকো মোজাইক:
ভুল অপশন: টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV) হলো RNA ভাইরাস, যার জিনোম RNA নিয়ে গঠিত। এটি উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন এবং বেশি গবেষণা করা ভাইরাসগুলির একটি।
পোটেটো মোজাইক:
ভুল অপশন: পোটেটো মোজাইক ভাইরাসও একটি RNA ভাইরাস। এটি আলুর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে থাকে এবং ফসলের ক্ষতি করে।
সুগারকেন মোজাইক:
ভুল অপশন: সুগারকেন মোজাইক ভাইরাসও RNA ভাইরাস, যা চিনি গাছের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে থাকে এবং এটি ফসলের ক্ষতি করতে পারে।
ফুলকপি মোজাইক:
সঠিক অপশন: ফুলকপি মোজাইক ভাইরাস (Cauliflower Mosaic Virus বা CaMV) হলো একটি DNA ভাইরাস। এটি উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম DNA ভাইরাস, যা ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ (dsDNA) দিয়ে গঠিত।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনোম সম্পর্কিত ধারণা এবং উদ্ভিদ ভাইরাসের প্রকারভেদ সম্পর্কে সচেতন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ উদ্ভিদ ভাইরাস RNA ভাইরাস হলেও, ফুলকপি মোজাইক ভাইরাস ব্যতিক্রমী একটি DNA ভাইরাস। সঠিক উত্তর হলো “ফুলকপি মোজাইক,” কারণ এই ভাইরাসে ডিএনএ থাকে।
28 / 50
28.
নিচের কোন ব্যাকটেরিয়াটি দেখতে গোলাকার?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন ব্যাকটেরিয়াটি দেখতে গোলাকার?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন আকার হতে পারে, যেমন গোলাকার (কক্কাস), রড-আকৃতির (ব্যাসিলাস), সর্পিল (স্পিরিলাম), ইত্যাদি।
অপশন বিশ্লেষণ:
Micrococcus denitrificans:
সঠিক অপশন: Micrococcus প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া সাধারণত গোলাকার হয়। এই ব্যাকটেরিয়াটি দেখতে কক্কাস-আকৃতির, তাই এটি সঠিক উত্তর।
Bacillus albus:
ভুল অপশন: Bacillus প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া রড-আকৃতির হয়, যা গোলাকার নয়। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
Vibrio cholerae:
ভুল অপশন: Vibrio প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া সাধারণত কমা-আকৃতির (কমা-শেপড) হয়, যা গোলাকার নয়। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
Spirillum minus:
ভুল অপশন: Spirillum প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া সর্পিল-আকৃতির (স্পিরিলাম) হয়, যা গোলাকার নয়। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন আকৃতি সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়ক। ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি তাদের শ্রেণীবিভাগ এবং বৈশিষ্ট্য বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক উত্তরটি হচ্ছে Micrococcus denitrificans, কারণ এটি গোলাকার ব্যাকটেরিয়া।
29 / 50
29.
ফ্লাজেলা ছাড়া ব্যাক্টেরিয়াকে কী বলা হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ফ্ল্যাজেলা ছাড়া ব্যাকটেরিয়াকে কী বলা হয়?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়ার গঠন এবং ফ্ল্যাজেলার প্রকারভেদ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ফ্ল্যাজেলা হলো একটি লম্বা, চাবুকের মতো অঙ্গ যা ব্যাকটেরিয়াকে চলাচলে সহায়তা করে। কিছু ব্যাকটেরিয়ায় ফ্ল্যাজেলা থাকে না, এবং তাদেরকে একটি বিশেষ নামে অভিহিত করা হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Atrichous:
সঠিক অপশন: “Atrichous” হলো সেই ব্যাকটেরিয়াকে বোঝায় যার কোনো ফ্ল্যাজেলা নেই। এটি ব্যাকটেরিয়ার চলাচল করার ক্ষমতা নেই, তাই এটি ফ্ল্যাজেলা দ্বারা সৃষ্ট গতিশীলতার অভাব রয়েছে।
Monotrichous:
ভুল অপশন: Monotrichous সেই ব্যাকটেরিয়াকে বোঝায় যার একমাত্র একটি ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি সাধারণত এক প্রান্তে অবস্থান করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে চলাচল করতে সহায়তা করে।
Petririchous:
ভুল অপশন: Petririchous হলো সেই ব্যাকটেরিয়া, যার শরীরের চারদিকে অনেকগুলো ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে গতিশীলতা প্রদান করে।
Lophotrichous:
ভুল অপশন: Lophotrichous হলো সেই ব্যাকটেরিয়া, যার একটি প্রান্তে একগুচ্ছ ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে একদিকে বা একটি নির্দিষ্ট দিকে চলাচল করতে সাহায্য করে।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার চলাচল এবং ফ্ল্যাজেলার বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করা হয়। “Atrichous” হলো সেই ব্যাকটেরিয়া যার কোনো ফ্ল্যাজেলা নেই এবং সঠিক উত্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
30 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি হ্যাপ্লয়েড?”
এই প্রশ্নটি মাইটোসিস এবং মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন কোষের ক্রোমোসোমের সংখ্যা বোঝার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। হ্যাপ্লয়েড কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা একগুণ থাকে, যা সাধারণত গ্যামেট বা যৌন কোষে পাওয়া যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
জাইগোট:
ভুল অপশন: জাইগোট একটি ডিপ্লয়েড কোষ, যা দুটি হ্যাপ্লয়েড গ্যামেটের মিশ্রণে গঠিত হয়। এটি হ্যাপ্লয়েড নয়, বরং ডিপ্লয়েড। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
উকিনেট:
ভুল অপশন: উকিনেট হল একটি প্রোটোজোয়া যা ম্যালেরিয়ার রোগজীবাণুর একটি ধাপ। এটি হ্যাপ্লয়েড নয়, বরং ম্যালেরিয়ার জীবাণুর জটিল জীবচক্রের একটি অংশ। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
শুক্রাণু:
সঠিক অপশন: শুক্রাণু একটি হ্যাপ্লয়েড কোষ যা পুরুষ গ্যামেট হিসেবে কাজ করে। এটি ২৩টি ক্রোমোসোম ধারণ করে, যা মায়োসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। তাই এই অপশনটি সঠিক।
উসিস্ট:
ভুল অপশন: উসিস্ট একটি প্রোটোজোয়ার অবস্থা, যা সিস্ট নামে পরিচিত। এটি হ্যাপ্লয়েড নয়। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মাইটোসিস এবং মিয়োসিস প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু হল হ্যাপ্লয়েড কোষ, যা জনন কোষ হিসেবে পরিচিত এবং গ্যামেটোসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। শিক্ষার্থীরা এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড কোষের মধ্যে পার্থক্য আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
31 / 50
31.
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রােগীর রক্তে কোনটির উপস্থিতি পাওয়া যায়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তে কোনটি উপস্থিতি পাওয়া যায়?”
এই প্রশ্নটি মূলত ইমিউনোলজি এবং ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে সংক্রমিত হয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
IgA:
ভুল অপশন: IgA হলো একটি অ্যান্টিবডি যা সাধারণত শ্লেষ্মা ঝিল্লি এবং অন্যান্য শরীরের শারীরিক প্রতিবন্ধকে পাওয়া যায়। এটি ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিরক্ষা ভূমিকা পালন করে না।
IgK:
ভুল অপশন: IgK হলো একটি কল্পিত নাম। এর কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই এবং এটি কোনও অ্যান্টিবডি নয়।
IgM:
সঠিক অপশন: IgM হলো প্রাথমিক অ্যান্টিবডি যা শরীরে নতুন কোনো সংক্রমণের সময় প্রথম তৈরি হয়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তে IgM এর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে সংক্রমণটি নতুন এবং শরীর এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করছে।
IgE:
ভুল অপশন: IgE সাধারণত অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার সাথে যুক্ত এবং এটি ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্রধান অ্যান্টিবডি নয়।
নোট:
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে IgM এর উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। IgM এর উপস্থিতি নির্দেশ করে যে রোগী সম্প্রতি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে এবং শরীর প্রাথমিকভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা তৈরি করছে। সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো “IgM।”
32 / 50
32.
ডেঙ্গু রোগের জন্য যে ভাইরাসটি দায়ী সেটি হলো-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু রোগের জন্য যে ভাইরাসটি দায়ী সেটি হলো-“
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগ এবং এর কারণ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা বিশেষত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এবং মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
ফ্ল্যাভি:
সঠিক উত্তর: ডেঙ্গু রোগের জন্য ফ্ল্যাভি (Flavivirus) ভাইরাস দায়ী। ফ্ল্যাভি ভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত ডেঙ্গু ভাইরাস হলো চারটি ভিন্ন ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এই ভাইরাসের সংক্রমণে ডেঙ্গু জ্বর হয়।
এইচ আই ভি:
ভুল অপশন: এইচ আই ভি (HIV) হলো মানবদেহের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য পরিচিত ভাইরাস, যা এইডস রোগের কারণ। এটি ডেঙ্গু রোগের সাথে সম্পর্কিত নয়।
নিপাহ:
ভুল অপশন: নিপাহ ভাইরাস হলো এনসেফালাইটিস এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টিকারী একটি ভাইরাস, যা নিপাহ ভাইরাস ইনফেকশন (NiV) নামক রোগের কারণ হয়। এটি ডেঙ্গু রোগের কারণ নয়।
ইবোলা:
ভুল অপশন: ইবোলা ভাইরাস মারাত্মক হেমোর্যাজিক জ্বর সৃষ্টিকারী একটি ভাইরাস, যা ইবোলা ভাইরাস রোগের (EVD) জন্য দায়ী। এটি ডেঙ্গু রোগের সাথে সম্পর্কিত নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু ভাইরাস এবং এর কারণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর ফ্ল্যাভি ভাইরাস, যা ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী। এটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগের প্রকৃতি এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কে জানাতে সহায়ক হবে।
33 / 50
33.
কোন অণুজীবটি সাধারণত অ্যান্টিবায়ােটিক প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয় না?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন অণুজীবটি সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুতিতে ব্যবহারিত হয় না?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন এবং এতে ব্যবহৃত অণুজীব সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন অণুজীব, যেমন ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক, থেকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুত করা হয়। তবে সব অণুজীব অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহার করা হয় না।
অপশন বিশ্লেষণ:
Bacillus:
ভুল অপশন: Bacillus হলো একটি ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি, যা থেকে ব্যাসিট্রাসিন (Bacitracin) নামক অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
Streptomyces:
ভুল অপশন: Streptomyces হলো একটি ছত্রাক, যা থেকে স্ট্রেপ্টোমাইসিন (Streptomycin) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
Penicillium:
ভুল অপশন: Penicillium হলো একটি ছত্রাক, যা থেকে পেনিসিলিন (Penicillin) নামক বিখ্যাত অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
E.coli:
সঠিক উত্তর: E.coli (Escherichia coli) একটি ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি, যা সাধারণত মানুষের অন্ত্রে পাওয়া যায়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে সাধারণত ব্যবহার করা হয় না। বরং এটি গবেষণা এবং জিন প্রকৌশল ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের প্রক্রিয়া এবং এতে ব্যবহৃত অণুজীব সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করবে। সঠিক উত্তর E.coli , যা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় না। এটি শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিবায়োটিকের উৎপত্তি এবং এর প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত অণুজীব সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে সহায়ক হবে।
34 / 50
34.
কোনটি পানি বাহিত রোগ ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি পানি বাহিত রোগ?”
এই প্রশ্নটি মানুষের স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত, বিশেষত কোন রোগগুলি পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তা নির্ধারণ করার জন্য। পানি বাহিত রোগগুলির মধ্যে অনেকগুলি রোগ রয়েছে, যা দূষিত পানি পান বা ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। প্রশ্নটির উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের পানির মাধ্যমে ছড়ানো রোগ সম্পর্কে সচেতন করা।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া হলো একটি মশাবাহিত রোগ, যা প্লাজমোডিয়াম নামক এককোষী জীবাণু দ্বারা হয় এবং এটি সাধারণত মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি কোনো পানি বাহিত রোগ নয়।
লেপ্রসি:
ভুল অপশন: লেপ্রসি বা কুষ্ঠরোগ একটি ব্যাকটেরিয়াল রোগ, যা হ্যানসেনের রোগ নামেও পরিচিত। এটি দীর্ঘমেয়াদে সংক্রমিত হয়, কিন্তু এটি কোনো পানি বাহিত রোগ নয়। এই রোগটি সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়ায়।
টাইফয়েড:
সঠিক অপশন: টাইফয়েড একটি পানি বাহিত রোগ, যা সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হয়। দূষিত পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় এবং এতে ডায়রিয়া, জ্বর, ওষ্ঠপাকস্থলীর সমস্যা দেখা দেয়।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। এটি পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না, বরং এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।
নোট:
পানি বাহিত রোগগুলি মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, এবং টাইফয়েড হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পানি বাহিত রোগ। তাই, সঠিক উত্তর হলো “টাইফয়েড,” কারণ এটি দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং এর প্রাদুর্ভাব সাধারণত এমন অঞ্চলে ঘটে যেখানে পানি বিশুদ্ধকরণের অভাব রয়েছে।
35 / 50
35.
জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় কোন বাহকের মাধ্যমে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় কোন বাহকের মাধ্যমে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। জিকা ভাইরাস মূলত মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়, এবং এটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
এডিস মশক:
ভুল অপশন: এই অপশনটি আংশিক ভুল। এডিস মশক জিকা ভাইরাসের বাহক হলেও এখানে আরও সুনির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
এডিস মশকী:
সঠিক উত্তর: এডিস মশা, বিশেষত এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস মশা, জিকা ভাইরাসের প্রধান বাহক। এই মশাগুলি মানুষকে কামড়ানোর মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায়। এটি সঠিক উত্তর।
অ্যানোফিলিস মশক:
ভুল অপশন: অ্যানোফিলিস মশা হলো ম্যালেরিয়া রোগের বাহক। এটি জিকা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে জড়িত নয়।
অ্যানোফিলিস মশকী:
ভুল অপশন: অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী, কিন্তু জিকা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জিকা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার বাহক সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হলো এডিস মশকী , কারণ এডিস মশা জিকা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য প্রধান বাহক হিসেবে কাজ করে। এটি শিক্ষার্থীদের রোগের সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সহায়ক হবে।
36 / 50
36.
কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ এবং অন্যান্য প্যাথোজেন দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়া অনেক রোগের কারণ হতে পারে, এবং সঠিক রোগ চিহ্নিত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্যাথোজেন সম্পর্কিত জ্ঞান বাড়াতে পারবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া একটি প্রোটোজোয়া পরজীবি (প্লাজমোডিয়াম) দ্বারা সৃষ্ট রোগ, যা মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ নয়।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট নয়।
কলেরা:
সঠিক উত্তর: কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ, যা Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি পানির মাধ্যমে এবং খারাপ স্যানিটেশনের কারণে ছড়ায়।
হেপাটাইটিস:
ভুল অপশন: হেপাটাইটিস একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা প্রধানত লিভারকে প্রভাবিত করে। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য প্যাথোজেন দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সহায়ক। সঠিক উত্তর হলো কলেরা , যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সাধারণ রোগ।
37 / 50
37.
সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?”
এই প্রশ্নটি সোয়াইন ফ্লু রোগের কারণভিত্তিক জ্ঞান যাচাইয়ের জন্য করা হয়েছে। সোয়াইন ফ্লু একটি ভাইরাস জনিত রোগ, যা সাধারণত শূকর এবং মানব উভয়ের মধ্যেই সংক্রমিত হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
CMV:
ভুল অপশন: CMV বা Cytomegalovirus একটি ভিন্ন ধরনের ভাইরাস যা হারপিস ভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি সোয়াইন ফ্লুর কারণ নয়।
HIV:
ভুল অপশন: HIV (Human Immunodeficiency Virus) হলো এআইডস এর জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি সোয়াইন ফ্লুর কারণ নয়।
H1N1:
সঠিক অপশন: H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস টাইপ এ-এর একটি স্ট্রেইন, যা সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী। এটি মূলত শূকর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এবং মহামারী সৃষ্টি করতে সক্ষম।
রুবেলা:
ভুল অপশন: রুবেলা ভাইরাস হলো জার্মান মিজলস নামে পরিচিত রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি সোয়াইন ফ্লুর জন্য দায়ী নয়।
নোট:
সোয়াইন ফ্লু একটি বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে ঘটে, বিশেষত H1N1 ভাইরাসের মাধ্যমে। সোয়াইন ফ্লু রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে এই ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক।
38 / 50
38.
নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত জ্বর নয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত জ্বর নয়?”
এই প্রশ্নটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের রোগ সংক্রান্ত অংশের একটি বিষয়। এখানে ভাইরাসজনিত জ্বর এমন একটি জ্বর যা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়। তবে, এই প্রশ্নের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ভাইরাসজনিত ও ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য কারণে সৃষ্ট জ্বরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে সাহায্য করা।
অপশন বিশ্লেষণ:
ডেঙ্গু জ্বর:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এটি ভাইরাসজনিত জ্বর এবং সঠিক উত্তর নয়।
চিকুনগুনিয়া জ্বর:
ভুল অপশন: চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি ভাইরাসজনিত জ্বরের অন্তর্ভুক্ত।
টাইফয়েড জ্বর:
সঠিক অপশন: টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া (Salmonella typhi) দ্বারা সৃষ্ট জ্বর। এটি ভাইরাসজনিত নয়, তাই সঠিক উত্তর হলো টাইফয়েড জ্বর।
ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর:
ভুল অপশন: ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি ভাইরাসজনিত জ্বরের একটি উদাহরণ।
নোট:
ভাইরাসজনিত ও ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বরের মধ্যে পার্থক্য বোঝা রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর, যা ভাইরাসজনিত নয়। সঠিক উত্তর হলো টাইফয়েড জ্বর ।
39 / 50
39.
নিচের কোনটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাস সংক্রান্ত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদানের কার্যকারিতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জানা দরকার যে ভাইরাসের প্রতিরোধ বা নিষ্ক্রিয়করণের জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর। সাধারণভাবে, ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান এবং ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
রাইবোজোম:
ভুল অপশন: রাইবোজোম কোষের প্রোটিন সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার অংশ, কিন্তু এটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার কোনো ক্ষমতা রাখে না। তাই, এই অপশনটি ভুল।
ইন্টারফেরন:
সঠিক অপশন: ইন্টারফেরন ভাইরাস প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন। এটি সংক্রমিত কোষ থেকে নিঃসৃত হয় এবং ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে অন্যান্য কোষগুলোকে সতর্ক করে, যার ফলে ভাইরাসের বৃদ্ধি বা প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে কার্যকর, তাই এই অপশনটি সঠিক।
হরমোন:
ভুল অপশন: হরমোন বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে, কিন্তু ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে না। তাই এই অপশনটি ভুল।
ব্যাকটেরিয়া:
ভুল অপশন: ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের জীবাণু। যদিও কিছু ব্যাকটেরিয়াফেজ ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত করতে পারে, সাধারণ ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে না। সুতরাং, এই অপশনটি ভুল।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন, যেমন ইন্টারফেরন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। ইন্টারফেরন ভাইরাস প্রতিরোধে অন্যতম কার্যকর এবং প্রাকৃতিক উপাদান যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এই ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের ভাইরাসবিরোধী প্রতিরোধ এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান দিতে সাহায্য করে।
40 / 50
40.
ডেঙ্গু রোগ নিচের কোনটির জন্য হয় ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু রোগ নিচের কোনটির জন্য হয়?”
এই প্রশ্নটি ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ ও এর বাহক সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের এই রোগের বাহক সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি।
অপশন বিশ্লেষণ:
তেলাপোকা:
ভুল অপশন: তেলাপোকা কোন রোগের বাহক নয় যা ডেঙ্গুর সাথে সম্পর্কিত। তেলাপোকা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রমণের বাহক হতে পারে, কিন্তু ডেঙ্গু রোগের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এই অপশনটি ভুল।
মশা:
সঠিক অপশন: ডেঙ্গু রোগ এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়, যা ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। ডেঙ্গু মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
মাছি:
ভুল অপশন: মাছি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণুর বাহক হতে পারে, তবে এটি ডেঙ্গু রোগ ছড়ায় না। তাই, এই অপশনটি ভুল।
মৌমাছি:
ভুল অপশন: মৌমাছি ফুলের রেণু সংগ্রহ করে এবং মধু তৈরি করে, তবে এটি কোন রোগের বাহক নয়, বিশেষ করে ডেঙ্গুর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। তাই, এই অপশনটি ভুল।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগের বাহক এবং এর সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়। ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর প্রধান কারণ এডিস মশা, যা সকাল এবং সন্ধ্যায় বেশি সক্রিয় থাকে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া এবং মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
41 / 50
41.
সায়ানো ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “সায়ানো ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ কোনটি?”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের সায়ানোব্যাকটেরিয়া সম্পর্কিত ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলাভ-সবুজ শৈবাল হলো এক ধরনের ফটোসিনথেটিক ব্যাকটেরিয়া, যা প্রাচীনতম জীবন্ত কোষের মধ্যে একটি এবং প্রাথমিকভাবে জলীয় পরিবেশে পাওয়া যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Nostoc:
সঠিক অপশন: Nostoc হলো সায়ানোব্যাকটেরিয়ার একটি উদাহরণ, যা জলাশয় এবং স্যাঁতসেঁতে মাটিতে পাওয়া যায়। এটি ফটোসিনথেসিস করতে সক্ষম এবং সাধারণত নীলাভ-সবুজ রঙের হয়।
Rhizobium:
ভুল অপশন: Rhizobium হলো এক ধরনের মাটিতে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া যা উদ্ভিদের শিকড়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন করে। এটি সায়ানোব্যাকটেরিয়া নয়।
Azotobacter:
ভুল অপশন: Azotobacter হলো এক ধরনের মাটির ব্যাকটেরিয়া, যা নাইট্রোজেন ফিক্সেশনে সক্ষম, তবে এটি সায়ানোব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ নয়।
Lactobacillus:
ভুল অপশন: Lactobacillus হলো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা দুধকে ল্যাকটিক এসিডে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। এটি সায়ানোব্যাকটেরিয়া নয়।
নোট:
Nostoc হলো সায়ানোব্যাকটেরিয়ার একটি সঠিক উদাহরণ। এটি ফটোসিনথেটিক ব্যাকটেরিয়া এবং জলীয় পরিবেশে প্রায়ই পাওয়া যায়।
42 / 50
42.
হেপাটাইটিস সি কে আবিষ্কার করেন?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “হেপাটাইটিস সি কে আবিষ্কার করেন?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের আবিষ্কার এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। হেপাটাইটিস সি হলো একটি ভাইরাস যা প্রধানত লিভারকে সংক্রমিত করে, এবং এর আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
অপশন বিশ্লেষণ:
Gallow:
ভুল অপশন: Gallow নামে কোনো ব্যক্তি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত নন। এটি ভুল উত্তর।
Stanley:
ভুল অপশন: Stanley এর নামের সাথে হেপাটাইটিস সি আবিষ্কারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ভুল উত্তর।
Hervey J. Alter:
সঠিক উত্তর: Hervey J. Alter একজন চিকিৎসক ও গবেষক, যিনি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি এবং তার সহকর্মীরা রক্ত সংক্রমণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস শনাক্ত করেন। ২০২০ সালে তাকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
Edward Jenner:
ভুল অপশন: Edward Jenner প্রথম সফল ভ্যাকসিন আবিষ্কারক হিসেবে পরিচিত, তবে তিনি হেপাটাইটিস সি আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি স্মলপক্স ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাইরাস আবিষ্কার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের সম্পর্কে ধারণা দেয়। সঠিক উত্তর Hervey J. Alter , যিনি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
Hervey J.Alter হেপাটাইটিস -সি ভাইরাস আবিষ্কার করেন৷
Ref-Hasan Sir,P-140,2020 Edition
43 / 50
43.
নিচের কোনটি RNA ভাইরাসের উদাহরণ নয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি RNA ভাইরাসের উদাহরণ নয়?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাসের প্রকারভেদ (RNA এবং DNA ভাইরাস) নিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ভাইরাস দুই ধরনের হতে পারে: RNA ভাইরাস ও DNA ভাইরাস। RNA ভাইরাস তাদের জিনগত উপাদান হিসেবে RNA ব্যবহার করে, যেখানে DNA ভাইরাস DNA ব্যবহার করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Mumps virus:
ভুল অপশন: Mumps virus একটি RNA ভাইরাস। এটি Paramyxoviridae পরিবারভুক্ত এবং পারোটাইটিস রোগের কারণ। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Rabies virus:
ভুল অপশন: Rabies virus হলো RNA ভাইরাস। এটি Lyssavirus গোত্রের অন্তর্গত এবং জলাতঙ্ক (Rabies) রোগের কারণ। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Polio virus:
ভুল অপশন: Polio virus একটি RNA ভাইরাস, যা Poliomyelitis রোগের কারণ। এটি Picornaviridae পরিবারভুক্ত। তাই, এই অপশনটিও ভুল।
Variola virus:
সঠিক অপশন: Variola virus একটি DNA ভাইরাস। এটি গুটিবসন্ত (Smallpox) রোগের কারণ। তাই, এই অপশনটি সঠিক, কারণ এটি RNA ভাইরাস নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের প্রকারভেদ এবং নির্দিষ্ট ভাইরাসগুলো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জনের জন্য সহায়ক। RNA এবং DNA ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য বোঝা বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে ভাইরাসের গঠন, প্রজনন প্রক্রিয়া, এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়ার পার্থক্য বোঝা যায়।
44 / 50
44.
লইটিক চক্রের মাধ্যমে ১ মিনিটে কয়টি নতুন ফায গঠিত হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “লাইটিক চক্রের মাধ্যমে ১ মিনিটে কয়টি নতুন ফাজ সৃষ্টি হয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের লাইটিক চক্রের প্রক্রিয়া এবং ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। লাইটিক চক্র হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যাকটেরিওফাজ ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবেশ করে এবং কোষকে ধ্বংস করে নতুন ফাজ তৈরি করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
১০টি:
সঠিক উত্তর: লাইটিক চক্রের মাধ্যমে প্রতি মিনিটে প্রায় ১০টি নতুন ফাজ তৈরি হতে পারে। এই সংখ্যা সাধারণত নির্ভর করে ব্যাকটেরিয়ার ধরন এবং সংক্রমণের গতি উপর, তবে ১০টি একটি গ্রহণযোগ্য উত্তর।
৩০টি:
ভুল অপশন: ৩০টি নতুন ফাজ ১ মিনিটে গঠিত হয় না। সাধারণত, লাইটিক চক্রের গতি এই সংখ্যায় পৌঁছায় না।
১০০টি:
ভুল অপশন: ১ মিনিটে লাইটিক চক্রের মাধ্যমে ১০০টি ফাজ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
৪০০টি:
ভুল অপশন: ৪০০টি ফাজ ১ মিনিটে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কারণ লাইটিক চক্রের মাধ্যমে সাধারণত এত বড় সংখ্যায় ফাজ তৈরি হয় না।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লাইটিক চক্রের প্রক্রিয়া এবং ভাইরাস বংশবৃদ্ধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হলো ১০টি , যা ১ মিনিটে লাইটিক চক্রের মাধ্যমে তৈরি হওয়া নতুন ফাজের সংখ্যা নির্দেশ করে।
লাইটিক চক্রের মাধ্যমে ৩০ মিনিটে ৩০০ টি নতুন ফাজ সৃষ্টি হয়৷ ঐকিক নিয়মে ১ মিনিটে হয় ১০ টি৷
Ref-Hasan Sir,P-147,2020 Edition
45 / 50
45.
নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে নিচের কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে নিচের কোনটি?”
এই প্রশ্নটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী জীবাণু সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। নাইট্রোজেন সংবন্ধন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা নির্দিষ্ট জীবাণুদের দ্বারা বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনকে উদ্ভিদের জন্য ব্যবহৃত অ্যামোনিয়া বা অন্যান্য যৌগে রূপান্তর করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Azotobacter:
ভুল অপশন: Azotobacter হলো মাটি-বাস্তব জীবাণু যা নাইট্রোজেন সংবন্ধন করতে সক্ষম। এটি ফ্রি-লিভিং নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী ব্যাকটেরিয়া, তবে এটি এককভাবে নাইট্রোজেন সংবন্ধনের জন্য পরিচিত নয়, তাই এই অপশনটি ভুল।
Pseudomonas:
ভুল অপশন: Pseudomonas হলো একটি প্রকারের ব্যাকটেরিয়া যা বিভিন্ন পরিবেশে বাস করে, তবে এটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনে বিশেষজ্ঞ নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Clostridium:
ভুল অপশন: Clostridium হলো একটি জীবাণু, কিন্তু এটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনে অংশগ্রহণ করে না। এটি অন্যান্য কার্যকলাপের জন্য পরিচিত। তাই, এই অপশনটি ভুল।
সবুজলো:
সঠিক অপশন: সবুজলো হলো একটি অ্যানাবিনোসম্পন্ন ব্যাকটেরিয়া যা নাইট্রোজেন সংবন্ধন করতে পারে। এটি উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাইট্রোজেন যোগান দেয়। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
নোট:
এই প্রশ্নটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জীবাণুরা কীভাবে মাটিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, তা বোঝা যায়।
46 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “এইডস কি কারণে হয়?”
এই প্রশ্নটি এইডস রোগের কারণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। এইডস (অ্যাকোয়ার্ড ইমিউন ডিফিসিয়েন্সি সিনড্রোম) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেলে এবং তা প্রধানত ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে ঘটে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভাইরাস:
সঠিক অপশন: এইডস রোগের কারণ হলো এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস), যা ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এই ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়।
বংশগত:
ভুল অপশন: এইডস কোনো বংশগত রোগ নয়। এটি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং রক্ত বা অন্যান্য শারীরিক তরল দ্বারা ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়া:
ভুল অপশন: এইডস কোনো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ নয়। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
প্যারাসাইট:
ভুল অপশন: প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট রোগের উদাহরণ হতে পারে ম্যালেরিয়া, তবে এইডস কোনো প্যারাসাইটের কারণে হয় না।
নোট:
এইডস রোগ এইচআইভি ভাইরাসের কারণে হয়। এটি রক্ত, যৌন সংক্রমণ, বা সংক্রামিত ব্যক্তির শরীরের তরল দ্বারা অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। তাই, “ভাইরাস” সঠিক উত্তর।
47 / 50
47.
মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা কোনটি?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়া জীবাণুর (Plasmodium) জীবনচক্রের প্রথম ধাপ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার পর ম্যালেরিয়া জীবাণু মানবদেহে বিভিন্ন ধাপে তার চক্র সম্পন্ন করে। এর মধ্যে প্রথম দশা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা জীবাণুর সংক্রমণের সূচনা করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
মেরোজোয়েট:
ভুল অপশন: মেরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর একটি দশা, তবে এটি প্রথম ধাপ নয়। মেরোজোয়েট লোহিত রক্তকণিকায় প্রবেশ করে এবং কোষের ভেতরে বিভাজন করে।
ক্রিসপোজোয়েট:
ভুল অপশন: ক্রিসপোজোয়েট নামের কোনো ধাপ ম্যালেরিয়া জীবাণুর জীবচক্রে নেই, তাই এটি ভুল অপশন।
ট্রুফোজোয়েট:
ভুল অপশন: ট্রুফোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর একটি দশা, যা লোহিত রক্তকণিকায় বিভাজন শেষে গঠিত হয়। তবে এটি প্রথম ধাপ নয়।
স্পোরোজোয়েট:
সঠিক উত্তর: স্পোরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। এটি রক্তের মাধ্যমে লিভারে গিয়ে সংক্রমণ শুরু করে।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ম্যালেরিয়া জীবাণুর জীবনচক্র এবং এর সংক্রমণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। স্পোরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে।
48 / 50
48.
কোন সংক্রমন ব্যাধি পৃথিবী হতে নির্মূল হয়েছে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন সংক্রমণ ব্যাধি পৃথিবী হতে নির্মূল হয়েছে?”
এই প্রশ্নটি সংক্রমণ ব্যাধি সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। পৃথিবী থেকে কোন রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল করা হয়েছে, সেটি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা পরীক্ষা করা হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
কলেরা:
ভুল অপশন: কলেরা একটি সংক্রামক ব্যাধি, যা এখনও বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান। এটি সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায়নি। তাই, এটি ভুল অপশন।
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি। এটি এখনও বহু দেশে প্রচলিত একটি রোগ। তাই, এটি ভুল অপশন।
প্লেগ:
ভুল অপশন: প্লেগ অতীতে মহামারীর আকার ধারণ করলেও এটি এখনও পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায়নি। তাই, এটি ভুল অপশন।
গুটি বসন্ত:
সঠিক অপশন: গুটি বসন্ত পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হয়েছে। ১৯৮০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুটি বসন্তের নির্মূল ঘোষণা করে। এটি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর।
নোট:
গুটি বসন্ত পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র সংক্রমণ ব্যাধি, যা টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ রোগ এবং তাদের নির্মূল করার ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়।
49 / 50
49.
বাংলাদেশে ব্যবহৃত প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “বাংলাদেশে ব্যবহৃত প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন কোনটি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মহামারি এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত প্রথম টিকা সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ প্রথমে যেসব ভ্যাকসিন অনুমোদন ও ব্যবহার করেছে, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
Astrazeneca Oxford:
সঠিক উত্তর: বাংলাদেশের প্রথম ব্যবহৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ছিল AstraZeneca-এর তৈরি “Covishield,” যা ভারতীয় সিরাম ইনস্টিটিউট দ্বারা উৎপাদিত হয়েছিল। এই ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশের জন্য প্রথম অনুমোদিত এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
Mordana:
ভুল অপশন: “Moderna” নামে একটি ভ্যাকসিন আছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়েছে, তবে এটি প্রথমে বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয়নি। এছাড়া ‘Mordana’ নামে কোনো ভ্যাকসিন নেই, তাই এটি ভুল উত্তর।
Fizar:
ভুল অপশন: “Pfizer” একটি জনপ্রিয় কোভিড ভ্যাকসিন, তবে ‘Fizar’ নামে কোনো ভ্যাকসিন নেই। এছাড়া Pfizer-এর ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশে কিছুটা পরেই আসে, তাই এটি ভুল উত্তর।
Cinofarm:
ভুল অপশন: “Sinopharm” একটি চীনা ভ্যাকসিন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশে অনুমোদিত হয়েছিল, তবে এটি প্রথম ব্যবহৃত ভ্যাকসিন ছিল না।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ এবং এর সময়সীমা সম্পর্কে ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হলো AstraZeneca Oxford , যা “Covishield” নামে বাংলাদেশে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে এক ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেয়ার কর্মসূচি।
50 / 50
50.
কোন ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক ও পিইটি খেতে পারে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক ও পিইটি (PET) খেতে পারে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ ক্ষমতা এবং পরিবেশ দূষণ রোধে এর ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিছু ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক এবং অন্যান্য কঠিন পদার্থ ভেঙে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, যা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
রাইজোবিয়াম লিলিগ্নোমেসোরাম:
ভুল অপশন: রাইজোবিয়াম একটি নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া, যা মূলত মাটিতে উদ্ভিদের সঙ্গে সহবাস করে এবং নাইট্রোজেন ফিক্সেশনের মাধ্যমে উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি প্লাস্টিক ভাঙতে বা পিইটি খেতে পারে না।
ক্যালজিব্যাক্টেরিয়া:
ভুল অপশন: ক্যালজিব্যাক্টেরিয়া প্লাস্টিক ভাঙতে পারে না বা পিইটি খেতে পারে না। এটি অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাই এটি ভুল অপশন।
ইডিওনেলা সাকারেনসিস:
সঠিক উত্তর: ইডিওনেলা সাকারেনসিস হলো একটি ব্যাকটেরিয়া যা পিইটি (PET) প্লাস্টিক খেতে সক্ষম। এটি প্লাস্টিক দূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ইনডোসিনিক্রোবিয়া:
ভুল অপশন: এই ব্যাকটেরিয়াটি প্লাস্টিক বা পিইটি খেতে পারে না। এটি পরিবেশগত উপাদানগুলির জন্য ব্যবহৃত হয় না, তাই এটি ভুল অপশন।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিক দূষণ কমাতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা দেয়। সঠিক উত্তর হলো ইডিওনেলা সাকারেনসিস , যা পিইটি প্লাস্টিক খেতে সক্ষম এবং পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইডেওনেলা সাকায়েনসিস’(Ideonella sakaiensis) নামের ব্যাকটেরিয়া দুটি এনজাইম ব্যবহার করে পলিইথিলিন টেরেপথালেটকে (PTE) ভেঙে ফেলে।
পরিবেশের জন্য সত্যিই এটা একটা ভালো খবর হতে পারে মন্তব্য করে CNN বলছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (WIF) তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বে যে সব প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয় তার এক তৃতীয়াংশই সংগ্রহের বাইরে গিয়ে পরিবেশে ছড়িয়ে যায়।
RESULT
সবার রেজাল্ট একসাথে দেখার জন্য ‘Show’ এর পাশে ‘5’ ক্লিক করার পর ‘All’ এ ক্লিক করেন। ‼ এক্সাম SUBMIT করার পর, রেজাল্টে আপনার মেরিট দেখতে পেজটিকে একবার Reload করুন ।
DETAILS
আপনি যদি লগিন করে এক্সাম দেন, তাহলে আপনার দাগানো কোন MCQ সঠিক এবং ভুল ছিল, সব দেখতে পারবেন এখানে।
You must log in to see your results.
📚 Address Academy কর্তৃক সকল এক্সাম ব্যাচের বিস্তারিত
📌 কৃষি গুচ্ছ এক্সাম ব্যাচ (প্রিভিয়াস লিংক)
যারা সেকেন্ড টাইম কৃষি গুচ্ছ প্রিপারেশন নিচ্ছো, তারা চাইলে পূর্ববর্তী সকল এক্সাম দিতে পারবে।
Exam Links 👉
https://addresacademy.com/agri-free/
প্রশ্ন-উত্তর
❓ লিঙ্কে ক্লিক করলে: পূর্ণাঙ্গ রুটিন সহ এক্সাম লিংক গুলো পেয়ে যাবা ⬇
এরপর, ওয়েব সাইটে যাওয়ার পর, নির্দিষ্ট চ্যাপ্টার নামের উপর ক্লিক করলে এক্সাম লিংক পেয়ে যাবা।
রেজাল্ট : এক্সাম দেওয়ার সাথে সাথে দেখতে পারবা, এক্সাম সাবমিট করার পর, ওয়েব পেজটিকে একবার রিলোড করবা অথবা একই এক্সাম লিংকে আবার ক্লিক করবা। তাহলে তোমার রেজাল্ট মেরিট লিস্টে দেখতে পারবা।
❓ প্রশ্ন ১: প্রতিদিন কি আলাদা লিংক দেওয়া হবে?
উত্তর: প্রতিদিন আলাদা লিংক লাগবে না। এই পোস্টের একটি লিংকেই সব সময় কাজ করবে। এমনকি, রুটিন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও, নতুন রুটিন একই লিংকে এড হবে। প্রতিদিন রাত ৯টার পরে নতুন এক্সাম লিংকের জন্য এখানে আসতে পারো।
❓ প্রশ্ন ২: পূর্বে হয়ে যাওয়া সকল এক্সাম কি দিতে পারব?
উত্তর: অবশ্যই। ওয়েবসাইটে প্রিভিয়াস বাটনে ক্লিক করে এক মাস, দুই মাস বা তিন মাস আগের সকল এক্সাম দিতে পারবে।
❓ প্রশ্ন ৩: কোন প্রশ্ন ভুল থাকলে কি করব?
উত্তর: ভুল প্রশ্নের নিচে থাকা কমেন্ট আইকনে ক্লিক করে সঠিক উত্তর জানিয়ে দিতে পারবে। এরপর ওয়েবসাইট থেকে তাড়াতাড়ি এডিট করে দেওয়া হবে।