Report a question
3 / 50
3. কোনটির নিউক্লিক এসিড ডিয় প্রকৃতির
EXPLANATION:
ধরণ উদাহরণ
DNA
○ অণুবীক্ষণ প্রয়োজন ভাইরাস (হেপাটাইটিস, পোলিও, র্যাবিস, HIV
ব্যাকটেরিওফেজ) সানারোপণ ও ব্যাকটেরিওফেজের DNA থাকে।
উদাহরণ: TIV, পোলিও, T2, অ্যান্টিবায়োটিক, হার্পিস, পোকাভাইরাস,
বি, ফুলজাইড মাইক্রোপ্লাজমা, এনিও।
○ Parvoviridae গোত্রের (ΦX174 ও M13 ব্যাকটেরিওফেজ) উদাহরণ:
DNA এককভাবে।
RNA
○ অধিকাংশ উদ্ভিদ ভাইরাসে RNA থাকে (ফুলজাইড মোজাইক
ভাইরাস)।
○ RNA ভাইরাস: TMV, HIV, ডেঙ্গু, পোলিও, মাপলস, রেবিস,
ইনফ্লুয়েঞ্জা, হলের ভাইরাস।
○ Reoviridae গোত্রের (রিওভাইরাস, ধানের বাবল মোজাইক
ভাইরাস) ভাইরাসের RNA নিউক্লিয়াস।
4 / 50
4. ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
EXPLANATION:
ম্যালোরয়া একটি পরজীবী। ম্যালেরিয়া পরজীবীর নাম প্লাজমোডিয়াম।
অন্যান্য অপশন সম্পর্কিত তথ্য: সঠিক উত্তর ব্যতীত বাকি অপশনগুলোর পোস্টমর্টেম:
ভাইরাস ঘটিত রোগসমূহ
AIDS (রোগ নয়, লক্ষ্মণ সমষ্টি), ডেঙ্গু, জলাতঙ্ক, গুটি বসন্ত, হাম, পোলিওমাইলাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস, ভাইরাল হেপাটাইটিস, চিকুনগুনিয়া, Swine flue, SARS, জলবসন্ত (Chicken Pox), ভাইরাল নিউমোনিয়া, কোষের লাইসিস (Lysis), সাধারণ সর্দি, জন্ডিস বা লিভার ক্যান্সার, পীত জ্বর, গো-বসন্ত, পা ও মুখের ক্ষত (ফুট অ্যান্ড মাউথ), ইঁদুরের টিউমার, ক্যাপোসি সার্কোমা, এনোজেনিটাল ক্যান্সার, বার্ড ফ্লু, পোলিও ইত্যাদি।
14 / 50
14.
HIV রক্তের কোনটিকে আক্রমণ করে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “HIV রক্তের কোনটিকে আক্রমণ করে?”
এই প্রশ্নটি HIV (Human Immunodeficiency Virus) ভাইরাসের প্রভাব সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। HIV ভাইরাসটি মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, যা অ্যান্টিভাইরাল প্রতিরোধ ব্যবস্থা ধ্বংস করে। এই ভাইরাসটি শরীরের কিছু বিশেষ কোষকে আক্রমণ করে এবং তাদের ধ্বংস করে, যার ফলে শরীর ধীরে ধীরে সংক্রমণ এবং অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হারায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
লোহিত রক্ত কণিকা (Red Blood Cells):
ভুল অপশন: লোহিত রক্ত কণিকা শরীরে অক্সিজেন বহন করে, তবে HIV ভাইরাস লোহিত রক্ত কণিকাকে আক্রমণ করে না। তাই, এটি সঠিক উত্তর নয়।
শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells):
সঠিক অপশন: HIV ভাইরাস মূলত শ্বেত রক্ত কণিকার একটি বিশেষ ধরনের কোষকে আক্রমণ করে, যাকে T-helper cell (CD4 cells) বলা হয়। এই কোষগুলি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। HIV ভাইরাস এই কোষগুলিকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেলে। সুতরাং, এটি সঠিক উত্তর।
অনুচক্রিকা (Platelets):
ভুল অপশন: অনুচক্রিকা রক্তের জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু HIV ভাইরাস অনুচক্রিকাকে আক্রমণ করে না। তাই, এটি সঠিক উত্তর নয়।
রক্ত রস (Plasma):
ভুল অপশন: রক্ত রস হলো রক্তের তরল অংশ, যা পুষ্টি, হরমোন, এবং প্রোটিন বহন করে। HIV ভাইরাস সরাসরি রক্ত রস আক্রমণ করে না। তাই, এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি HIV ভাইরাসের প্রভাব এবং মানব শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর তার আক্রমণের প্রকৃতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর হলো “শ্বেত রক্ত কণিকা,” কারণ HIV ভাইরাস শ্বেত রক্ত কণিকার T-helper cell (CD4 cells) কে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে, যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
15 / 50
15.
মানুষের লোহিত কণিকায় ম্যালেরিয়া পরজীবীর বহুবিভাজন প্রক্রিয়ায় অযৌন জননকে কী বলে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “মানুষের লোহিত কণিকায় ম্যালেরিয়া পরজীবীর বহুবিভাজন প্রক্রিয়ায় অণুজননকে কী বলে?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়া পরজীবী (Plasmodium) এর জীবচক্র সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। Plasmodium পরজীবী বিভিন্ন পর্যায়ে বিভাজন ও বৃদ্ধির মাধ্যমে ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, এই প্রশ্নটি স্পোরোজোনি এবং এর প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্ররোচিত করছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
“এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি”:
সঠিক অপশন:
ম্যালেরিয়া পরজীবী মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় প্রবেশ করে এবং সেখানে বহুবিভাজন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, যা সাইজোগোনি নামে পরিচিত। যখন এই প্রক্রিয়াটি লোহিত রক্তকণিকায় ঘটে, তখন এটিকে এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, পরজীবী বিভাজিত হয়ে নতুন মেরোজোইট সৃষ্টি করে, যা আরও লোহিত কণিকায় সংক্রমণ ঘটায়।
“এক্সো- এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি”:
ভুল অপশন:
এক্সো- এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি সেই প্রক্রিয়া বোঝায় যা লোহিত কণিকার বাইরে ঘটে। এটি লিভারে ঘটে এবং এর ফলস্বরূপ পরজীবী লোহিত কণিকায় প্রবেশ করে। তাই এই প্রক্রিয়া লোহিত কণিকায় ঘটে না এবং এটি সঠিক উত্তর নয়।
“হেপাটিক সাইজোজোনি”:
ভুল অপশন:
হেপাটিক সাইজোজোনি সেই প্রক্রিয়া বোঝায় যা লিভারে ঘটে। এটি ম্যালেরিয়া পরজীবীর জীবনচক্রের একটি প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটে, যখন পরজীবী লিভার কোষে প্রবেশ করে এবং বিভাজন শুরু করে। তবে, প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে লোহিত কণিকা, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
“শ্রী- এরিট্রোসাইটিক সাইজোজোনি”:
ভুল অপশন:
এই অপশনটি সঠিক নয় কারণ এখানে ‘শ্রী’ শব্দটি প্রশ্নের প্রসঙ্গে ভুলভাবে ব্যবহার হয়েছে। শ্রী- এরিট্রোসাইটিক সাইজোজোনি বলে কিছু নেই, এটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর হতে পারে না।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া পরজীবীর জীবচক্র এবং তার বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে গভীর ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি ম্যালেরিয়া রোগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, যেখানে পরজীবী লোহিত কণিকায় বিভাজিত হয়ে ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করে। সঠিক উত্তর হলো “এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি,” যা লোহিত রক্তকণিকায় ম্যালেরিয়া পরজীবীর বিভাজন প্রক্রিয়া নির্দেশ করে।
16 / 50
16.
ম্যালেরিয়ার জীবাণু কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ম্যালেরিয়ার জীবাণু কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়ার জীবাণুর শ্রেণিবিন্যাস বা ট্যাক্সোনমি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ম্যালেরিয়ার জীবাণু মূলত এককোষী প্রাণী বা প্রোটোজোয়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, যা রক্তে সংক্রমণ ঘটিয়ে রোগ সৃষ্টি করে। ম্যালেরিয়ার এই জীবাণুকে Plasmodium বলা হয়, এবং এটি সাধারণত মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়ার জীবাণুর শ্রেণি এবং এর জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Protozoa:
সঠিক অপশন: ম্যালেরিয়ার জীবাণু হল প্রোটোজোয়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। প্রোটোজোয়া এককোষী প্রাণী, যা মাইক্রোস্কোপিক এবং সাধারণত পানিতে বসবাস করে। ম্যালেরিয়া জীবাণু Plasmodium প্রজাতির অন্তর্গত, যা প্রোটোজোয়ার শ্রেণিতে পড়ে। সুতরাং, এটি সঠিক উত্তর।
Hydrozoa:
ভুল অপশন: Hydrozoa হল একটি শ্রেণি যা সি অ্যানিমোন এবং জেলিফিশের মত জলজ প্রাণীদের অন্তর্ভুক্ত করে। এটি প্রোটোজোয়া নয় এবং ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সাথে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই, এটি ভুল উত্তর।
Sporozoa:
ভুল অপশন: যদিও Sporozoa শ্রেণির সাথে ম্যালেরিয়া জীবাণুর কিছু সম্পর্ক রয়েছে, এই শ্রেণিটি বর্তমানে প্রোটোজোয়ার একটি উপশ্রেণি হিসেবে বিবেচিত হয়। মূল শ্রেণি হিসাবে প্রোটোজোয়া সঠিক উত্তর হবে।
Insecta:
ভুল অপশন: Insecta হল একটি শ্রেণি যা মশা, মৌমাছি, এবং অন্যান্য পতঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও ম্যালেরিয়ার জীবাণু মশার মাধ্যমে ছড়ায়, এটি কোন পতঙ্গ নয় এবং Insecta শ্রেণির অন্তর্গত নয়। সুতরাং, এটি ভুল উত্তর।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ম্যালেরিয়ার জীবাণু এবং এর শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাবে। Plasmodium প্রজাতির জীবাণু, যা ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে, প্রোটোজোয়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। প্রোটোজোয়া হল এককোষী প্রাণী যা মাইক্রোস্কোপিক এবং সাধারণত রোগ সৃষ্টিকারী। এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হলো “Protozoa,” কারণ ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রোটোজোয়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
17 / 50
17.
যে ব্যাকটেরিয়ার এক প্রান্তে এক গুচ্ছ ফ্ল্যাজেলা থাকে-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “যে ব্যাকটেরিয়ার এক প্রান্তে একটি গুচ্ছ ফ্ল্যাজেলা থাকে-“
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়ার চলন পদ্ধতি ও তাদের গঠনগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত। ব্যাকটেরিয়ার ফ্ল্যাজেলা হলো এক ধরনের সঞ্চালন অঙ্গ যা ব্যাকটেরিয়ার চলাচলে সাহায্য করে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাজেলা থাকে, এবং এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার ফ্ল্যাজেলার ধরন সম্পর্কে জানতে এবং তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
মনোট্রিকাস:
ভুল অপশন: মনোট্রিকাস হলো এক ধরনের ফ্ল্যাজেলা গঠন যেখানে ব্যাকটেরিয়ার এক প্রান্তে একটি মাত্র ফ্ল্যাজেলা থাকে। তবে এখানে একাধিক ফ্ল্যাজেলার গুচ্ছ উল্লেখ করা হয়েছে, তাই এটি ভুল উত্তর।
লফোট্রিকাস:
সঠিক অপশন: লফোট্রিকাস হলো এক ধরনের ফ্ল্যাজেলা গঠন যেখানে ব্যাকটেরিয়ার এক প্রান্তে একাধিক ফ্ল্যাজেলার গুচ্ছ থাকে। এই গুচ্ছ ফ্ল্যাজেলা ব্যাকটেরিয়াকে আরও দ্রুত এবং কার্যকরভাবে চলতে সাহায্য করে। তাই এটি সঠিক উত্তর।
অ্যাম্ফিট্রিকাস:
ভুল অপশন: অ্যাম্ফিট্রিকাস হলো এক ধরনের ফ্ল্যাজেলা গঠন যেখানে ব্যাকটেরিয়ার উভয় প্রান্তে একটি করে ফ্ল্যাজেলা থাকে। প্রশ্নে উল্লেখিত শর্তের সাথে এটি মেলে না, তাই এটি ভুল উত্তর।
পেরিট্রিকাস:
ভুল অপশন: পেরিট্রিকাস হলো এক ধরনের ফ্ল্যাজেলা গঠন যেখানে ব্যাকটেরিয়ার সমগ্র গায়ে ফ্ল্যাজেলা থাকে। কিন্তু প্রশ্নে এক প্রান্তে ফ্ল্যাজেলা গুচ্ছের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তাই এটি ভুল উত্তর।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার ফ্ল্যাজেলা গঠন এবং তার প্রকারভেদ সম্পর্কে ধারণা দিতে সহায়ক। ব্যাকটেরিয়ার সঠিক চলন পদ্ধতি বোঝা এবং বিভিন্ন ফ্ল্যাজেলার ধরন চিহ্নিত করা জীববিজ্ঞানের এই অংশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সঠিক উত্তর হলো “লফোট্রিকাস,” কারণ এটি এমন একটি ফ্ল্যাজেলা গঠন যেখানে ব্যাকটেরিয়ার এক প্রান্তে একাধিক ফ্ল্যাজেলার গুচ্ছ থাকে।
18 / 50
18.
নিচের কোনটি DNA ভাইরাস?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি DNA ভাইরাস?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনগত উপাদান সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে কোন ভাইরাসটি DNA দ্বারা গঠিত এবং কোনগুলো RNA দ্বারা গঠিত। ভাইরাসের জিনোমিক গঠন তাদের শ্রেণীবিন্যাস এবং কার্যক্রমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
হেপাটাইটিস বি:
সঠিক উত্তর: হেপাটাইটিস বি একটি DNA ভাইরাস। এটি হেপাডনাভাইরাস (Hepadnaviridae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং এর জিনোম দ্বি-স্ট্র্যান্ডেড DNA দ্বারা গঠিত।
চিকুনগুনিয়া:
ভুল অপশন: চিকুনগুনিয়া একটি RNA ভাইরাস, যা টোগাভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত। এর জিনোম একক-স্ট্র্যান্ডেড RNA দ্বারা গঠিত।
টোবাকো মোজাইক:
ভুল অপশন: টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV) একটি RNA ভাইরাস, যা উদ্ভিদ সংক্রমিত করে। এর জিনোম একক-স্ট্র্যান্ডেড RNA দ্বারা গঠিত।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাসও একটি RNA ভাইরাস, যা ফ্ল্যাভিভিরিডি (Flaviviridae) পরিবারের অন্তর্গত এবং এর জিনোমও একক-স্ট্র্যান্ডেড RNA দ্বারা গঠিত।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা DNA এবং RNA ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হেপাটাইটিস বি , যা একটি DNA ভাইরাস। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনোমিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে সহায়ক হবে।
19 / 50
19.
ভাইরাসজনিত রোগ কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ভাইরাসজনিত রোগ কোনটি?”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের মাইক্রোবায়োলজি শাখার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাসজনিত রোগ বলতে সেইসব রোগকে বোঝানো হয়, যেগুলি ভাইরাস দ্বারা সংঘটিত হয়। ভাইরাস হল অতি ক্ষুদ্র জীবাণু, যা প্রাণীদেহের কোষে প্রবেশ করে সেগুলিকে সংক্রমিত করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
টমেটোর ব্লিস্টটন্ট:
সঠিক অপশন: টমেটোর ব্লিস্টটন্ট হল একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা টমেটো গাছে দেখা যায়। এই রোগটি টমেটো গাছের পাতা, ফল এবং ডালকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এর ফলে ফলের উৎপাদন কমে যায়। এটি একটি পরিচিত ভাইরাসজনিত রোগ এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন।
লেবুর ক্যান্সার:
ভুল অপশন: লেবুর ক্যান্সার হল একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত রোগ, যা লেবুর গাছে দেখা যায়। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াল রোগ এবং ভাইরাসজনিত নয়। সুতরাং, এটি সঠিক উত্তর নয়।
আলুর স্ক্যাব:
ভুল অপশন: আলুর স্ক্যাব একটি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক দ্বারা সংঘটিত রোগ, যা আলুর গাছে দেখা যায়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর হতে পারে না।
তামাকের ব্লাইট:
ভুল অপশন: তামাকের ব্লাইট একটি ছত্রাকজনিত রোগ, যা তামাক গাছে দেখা যায়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাস এবং এর দ্বারা সংঘটিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়ক। ভাইরাসজনিত রোগ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানে ভাইরাসের ভূমিকা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে গভীর জ্ঞান প্রদান করবে। সঠিক উত্তর হলো “টমেটোর ব্লিস্টটন্ট,” কারণ এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
20 / 50
20.
নিচের কোনটি সংক্রামক ব্যাধি ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি সংক্রমক ব্যাধি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের সংক্রমণযোগ্য এবং অসংক্রমণযোগ্য রোগ সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সংক্রমক ব্যাধি হলো সেই সব রোগ যা জীবাণুর দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের সংক্রমণযোগ্য রোগ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক।
অপশন বিশ্লেষণ:
যক্ষ্মা:
সঠিক উত্তর: যক্ষ্মা (টিবি) একটি সংক্রমক ব্যাধি, যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি সাধারণত ফুসফুসকে আক্রমণ করে এবং এটি বাতাসের মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়াতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ:
ভুল অপশন: উচ্চ রক্তচাপ একটি অসংক্রমণযোগ্য রোগ। এটি সাধারণত হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণের কারণে হয় না।
ডায়াবেটিস:
ভুল অপশন: ডায়াবেটিসও একটি অসংক্রমণযোগ্য রোগ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি কোনো সংক্রমণের কারণে হয় না।
রেইন স্ট্রোক:
ভুল অপশন: রেইন স্ট্রোক একটি অসংক্রমণযোগ্য সমস্যা, যা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের বাধার কারণে ঘটে। এটি সংক্রমণজনিত রোগ নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সংক্রমণযোগ্য এবং অসংক্রমণযোগ্য রোগের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানতে পারবে। সঠিক উত্তর যক্ষ্মা , যা একটি সংক্রমক ব্যাধি এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট হয়। এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায় এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
21 / 50
21.
নিচের কোনটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাসের কার্যকারিতা এবং এটি কিভাবে বন্ধ বা নিষ্ক্রিয় করা যায়, সেই বিষয়ে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ভাইরাস একটি জীবাণু যা জীবিত কোষে প্রবেশ করে এবং সেখানে নিজেকে প্রতিলিপি করতে সক্ষম হয়। কিছু রাসায়নিক পদার্থ এবং শারীরিক পদ্ধতি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।
অপশন বিশ্লেষণ:
রাইবোযোম:
ভুল অপশন:
রাইবোযোম একটি কোষীয় অঙ্গাণু, যা প্রোটিন সংশ্লেষণের কাজ করে। এটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে না। বরং, ভাইরাস প্রায়শই রাইবোযোম ব্যবহার করে তার প্রোটিন উৎপাদন করে। তাই, এই অপশনটি সঠিক নয়।
ইন্টারফেরন:
সঠিক অপশন:
ইন্টারফেরন একটি প্রাকৃতিক প্রোটিন, যা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি থামিয়ে তাকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
হরমোন:
ভুল অপশন:
হরমোন সাধারণত শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। তাই, এই অপশনটি সঠিক নয়।
ব্যাকটেরিয়া:
ভুল অপশন:
ব্যাকটেরিয়া একটি পৃথক জীবাণু, যা ভাইরাসের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। ব্যাকটেরিয়া নিজে ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে না। তাই, এই অপশনটিও সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাস সংক্রমণ এবং এর প্রতিরোধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করে। ইন্টারফেরন শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীদের ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য এই প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ।
22 / 50
22.
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু জ্বর এবং এর কারণ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা বিশেষত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু ভাইরাসের সঠিক শ্রেণিবিন্যাস এবং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Rhino virus:
ভুল অপশন: Rhino virus সাধারণত সর্দি-কাশির জন্য দায়ী, যা সাধারণ ঠান্ডা বা ফ্লুর কারণ হতে পারে। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী নয়।
Variola virus:
ভুল অপশন: Variola virus হলো গুটি বসন্তের (smallpox) জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের সাথে সম্পর্কিত নয়।
Flavi virus:
সঠিক উত্তর: Flavi virus ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি ফ্ল্যাভিভিরিডি (Flaviviridae) পরিবারের অন্তর্গত এবং ডেঙ্গু ভাইরাস ফ্ল্যাভি ভাইরাসের একটি প্রকার।
H1N1:
ভুল অপশন: H1N1 হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের একটি প্রকার, যা বিশেষত সোয়াইন ফ্লুর জন্য পরিচিত। এটি ডেঙ্গু জ্বরের কারণ নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসজনিত রোগের সঠিক শ্রেণিবিন্যাস এবং ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করবে। সঠিক উত্তর Flavi virus , যা ডেঙ্গু জ্বরের কারণ। এটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে সহায়ক হবে।
ডেংগু একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এই ভাইরাসের জীবানুর নাম ফ্লাভিভাইরাস বা ডেংগী ভাইরাস।
23 / 50
23.
ভাইরাসজনিত রোগ কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ভাইরাসজনিত রোগ কোনটি?”
এই প্রশ্নটি উদ্ভিদ রোগবিদ্যা এবং ভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত। ভাইরাসজনিত রোগ হল সেইসব রোগ যা ভাইরাসের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। উদ্ভিদে ভাইরাসজনিত রোগ ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
গমের টুন্ডু:
ভুল অপশন: গমের টুন্ডু রোগ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়, যা গমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফাংগাল এবং ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ফলে সৃষ্টি হয়। এটি ভাইরাসজনিত নয়।
ধানের পাতা ধসা:
ভুল অপশন: ধানের পাতা ধসা রোগ ফাঙ্গাস দ্বারা সংঘটিত হয়, যা ধানের ফসলকে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এটি ভাইরাসজনিত নয়।
কলার বান্ডি টপ:
সঠিক অপশন: কলার বান্ডি টপ ভাইরাস (BBTV) নামক ভাইরাস দ্বারা সংঘটিত হয়, যা কলার ফসলের মধ্যে পাতা সংকোচন, পাতার ফোলাভাব এবং বান্ডি টপ ধরণের রোগ সৃষ্টি করে। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
গমের মরিচা:
ভুল অপশন: গমের মরিচা রোগ ফাঙ্গাস দ্বারা সংঘটিত হয় এবং এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের উদ্ভিদ রোগ ও ভাইরাসের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে সহায়ক। ভাইরাসজনিত রোগগুলি উদ্ভিদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং ফসলের উৎপাদনশীলতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক উত্তর হলো “কলার বান্ডি টপ,” কারণ এটি ভাইরাসজনিত রোগ যা কলার ফসলকে আক্রমণ করে।
24 / 50
24.
ভাইরাসজনিত রোগ কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ভাইরাসজনিত রোগ কোনটি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসজনিত এবং ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য কারণ দ্বারা সৃষ্ট রোগের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ভাইরাসজনিত রোগগুলো বিশেষভাবে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং এগুলো সাধারণত সংক্রামক প্রকৃতির হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
ক্যাপসি সারকোমা:
সঠিক উত্তর: ক্যাপসি সারকোমা হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা হিউম্যান হার্পেস ভাইরাস ৮ (HHV-8) দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি সাধারণত ইমিউন সিস্টেম দুর্বল ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়, যেমন এইচআইভি/এইডস রোগীদের ক্ষেত্রে।
ডিপথেরিয়া:
ভুল অপশন: ডিপথেরিয়া একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা Corynebacterium diphtheriae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়।
টিটেনাস:
ভুল অপশন: টিটেনাসও একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা Clostridium tetani ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়।
ব্রঙ্কোমাইকোসিস:
ভুল অপশন: ব্রঙ্কোমাইকোসিস হলো ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যা ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাইরাসজনিত রোগ এবং অন্যান্য সংক্রমণজনিত রোগের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর ক্যাপসি সারকোমা , যা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসজনিত রোগ এবং তাদের লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক হবে।
25 / 50
25.
বিনাইন টারশিয়ান ম্যালেরিতা পরজীবী কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “বিভাইনে টারশিয়ান ম্যালেরিয়া পরজীবী কোনটি?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়া রোগের বিভিন্ন পরজীবী এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীর জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া হল একটি সংক্রামক রোগ যা Plasmodium পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট, এবং এটি প্রধানত মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। ম্যালেরিয়ার বিভিন্ন ধরনের পরজীবী রয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন ধরনের ম্যালেরিয়া সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Plasmodium vivax:
সঠিক অপশন: Plasmodium vivax হল টারশিয়ান ম্যালেরিয়া পরজীবী যা ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ম্যালেরিয়া সংক্রমণের জন্য দায়ী। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
Plasmodium malariae:
ভুল অপশন: Plasmodium malariae হল কোয়ার্টান ম্যালেরিয়ার কারণ, যা টারশিয়ান ম্যালেরিয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Plasmodium ovale:
ভুল অপশন: Plasmodium ovale একটি বিরল প্রজাতি যা মূলত আফ্রিকায় পাওয়া যায় এবং এটি টারশিয়ান ম্যালেরিয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Plasmodium falciparum:
ভুল অপশন: Plasmodium falciparum হল সবচেয়ে মারাত্মক ম্যালেরিয়া পরজীবী যা প্রাণঘাতী সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এটি টারশিয়ান ম্যালেরিয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া রোগের বিভিন্ন পরজীবী এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক উত্তর এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ম্যালেরিয়ার বিভিন্ন ধরনের পরজীবী এবং তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
26 / 50
26.
কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া-“
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার আকার এবং গঠন সম্পর্কে ধারণা যাচাই করা হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন আকৃতি থাকতে পারে, এবং এই ক্ষেত্রে, কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Pseudomonas:
ভুল অপশন: Pseudomonas হলো রড-আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (rod-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়। তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
Vibrio:
সঠিক অপশন: Vibrio হলো কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (comma-shaped bacteria)। Vibrio cholerae হল এক ধরনের Vibrio ব্যাকটেরিয়া, যা কলেরা রোগ সৃষ্টি করে। এটি সঠিক উত্তর।
Spirillium:
ভুল অপশন: Spirillium হলো সর্পিল আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (spiral-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
Sarcina:
ভুল অপশন: Sarcina হলো কক্কি আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (cocci-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি এবং তাদের পার্থক্য নিয়ে জ্ঞান যাচাই করা হচ্ছে। কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া Vibrio নামে পরিচিত এবং এটি রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে Vibrio cholerae যা কলেরা রোগ সৃষ্টি করে। সঠিক উত্তর হলো “Vibrio,” কারণ এটি কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া।
27 / 50
27.
কোন ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ার পাট থেকে আঁশকে পৃথক করা যায়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন ব্যাকটেরিয়ার ক্লিস্টার পাউ থেকে আংশকে পৃথক করা যায়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার গঠন এবং তাদের প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ক্লিস্টার পাউ (Clostridium) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে এবং প্রয়োজন হলে নতুন কোষ তৈরি করতে পারে। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার ক্লিস্টার পাউ সম্পর্কিত ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Azotobacter:
ভুল অপশন: Azotobacter হলো একটি নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া, যা মাটিতে উপস্থিত থাকে। এটি ক্লিস্টার পাউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না।
Pseudomonas:
ভুল অপশন: Pseudomonas হলো একটি দন্ডাকার ব্যাকটেরিয়া, যা মাটিতে এবং জলাশয়ে পাওয়া যায়। এটি ক্লিস্টার পাউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না।
Clostridium:
সঠিক উত্তর: Clostridium হলো সেই ব্যাকটেরিয়া, যা ক্লিস্টার পাউ থেকে আংশকে পৃথক করতে সক্ষম। এটি একটি স্পোর গঠনকারী ব্যাকটেরিয়া, যা প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে এবং অনুকূল পরিবেশে নতুন কোষে রূপান্তরিত হতে পারে।
Bacillus:
ভুল অপশন: Bacillus একটি স্পোর গঠনকারী ব্যাকটেরিয়া হলেও, এটি ক্লিস্টার পাউ প্রক্রিয়ায় Clostridium-এর মতো প্রভাবশালী নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন প্রক্রিয়া এবং ক্লিস্টার পাউ সম্পর্কিত ধারণা স্পষ্ট করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর Clostridium , যা স্পোর গঠনকারী ব্যাকটেরিয়া এবং প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য স্পোর তৈরি করতে পারে। এই ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের মাইক্রোবায়োলজি সম্পর্কিত গভীর জ্ঞান প্রদান করতে সহায়ক।
28 / 50
28.
টোবাকো মোজাইক ভাইরাস এ কতটি ক্যাপসোমিয়ার থাকে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “টোবাকো মোজাইক ভাইরাস এ কতটি ক্যাপসোমিয়ার থাকে?”
এই প্রশ্নটি ভাইরোলজি বিষয়ে শিক্ষার্থীর ধারণা যাচাই করার জন্য করা হয়েছে, বিশেষত টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV) এর কাঠামো সম্পর্কে। ক্যাপসোমিয়ার হল প্রোটিন সাবইউনিট যা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানকে ঘিরে রাখে এবং ভাইরাসের ক্যাপসিড গঠন করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
২৩০০ – ২৫৪০:
ভুল অপশন: টোবাকো মোজাইক ভাইরাসের ক্যাপসোমিয়ার সংখ্যা সাধারণত ২১৩০-এর কাছাকাছি, তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
২১৩০ – ২২০০:
সঠিক অপশন: এই অপশনটি সঠিক কারণ টোবাকো মোজাইক ভাইরাসে সাধারণত প্রায় ২১৩০টি ক্যাপসোমিয়ার থাকে।
২৩৬০ – ২৪৭০:
ভুল অপশন: এই সংখ্যা টোবাকো মোজাইক ভাইরাসের ক্যাপসোমিয়ার সংখ্যা নয়, তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
২৪১০ – ২৫৬০:
ভুল অপশন: এই সংখ্যাও টোবাকো মোজাইক ভাইরাসের ক্যাপসোমিয়ার সংখ্যা নয়, তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি টোবাকো মোজাইক ভাইরাসের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাদের জ্ঞান পরীক্ষা করে। ভাইরাসের ক্যাপসিড গঠন এবং ক্যাপসোমিয়ার সংখ্যা ভাইরোলজির একটি মৌলিক ধারণা, যা ভাইরাসের কার্যকলাপ এবং সংক্রমণের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
29 / 50
29.
নিচের কোনটি দ্বি-সুত্রক RNA ভাইরাস?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি দ্বি-সু্ত্রক RNA ভাইরাস?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনোমিক গঠন সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাসের জিনোম সাধারণত DNA বা RNA দ্বারা গঠিত হয়, এবং RNA ভাইরাসের মধ্যে কিছু একক-সু্ত্রক (single-stranded) এবং কিছু দ্বি-সু্ত্রক (double-stranded) RNA নিয়ে গঠিত হয়। এই প্রশ্নটি বিশেষভাবে দ্বি-সু্ত্রক RNA ভাইরাস সনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
HIV:
ভুল অপশন: HIV (Human Immunodeficiency Virus) একটি একক-সু্ত্রক RNA ভাইরাস, যা রেট্রোভাইরাস হিসেবে পরিচিত। এটি দ্বি-সু্ত্রক RNA ভাইরাস নয়।
TIV:
ভুল অপশন: TIV (Trivalent Influenza Vaccine) একটি ভ্যাকসিন, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি কোনো RNA ভাইরাস নয়।
Reoviridae:
সঠিক উত্তর: Reoviridae হলো দ্বি-সু্ত্রক RNA ভাইরাসের একটি পরিবার। এই ভাইরাস পরিবারে বিভিন্ন ভাইরাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলো দ্বি-সু্ত্রক RNA দ্বারা গঠিত।
Parvoviridae:
ভুল অপশন: Parvoviridae হলো একক-সু্ত্রক DNA ভাইরাসের একটি পরিবার। এটি RNA ভাইরাস নয়, এবং অবশ্যই দ্বি-সু্ত্রক RNA ভাইরাস নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনোমিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরও ভালোভাবে ধারণা প্রদান করবে। সঠিক উত্তর Reoviridae , যা দ্বি-সু্ত্রক RNA ভাইরাসের একটি উদাহরণ। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের জিনোমিক গঠন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করবে।
30 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “এইডস কী কারণে হয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের এইডস (AIDS) রোগের কারণ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এইডস হলো একটি ক্রনিক সংক্রমণ, যা ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে এবং মানুষের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের প্রতি সংবেদনশীল করে তোলে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভাইরাস:
সঠিক উত্তর: এইডস রোগের কারণ হলো HIV (Human Immunodeficiency Virus) নামক একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের প্রধান কোষগুলিকে আক্রমণ করে এবং ধীরে ধীরে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে ফেলে, যার ফলে শরীর বিভিন্ন সংক্রমণের প্রতি অসহায় হয়ে পড়ে।
বংশগত:
ভুল অপশন: এইডস কোনো বংশগত রোগ নয়। এটি একটি সংক্রামক রোগ, যা সংক্রামিত রক্ত, যৌন সঙ্গম, বা অন্যান্য মাধ্যমের মাধ্যমে ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়া:
ভুল অপশন: ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন সংক্রমণের কারণ হতে পারে, তবে এইডস রোগের কারণ নয়। এইডস একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
প্যারাসাইট:
ভুল অপশন: প্যারাসাইট হলো এক ধরনের অণুজীব, যা হোস্টের শরীরে বাস করে এবং সেখান থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে। তবে প্যারাসাইট দ্বারা এইডস হয় না।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের HIV ভাইরাস এবং এইডস রোগের মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করে। সঠিক উত্তর ভাইরাস , কারণ HIV ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এইডস রোগ হয়। এটি শিক্ষার্থীদের এইডস সম্পর্কে আরও সচেতন করতে সাহায্য করবে এবং এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে ধারণা দেবে।
31 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি হ্যাপ্লয়েড?”
এই প্রশ্নটি মাইটোসিস এবং মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন কোষের ক্রোমোসোমের সংখ্যা বোঝার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। হ্যাপ্লয়েড কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা একগুণ থাকে, যা সাধারণত গ্যামেট বা যৌন কোষে পাওয়া যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
জাইগোট:
ভুল অপশন: জাইগোট একটি ডিপ্লয়েড কোষ, যা দুটি হ্যাপ্লয়েড গ্যামেটের মিশ্রণে গঠিত হয়। এটি হ্যাপ্লয়েড নয়, বরং ডিপ্লয়েড। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
উকিনেট:
ভুল অপশন: উকিনেট হল একটি প্রোটোজোয়া যা ম্যালেরিয়ার রোগজীবাণুর একটি ধাপ। এটি হ্যাপ্লয়েড নয়, বরং ম্যালেরিয়ার জীবাণুর জটিল জীবচক্রের একটি অংশ। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
শুক্রাণু:
সঠিক অপশন: শুক্রাণু একটি হ্যাপ্লয়েড কোষ যা পুরুষ গ্যামেট হিসেবে কাজ করে। এটি ২৩টি ক্রোমোসোম ধারণ করে, যা মায়োসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। তাই এই অপশনটি সঠিক।
উসিস্ট:
ভুল অপশন: উসিস্ট একটি প্রোটোজোয়ার অবস্থা, যা সিস্ট নামে পরিচিত। এটি হ্যাপ্লয়েড নয়। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মাইটোসিস এবং মিয়োসিস প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু হল হ্যাপ্লয়েড কোষ, যা জনন কোষ হিসেবে পরিচিত এবং গ্যামেটোসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। শিক্ষার্থীরা এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড কোষের মধ্যে পার্থক্য আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
32 / 50
32.
ম্যালেরিয়ার জীবাণু কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ম্যালেরিয়ার জীবাণু কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া রোগের কারণ এবং তার জীবাণু সম্পর্কিত ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া একটি প্রোটোজোয়া পরজীবি দ্বারা সৃষ্ট, যা সাধারণত মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Protozoa:
সঠিক উত্তর: ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রোটোজোয়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। ম্যালেরিয়া পরজীবি প্লাজমোডিয়াম নামে পরিচিত, যা একটি এককোষী প্রোটোজোয়া এবং এটি মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
Hydrozoa:
ভুল অপশন: Hydrozoa হলো একটি সি-নেটেল জন্তুদের শ্রেণি, যা সাধারণত সাগরে বাস করে। এটি ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সাথে সম্পর্কিত নয়।
Sporozoa:
ভুল অপশন: Sporozoa হলো প্রোটোজোয়ার একটি উপশ্রেণি, তবে এটি ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সঠিক শ্রেণি নয়। ম্যালেরিয়া পরজীবি সরাসরি Protozoa শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
Insecta:
ভুল অপশন: Insecta হলো পোকামাকড়ের শ্রেণি, যা ম্যালেরিয়া জীবাণু নয়, বরং মশা এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত যা ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ঘটায়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া জীবাণু এবং তার শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর Protozoa , যা ম্যালেরিয়া জীবাণুর সঠিক শ্রেণি। ম্যালেরিয়া পরজীবি প্রোটোজোয়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, এবং এটি মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।
33 / 50
33.
অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত ঈস্টকে নিচের কোন ভাইরাসটি ধ্বংস করে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত স্টুটকে নিচের কোন ভাইরাসটি ধ্বংস করে?”
এই প্রশ্নটি অ্যালকোহল শিল্প এবং এর সাথে সম্পর্কিত ভাইরাস ধ্বংসের প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি ভাইরাস ধ্বংসের ক্ষেত্রে অ্যালকোহলের ভূমিকা এবং সঠিক স্টুট নির্বাচন সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
সায়ানোফাগ:
ভুল অপশন: সায়ানোফাগ একটি ফেজ ভাইরাস যা সায়ানোব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এটি অ্যালকোহল দ্বারা ধ্বংস হয় না এবং অ্যালকোহল শিল্পের স্টুটের সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
জাইমোফাগ:
সঠিক অপশন: জাইমোফাগ হলো একটি ফেজ ভাইরাস যা ইস্ট বা খামির কোষকে আক্রমণ করে। অ্যালকোহল শিল্পে জাইমোফাগকে ধ্বংস করা প্রয়োজন হয়, এবং স্টুট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি ধ্বংস করা সম্ভব। তাই এই অপশনটি সঠিক।
ইবোলা:
ভুল অপশন: ইবোলা একটি মানব ভাইরাস যা ফিলোভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এটি অ্যালকোহল শিল্পের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং স্টুট প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করার বিষয়েও এটি প্রযোজ্য নয়। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
পলিোহাইড্রোসিস:
ভুল অপশন: পলিোহাইড্রোসিস একটি প্রোটিনসৃষ্ট রোগ যা কিছু পোকামাকড়ের মধ্যে দেখা যায়। এটি ভাইরাস নয় এবং অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত স্টুটের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অ্যালকোহল শিল্পে ভাইরাস ধ্বংসের ক্ষেত্রে স্টুটের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। জাইমোফাগ ভাইরাস ধ্বংসের প্রক্রিয়াটি অ্যালকোহল শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি জেনে রাখা প্রয়োজন।
34 / 50
34.
ডেঙ্গু রোগের জন্য যে ভাইরাসটি দায়ী সেটি হলো-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু রোগের জন্য যে ভাইরাসটি দায়ী সেটি হলো-“
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগ এবং এর কারণ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা বিশেষত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এবং মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
ফ্ল্যাভি:
সঠিক উত্তর: ডেঙ্গু রোগের জন্য ফ্ল্যাভি (Flavivirus) ভাইরাস দায়ী। ফ্ল্যাভি ভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত ডেঙ্গু ভাইরাস হলো চারটি ভিন্ন ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এই ভাইরাসের সংক্রমণে ডেঙ্গু জ্বর হয়।
এইচ আই ভি:
ভুল অপশন: এইচ আই ভি (HIV) হলো মানবদেহের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য পরিচিত ভাইরাস, যা এইডস রোগের কারণ। এটি ডেঙ্গু রোগের সাথে সম্পর্কিত নয়।
নিপাহ:
ভুল অপশন: নিপাহ ভাইরাস হলো এনসেফালাইটিস এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টিকারী একটি ভাইরাস, যা নিপাহ ভাইরাস ইনফেকশন (NiV) নামক রোগের কারণ হয়। এটি ডেঙ্গু রোগের কারণ নয়।
ইবোলা:
ভুল অপশন: ইবোলা ভাইরাস মারাত্মক হেমোর্যাজিক জ্বর সৃষ্টিকারী একটি ভাইরাস, যা ইবোলা ভাইরাস রোগের (EVD) জন্য দায়ী। এটি ডেঙ্গু রোগের সাথে সম্পর্কিত নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু ভাইরাস এবং এর কারণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর ফ্ল্যাভি ভাইরাস, যা ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী। এটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগের প্রকৃতি এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কে জানাতে সহায়ক হবে।
35 / 50
35.
নিউক্লিক এসিড এবং ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত সংক্রমণক্ষম ভাইরাস কণাকে কী বলে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিউক্লিক এসিড এবং ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণাকে কী বলে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং তার সংক্রামক ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাস মূলত নিউক্লিক এসিড (DNA বা RNA) এবং প্রোটিন ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত একটি কণা, যা সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা রাখে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভিরিয়ন:
সঠিক উত্তর: ভিরিয়ন হলো একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণা, যা নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিন ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত। এটি ভাইরাসের সক্রিয় রূপ, যা সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।
ভিরয়েড:
ভুল অপশন: ভিরয়েড হলো ছোট এবং সংক্রামক RNA কণা, যা সাধারণত উদ্ভিদকে সংক্রমিত করে। এটি ভাইরাসের মতো প্রোটিন ক্যাপসিড দ্বারা আবৃত নয় এবং এটি পূর্ণাঙ্গ ভাইরাস নয়।
প্রিয়ন:
ভুল অপশন: প্রিয়ন হলো সংক্রমক প্রোটিন কণা, যা সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি কোনো নিউক্লিক এসিড ধারণ করে না এবং এটি ভাইরাস নয়।
নিউক্লিওক্যাপসিড:
ভুল অপশন: নিউক্লিওক্যাপসিড হলো ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিন ক্যাপসিডের যৌথ গঠন, তবে এটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভিরিয়ন নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং সংক্রামক ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর ভিরিয়ন , যা একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণা। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের কার্যক্রম এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সহায়তা করবে।
36 / 50
36.
কোনটি ব্যাকটিরয়া জনিত রোগ নয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়?”
এই প্রশ্নটি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া জনিত এবং অ-ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের পার্থক্য যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। অনেক রোগ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়, তবে কিছু রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া নয়, বরং অন্যান্য জীবাণু।
অপশন বিশ্লেষণ:
জলাতঙ্ক:
সঠিক অপশন: জলাতঙ্ক হলো একটি ভাইরাস জনিত রোগ, যা সাধারণত প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি কোনো ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর।
টাইফয়েড:
ভুল অপশন: টাইফয়েড হলো একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ, যা Salmonella typhi নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ।
নিউমোনিয়া:
ভুল অপশন: নিউমোনিয়া হলো একটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ফাঙ্গাস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। সাধারণত Streptococcus pneumoniae ব্যাকটেরিয়া নিউমোনিয়ার কারণ হয়, তাই এটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ হতে পারে।
যক্ষ্মা:
ভুল অপশন: যক্ষ্মা (টিবি) হলো Mycobacterium tuberculosis ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগের পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করা হয়। জলাতঙ্ক একটি ভাইরাস জনিত রোগ, তাই এটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়। অন্যদিকে, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, এবং যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ।
37 / 50
37.
কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ এবং অন্যান্য প্যাথোজেন দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়া অনেক রোগের কারণ হতে পারে, এবং সঠিক রোগ চিহ্নিত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্যাথোজেন সম্পর্কিত জ্ঞান বাড়াতে পারবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া একটি প্রোটোজোয়া পরজীবি (প্লাজমোডিয়াম) দ্বারা সৃষ্ট রোগ, যা মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ নয়।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট নয়।
কলেরা:
সঠিক উত্তর: কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ, যা Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি পানির মাধ্যমে এবং খারাপ স্যানিটেশনের কারণে ছড়ায়।
হেপাটাইটিস:
ভুল অপশন: হেপাটাইটিস একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা প্রধানত লিভারকে প্রভাবিত করে। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য প্যাথোজেন দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সহায়ক। সঠিক উত্তর হলো কলেরা , যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সাধারণ রোগ।
38 / 50
38.
সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?”
এই প্রশ্নটি সোয়াইন ফ্লু রোগের কারণভিত্তিক জ্ঞান যাচাইয়ের জন্য করা হয়েছে। সোয়াইন ফ্লু একটি ভাইরাস জনিত রোগ, যা সাধারণত শূকর এবং মানব উভয়ের মধ্যেই সংক্রমিত হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
CMV:
ভুল অপশন: CMV বা Cytomegalovirus একটি ভিন্ন ধরনের ভাইরাস যা হারপিস ভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি সোয়াইন ফ্লুর কারণ নয়।
HIV:
ভুল অপশন: HIV (Human Immunodeficiency Virus) হলো এআইডস এর জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি সোয়াইন ফ্লুর কারণ নয়।
H1N1:
সঠিক অপশন: H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস টাইপ এ-এর একটি স্ট্রেইন, যা সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী। এটি মূলত শূকর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এবং মহামারী সৃষ্টি করতে সক্ষম।
রুবেলা:
ভুল অপশন: রুবেলা ভাইরাস হলো জার্মান মিজলস নামে পরিচিত রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি সোয়াইন ফ্লুর জন্য দায়ী নয়।
নোট:
সোয়াইন ফ্লু একটি বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে ঘটে, বিশেষত H1N1 ভাইরাসের মাধ্যমে। সোয়াইন ফ্লু রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে এই ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক।
39 / 50
39.
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর মূলত কি দিয়ে গঠিত?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর মূলত কি দিয়ে গঠিত?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়া জীববিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা নিয়ে তৈরি। ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের মূল উপাদান জানতে চাওয়া হয়েছে। এটি ব্যাকটেরিয়ার আকার বজায় রাখা এবং শারীরিক প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
মুরামিক এসিড:
ভুল অপশন: মুরামিক এসিড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গঠনে ভূমিকা পালন করে, তবে এটি একা কোষ প্রাচীর গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। এটি পেপটাইডোগ্লাইকান গঠনের অংশ, কিন্তু প্রধান উপাদান নয়।
কাইটিন:
ভুল অপশন: কাইটিন একটি পলিস্যাকারাইড যা মূলত ছত্রাক ও কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে পাওয়া যায়। ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গঠনে এটি কোনো ভূমিকা পালন করে না।
সেলুলোজ:
ভুল অপশন: সেলুলোজ একটি পলিস্যাকারাইড যা উদ্ভিদ কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের অংশ নয়।
মিউকোপেপটাইড (পেপটাইডোগ্লাইকান):
সঠিক অপশন: ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর প্রধানত পেপটাইডোগ্লাইকান (মিউকোপেপটাইড) দিয়ে গঠিত, যা পলিস্যাকারাইড এবং পেপটাইডের মিশ্রণ। এটি কোষ প্রাচীরকে শক্তিশালী করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করে।
নোট:
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর পেপটাইডোগ্লাইকান দিয়ে গঠিত, যা ব্যাকটেরিয়াকে আকার বজায় রাখতে এবং প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে শক্তিশালী রক্ষাকারী কাঠামো হিসেবে কাজ করে। সঠিক উত্তর হলো মিউকোপেপটাইড (পেপটাইডোগ্লাইকান) ।
40 / 50
40.
পেনিসিলিন এর আবিষ্কারক হলো?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “পেনিসিলিন এর আবিষ্কারক হলো?”
এই প্রশ্নটি পেনিসিলিনের আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। পেনিসিলিন ছিল প্রথম আবিষ্কৃত অ্যান্টিবায়োটিক, যা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর। ১৯২৮ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এটি আবিষ্কার করেন এবং তা দ্রুত চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটায়। ফ্লেমিং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধে একটি ছত্রাকের কার্যকারিতা লক্ষ্য করেন, যা পরবর্তীতে পেনিসিলিন নামে পরিচিত হয়।
প্রশ্নটি বিশেষভাবে বিজ্ঞানী এবং তাদের আবিষ্কার সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করে, যা শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ও বিজ্ঞান নিয়ে সুদূরপ্রসারী ধারণা তৈরি করতে সহায়ক।
অপশন বিশ্লেষণ:
পাস্তুর:
ভুল অপশন: লুই পাস্তুর একজন বিখ্যাত ফরাসি জীববিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদ ছিলেন, যিনি পাস্তুরাইজেশন এবং জীবাণুবিজ্ঞানের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। যদিও পাস্তুর ব্যাকটেরিয়ার জীববিজ্ঞান নিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন, তিনি পেনিসিলিন আবিষ্কার করেননি। তাই, এই অপশনটি ভুল।
টাসলি:
ভুল অপশন: টাসলি নামে কোনো প্রখ্যাত বিজ্ঞানীর নাম পেনিসিলিনের আবিষ্কারের সাথে যুক্ত নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল অপশন।
বেন্ডা:
ভুল অপশন: বেন্ডা নামক কোনো বিজ্ঞানীর আবিষ্কারের সাথে পেনিসিলিনের সম্পর্ক নেই। এটি একটি ভুল উত্তর।
ফ্লেমিং:
সঠিক অপশন: স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ১৯২৮ সালে পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন। তিনি দুর্ঘটনাক্রমে এটি আবিষ্কার করেন, যখন তিনি দেখেন যে পেনিসিলিয়াম ছত্রাক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। এই আবিষ্কারটি অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার যুগের সূচনা করে এবং সংক্রমণ রোধে চিকিৎসার ক্ষেত্রকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দেয়। সুতরাং, এই অপশনটি সঠিক।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের ইতিহাস এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের প্রভাব সম্পর্কে গভীর জ্ঞান দিতে সহায়ক। পেনিসিলিনের আবিষ্কার চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিকের উদ্ভাবন মানব ইতিহাসে স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনরক্ষার ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য এনেছে। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের কার্যক্রম এবং এর গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে, যা তাদের সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করবে।
এভাবে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানী এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে, যা তাদের ইতিহাস ও বিজ্ঞান দুইয়েরই প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
41 / 50
41.
সমগোত্রীয় নয় কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “সমগোত্রীয় জ্বর কোনটি?”
এই প্রশ্নটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের সংক্রামক রোগ সম্পর্কিত। এখানে সমগোত্রীয় জ্বর অর্থ এমন একটি জ্বর যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য সংক্রামক কারণ দ্বারা সৃষ্ট এবং একই ধরণের জ্বরের উপসর্গ রয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Yellow Fever:
ভুল অপশন: ইয়েলো ফিভার একটি ভাইরাস-সৃষ্ট রোগ যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সমগোত্রীয় জ্বর নয়, কারণ এর সংক্রমণ ও লক্ষণ অন্যান্য সাধারণ জ্বরের সাথে সম্পূর্ণ আলাদা।
Typhoid Fever:
সঠিক অপশন: টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া (Salmonella typhi) দ্বারা সৃষ্ট রোগ, যা সাধারণত খারাপ পানির মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সমগোত্রীয় জ্বর কারণ টাইফয়েডের উপসর্গগুলি অনেক সাধারণ জ্বরের মতো এবং এর চিকিৎসাও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
Influenza Fever:
ভুল অপশন: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। যদিও এর উপসর্গ জ্বরের মতো, এটি সমগোত্রীয় জ্বর নয়, কারণ এর কারণ এবং সংক্রমণের ধরন টাইফয়েড থেকে ভিন্ন।
Dengue Fever:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি মশা-বাহিত ভাইরাস-জনিত রোগ। এটি সমগোত্রীয় জ্বর নয়, কারণ এর লক্ষণ ও সংক্রমণ পদ্ধতি টাইফয়েডের থেকে আলাদা।
নোট:
সমগোত্রীয় জ্বর মূলত এমন একটি জ্বরকে বোঝায়, যা সংক্রমণ বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে ঘটে এবং এর উপসর্গগুলি এক ধরণের জ্বরের মতো হয়। টাইফয়েড ফিভার এমন একটি উদাহরণ, যা সাধারণ জ্বরের উপসর্গের সাথে মেলে এবং এটি ব্যাকটেরিয়া-সৃষ্ট। সঠিক উত্তর হলো Typhoid Fever ।
42 / 50
42.
ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাস শ্রেণীবিন্যাসের মৌলিক ধারণা এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের সঠিক নাম এবং তার পরিবারের সাথে সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগ, যা সাধারণত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়, তার মূল কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস। এই ভাইরাসটি একটি RNA ভাইরাস এবং Flaviviridae ভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা Flaviviridae পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Flaviviridae:
সঠিক উত্তর: ডেঙ্গু ভাইরাস Flaviviridae পরিবারের অন্তর্গত। এটি একটি একক-সু্ত্রক RNA ভাইরাস, যা মানুষের শরীরে এডিস মশার মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা এবং র্যাশের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। Flaviviridae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য ভাইরাসগুলির মধ্যে জিকা, হলুদ জ্বর, এবং পশ্চিম নাইল ভাইরাস উল্লেখযোগ্য।
Claviviridae:
ভুল অপশন: Claviviridae নামে কোনো ভাইরাস পরিবারের অস্তিত্ব নেই। এটি একটি ভুল উত্তর, কারণ এটির সাথে ডেঙ্গু ভাইরাসের কোনো সম্পর্ক নেই।
Revolaviridae:
ভুল অপশন: Revolaviridae নামেও কোনো ভাইরাস পরিবার নেই। এটি একটি কাল্পনিক নাম এবং ভাইরাস শ্রেণীবিন্যাসে এ ধরনের কোনো পরিবারের উল্লেখ নেই।
Cyclolaviviridae:
ভুল অপশন: Cyclolaviviridae নামে কোনো ভাইরাস পরিবারের অস্তিত্ব নেই। এটি একটি ভুল উত্তর, যা ডেঙ্গু ভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি ভাইরাস শ্রেণীবিন্যাস এবং নির্দিষ্ট রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গু ভাইরাস Flaviviridae পরিবারের অন্তর্গত, এবং এই পরিবারের ভাইরাসগুলো সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং মানুষের জন্য মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক উত্তর Flaviviridae ।
Dengue virus is the cause of dengue fever. It is a mosquito-borne, single positive-stranded RNA virus of the family Flaviviridae; genus Flavivirus. Four serotypes of the virus have been found, a reported fifth has yet to be confirmed, all of which can cause the full spectrum of disease. Wikipedia
43 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “দুধ থেকে দই হয় নিচের—”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্নটি দইয়ের উৎপত্তি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা যাচাই করতে সাহায্য করে। দুধ থেকে দই হওয়ার প্রক্রিয়াটি মূলত ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ঘটে, যা দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
প্রোটোজোয়া:
ভুল অপশন: প্রোটোজোয়া এককোষী প্রাণী যা সাধারণত বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, কিন্তু দুধ থেকে দই হওয়ার ক্ষেত্রে এর কোনো ভূমিকা নেই।
ভাইরাস:
ভুল অপশন: ভাইরাস একধরনের অণুজীব যা প্রজননের জন্য একটি হোস্টের প্রয়োজন। ভাইরাসেরও দুধ থেকে দই বানানোর প্রক্রিয়ায় কোনো ভূমিকা নেই।
ব্যাকটেরিয়া:
সঠিক অপশন: দুধ থেকে দই হওয়ার প্রক্রিয়া মূলত ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ঘটে। এটি দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করে, ফলে দুধ জমাট বেঁধে দইয়ে পরিণত হয়।
ছত্রাক:
ভুল অপশন: ছত্রাক সাধারণত অন্যান্য জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়, তবে দুধ থেকে দই বানানোর প্রক্রিয়ায় ছত্রাকের কোনো ভূমিকা নেই।
নোট:
দুধ থেকে দই বানানোর প্রক্রিয়ায় ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া মূল ভূমিকা পালন করে। তাই, সঠিক উত্তর হলো ব্যাকটেরিয়া।
44 / 50
44.
বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক টিকা কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক টিকা কোনটি?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক টিকা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া একটি মারাত্মক রোগ, যা প্লাসমোডিয়াম পরজীবীর মাধ্যমে ছড়ায় এবং এটি এডিস মশার কামড়ে মানুষে সংক্রমিত হয়। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর একটি টিকা হলো মশা-বাহিত এই রোগের বিরুদ্ধে প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রতিষেধক।
অপশন বিশ্লেষণ:
Mosquifix:
ভুল অপশন: Mosquifix নামে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক কোনো টিকা নেই। এটি একটি ভুল অপশন। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের প্রথম কার্যকর টিকার নাম Mosquirix।
Mosquirix:
সঠিক অপশন: Mosquirix হলো ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে প্রথম কার্যকর এবং বিশ্বে অনুমোদিত টিকা। এটি শিশুদের ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
Mosquitrix:
ভুল অপশন: Mosquitrix নামে কোনো টিকা নেই। এটি একটি ভুল অপশন। Mosquirix হলো সঠিক টিকা।
Mosquirelief:
ভুল অপশন: Mosquirelief নামের কোনো টিকা নেই। এটি ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। তাই, এই অপশনটিও ভুল।
নোট:
Mosquirix হলো বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক টিকা, যা দীর্ঘদিনের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন পেয়েছে। এটি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বিশেষত আফ্রিকার শিশুদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক পদক্ষেপ সম্পর্কে শিক্ষিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
45 / 50
45.
হেপাটাইটিস সি কে আবিষ্কার করেন?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “হেপাটাইটিস সি কে আবিষ্কার করেন?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের আবিষ্কার এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। হেপাটাইটিস সি হলো একটি ভাইরাস যা প্রধানত লিভারকে সংক্রমিত করে, এবং এর আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
অপশন বিশ্লেষণ:
Gallow:
ভুল অপশন: Gallow নামে কোনো ব্যক্তি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত নন। এটি ভুল উত্তর।
Stanley:
ভুল অপশন: Stanley এর নামের সাথে হেপাটাইটিস সি আবিষ্কারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ভুল উত্তর।
Hervey J. Alter:
সঠিক উত্তর: Hervey J. Alter একজন চিকিৎসক ও গবেষক, যিনি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি এবং তার সহকর্মীরা রক্ত সংক্রমণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস শনাক্ত করেন। ২০২০ সালে তাকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
Edward Jenner:
ভুল অপশন: Edward Jenner প্রথম সফল ভ্যাকসিন আবিষ্কারক হিসেবে পরিচিত, তবে তিনি হেপাটাইটিস সি আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি স্মলপক্স ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাইরাস আবিষ্কার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের সম্পর্কে ধারণা দেয়। সঠিক উত্তর Hervey J. Alter , যিনি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
Hervey J.Alter হেপাটাইটিস -সি ভাইরাস আবিষ্কার করেন৷
Ref-Hasan Sir,P-140,2020 Edition
46 / 50
46.
লইটিক চক্রের মাধ্যমে ১ মিনিটে কয়টি নতুন ফায গঠিত হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “লাইটিক চক্রের মাধ্যমে ১ মিনিটে কয়টি নতুন ফাজ সৃষ্টি হয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের লাইটিক চক্রের প্রক্রিয়া এবং ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। লাইটিক চক্র হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যাকটেরিওফাজ ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবেশ করে এবং কোষকে ধ্বংস করে নতুন ফাজ তৈরি করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
১০টি:
সঠিক উত্তর: লাইটিক চক্রের মাধ্যমে প্রতি মিনিটে প্রায় ১০টি নতুন ফাজ তৈরি হতে পারে। এই সংখ্যা সাধারণত নির্ভর করে ব্যাকটেরিয়ার ধরন এবং সংক্রমণের গতি উপর, তবে ১০টি একটি গ্রহণযোগ্য উত্তর।
৩০টি:
ভুল অপশন: ৩০টি নতুন ফাজ ১ মিনিটে গঠিত হয় না। সাধারণত, লাইটিক চক্রের গতি এই সংখ্যায় পৌঁছায় না।
১০০টি:
ভুল অপশন: ১ মিনিটে লাইটিক চক্রের মাধ্যমে ১০০টি ফাজ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
৪০০টি:
ভুল অপশন: ৪০০টি ফাজ ১ মিনিটে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কারণ লাইটিক চক্রের মাধ্যমে সাধারণত এত বড় সংখ্যায় ফাজ তৈরি হয় না।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লাইটিক চক্রের প্রক্রিয়া এবং ভাইরাস বংশবৃদ্ধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হলো ১০টি , যা ১ মিনিটে লাইটিক চক্রের মাধ্যমে তৈরি হওয়া নতুন ফাজের সংখ্যা নির্দেশ করে।
লাইটিক চক্রের মাধ্যমে ৩০ মিনিটে ৩০০ টি নতুন ফাজ সৃষ্টি হয়৷ ঐকিক নিয়মে ১ মিনিটে হয় ১০ টি৷
Ref-Hasan Sir,P-147,2020 Edition
47 / 50
47.
কোনটি উদ্ভিদদেহের রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি উদ্ভিদের রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস?”
এই প্রশ্নটি উদ্ভিদবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের উদ্ভিদের রোগ এবং ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা যাচাই করতে দেয়। উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলো উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশকে আক্রমণ করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ইমেলো ফিভার ভাইরাস:
ভুল অপশন: এটি উদ্ভিদের রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস নয়; এটি সাধারণত প্রাণীদের মধ্যে সৃষ্ট ভাইরাস।
টুনবো ভাইরাস:
সঠিক অপশন: এটি একটি উদ্ভিদের রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস। উদ্ভিদে এটি বিভিন্ন ধরণের রোগ সৃষ্টি করে।
ফুট অ্যান্ড মাউথ ভাইরাস:
ভুল অপশন: এই ভাইরাসটি প্রাণীদের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করে এবং এটি উদ্ভিদের রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস নয়।
ফ্লু ভ্যাক্সিন ভাইরাস:
ভুল অপশন: এটি মানুষের মধ্যে ফ্লু প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত একটি ভাইরাস। উদ্ভিদের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
নোট:
উদ্ভিদের রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলোর মধ্যে “টুনবো ভাইরাস” অন্যতম। এটি উদ্ভিদের মধ্যে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। সঠিক উত্তর হলো “টুনবো ভাইরাস।”
48 / 50
48.
কোন ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক ও পিইটি খেতে পারে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক ও পিইটি (PET) খেতে পারে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ ক্ষমতা এবং পরিবেশ দূষণ রোধে এর ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিছু ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক এবং অন্যান্য কঠিন পদার্থ ভেঙে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, যা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
রাইজোবিয়াম লিলিগ্নোমেসোরাম:
ভুল অপশন: রাইজোবিয়াম একটি নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া, যা মূলত মাটিতে উদ্ভিদের সঙ্গে সহবাস করে এবং নাইট্রোজেন ফিক্সেশনের মাধ্যমে উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি প্লাস্টিক ভাঙতে বা পিইটি খেতে পারে না।
ক্যালজিব্যাক্টেরিয়া:
ভুল অপশন: ক্যালজিব্যাক্টেরিয়া প্লাস্টিক ভাঙতে পারে না বা পিইটি খেতে পারে না। এটি অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাই এটি ভুল অপশন।
ইডিওনেলা সাকারেনসিস:
সঠিক উত্তর: ইডিওনেলা সাকারেনসিস হলো একটি ব্যাকটেরিয়া যা পিইটি (PET) প্লাস্টিক খেতে সক্ষম। এটি প্লাস্টিক দূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ইনডোসিনিক্রোবিয়া:
ভুল অপশন: এই ব্যাকটেরিয়াটি প্লাস্টিক বা পিইটি খেতে পারে না। এটি পরিবেশগত উপাদানগুলির জন্য ব্যবহৃত হয় না, তাই এটি ভুল অপশন।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিক দূষণ কমাতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা দেয়। সঠিক উত্তর হলো ইডিওনেলা সাকারেনসিস , যা পিইটি প্লাস্টিক খেতে সক্ষম এবং পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইডেওনেলা সাকায়েনসিস’(Ideonella sakaiensis) নামের ব্যাকটেরিয়া দুটি এনজাইম ব্যবহার করে পলিইথিলিন টেরেপথালেটকে (PTE) ভেঙে ফেলে।
পরিবেশের জন্য সত্যিই এটা একটা ভালো খবর হতে পারে মন্তব্য করে CNN বলছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (WIF) তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বে যে সব প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয় তার এক তৃতীয়াংশই সংগ্রহের বাইরে গিয়ে পরিবেশে ছড়িয়ে যায়।
49 / 50
49.
নিচের কোনটি অকোষীয় ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি আকণ্ঠীয়?”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে আকণ্ঠীয় (Acellular) জীবের কথা বলা হচ্ছে। আকণ্ঠীয় জীব মানে সেই জীব যা কোষীয় গঠন দ্বারা গঠিত নয়। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসগুলো অন্তর্ভুক্ত।
অপশন বিশ্লেষণ:
ব্যাকটেরিয়া :
ভুল অপশন: ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী জীব যা প্রোক্যারিয়টিক কোষ গঠন করে। ব্যাকটেরিয়া আকণ্ঠীয় নয়, কারণ এর কোষ রয়েছে।
ফাঙ্গাস :
ভুল অপশন: ফাঙ্গাস বা ছত্রাক বহু-কোষী জীব হতে পারে এবং এগুলোর কোষ রয়েছে। তাই এটি আকণ্ঠীয় নয়।
ভাইরাস :
সঠিক অপশন: ভাইরাস হলো আকণ্ঠীয়, কারণ এর কোনো কোষ নেই। এটি একটি প্রোটিন কোটের ভেতরে জিনোম নিয়ে গঠিত। ভাইরাস শুধুমাত্র অন্য জীবের কোষের ভেতরে প্রবেশ করে নিজেকে পুনরুৎপাদন করতে পারে।
মস :
ভুল অপশন: মস হলো বহুকোষী উদ্ভিদ। এটি আকণ্ঠীয় জীব নয়, কারণ এর কোষ গঠন রয়েছে।
নোট:
ভাইরাস হলো আকণ্ঠীয় জীব, যা কোষের অভাব রয়েছে এবং এটি শুধুমাত্র কোষের মধ্যে প্রবেশ করেই কার্যকর হতে পারে। সঠিক উত্তর হলো “ভাইরাস” ।
ভাইরাস – নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিন (আরকা) দিয়ে গঠিত অকোষীয় অতি আণুবীক্ষণিক সত্তা ।
ব্যাক্টেরিয়া- ব্যাক্টেরিয়া হল জড় কোষপ্রাচীর বিশিষ্ট, এককোষী, আণুবীক্ষণিক আদিকেন্দ্রিক অণুজীব।
মস- হল খুবই ছোট সবুজ কিংবা হলুদ রঙের উদ্ভিদ যা ভেজা পরিবেশ কিংবা পাথরের উপর জন্মে।
ফাংগাস- ছত্রাক শব্দটির ইংরেজি শব্দ হল ফাংগাস। আর ফাংগাস হল একধরনের ইউক্যারিওটিক পরজীবী বা মৃতজীবী জীব যা উদ্ভিদরাজ্য, প্রাণীরাজ্য, প্রোটাজোয়া এবং মোনেরার পাশাপাশি ছত্রাক রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত
50 / 50
50.
অ্যাথলেট’স ফুট (Athlete’s foot) এর কারন কি?
EXPLANATION:
RESULT
সবার রেজাল্ট একসাথে দেখার জন্য ‘Show’ এর পাশে ‘5’ ক্লিক করার পর ‘All’ এ ক্লিক করেন। ‼ এক্সাম SUBMIT করার পর, রেজাল্টে আপনার মেরিট দেখতে পেজটিকে একবার Reload করুন ।
DETAILS
আপনি যদি লগিন করে এক্সাম দেন, তাহলে আপনার দাগানো কোন MCQ সঠিক এবং ভুল ছিল, সব দেখতে পারবেন এখানে।
You must log in to see your results.