প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নে মূলত জানতে চাওয়া হয়েছে যে, খাবার গ্রহণের সময় কোন শারীরবৃত্তীয় অংশ খাবারকে ফসকে যাওয়া বা মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়া রোধ করে। সাধারণত খাদ্য গ্রহণের সময় খাবারটি সঠিকভাবে মুখের ভিতরে রাখতে এবং খাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে মুখের নির্দিষ্ট অংশের ভূমিকা থাকে। এই প্রশ্নটি মুখগহ্বর এবং মুখের গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি শারীরবৃত্তীয় প্রশ্ন।

অপশন বিশ্লেষণ:

১. সেন্ট্রাম: সেন্ট্রাম কোনো অঙ্গ বা অংশ নয় যা মুখে খাবারকে ফসকে যাওয়া রোধ করে। এটি একটি ভুল অপশন।

২. সাবসেন্ট্রাম: সাবসেন্ট্রামও মুখের কোন নির্দিষ্ট অংশ বা অঙ্গ নয় যা খাবারকে সঠিকভাবে মুখের ভিতরে ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রশ্নের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়।

৩. ম্যাক্সিলারি পাল্প: ম্যাক্সিলারি পাল্প হল মুখের ওপরের অংশে অবস্থিত, যা মুখের মধ্যে খাদ্য গ্রহণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। এটি মুখের হাড় বা দাঁতের ভেতরের অংশের একটি অংশ হলেও, এটি খাবারকে ফসকে যাওয়া রোধ করে না।

৪. ল্যাবিয়াল পাল্প: ল্যাবিয়াল পাল্প ঠোঁটের ভেতরে অবস্থিত একটি নরম অংশ যা খাবার গ্রহণের সময় ঠোঁটের নড়াচড়ার মাধ্যমে খাবারকে মুখের মধ্যে ধরে রাখতে সহায়তা করে। এটি সঠিক উত্তর, কারণ ঠোঁটের এই অংশ খাবারকে মুখ থেকে ফসকে যেতে বাধা দেয়।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর ল্যাবিয়াল পাল্প, কারণ এটি খাবার গ্রহণের সময় মুখের ঠোঁটের অংশ হিসেবে মুখগহ্বরে খাবার ধরে রাখতে সাহায্য করে। অন্যান্য অপশনগুলো মুখগহ্বরের গঠন বা খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়, তাই সেগুলো সঠিক উত্তর নয়।

প্রশ্ন: রই মাছের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি সঠিক নয়?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

প্রশ্নটি রই মাছের রক্তকণিকা সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন। এটি জানতে চাওয়া হয়েছে যে, নিম্নোক্ত বিবৃতিগুলোর মধ্যে কোনটি সঠিক নয়। রই মাছের রক্তকণিকার গঠন মানুষের রক্তকণিকার থেকে কিছুটা আলাদা।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. রক্তের বর্ণ লাল: মাছের রক্তের বর্ণ লাল হয়, যা হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণে। এটি সঠিক তথ্য।
2. নিউক্লিয়াসযুক্ত লোহিত রক্তকণিকা: রই মাছের লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে। এটি সঠিক তথ্য।
3. অ্যামিবয়েড লিউকোসাইট: মাছের শ্বেত রক্তকণিকা অ্যামিবার মতো চলাফেরা করতে পারে। এটি সঠিক তথ্য।
4. রক্ত কণিকা ৩ ধরনের: রক্তের প্রধান তিন ধরনের কণিকা থাকে—লোহিত রক্তকণিকা (RBC), শ্বেত রক্তকণিকা (WBC), এবং প্লেটলেট। এটি সঠিক তথ্য। সুতরাং, এখানে সঠিক নয় এমন কোনো অপশন নেই।

নোট:

প্রশ্ন এবং অপশনগুলো দেখে মনে হচ্ছে যে কোনো ভুল অপশন নেই। তবে যদি আরও নির্দিষ্টভাবে প্রশ্নটিতে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত থাকে, তাহলে সেটা বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করতে হবে।

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

প্রশ্নটি হাইড্রার চলাচল সম্পর্কিত। হাইড্রা হল এক ধরনের জেলি-জাতীয় প্রাণী, যা তার টেনট্যাকল বা বাহু ব্যবহার করে সাঁতারের পরিবর্তে ভিন্নভাবে চলাচল করতে পারে। সমান্তরাল চলাচল করতে গিয়ে হাইড্রা তার দেহকে ফোল্ড করে এবং লুপ তৈরি করে। এখানে মূলত জানতে চাওয়া হয়েছে, একবার চলার সময় হাইড্রা কতটি লুপ তৈরি করে।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. ১টি: একবার চলার সময় হাইড্রা সাধারণত একাধিক লুপ তৈরি করে, তাই ১টি লুপ তৈরি করা হাইড্রার ক্ষেত্রে সাধারণত সঠিক নয়। এটি ভুল অপশন।
2. ৪টি: চারটি লুপ তৈরি করাও সাধারণত হাইড্রার চলাচল পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত নয়। একবারে চারটি লুপ তৈরি করা হাইড্রার চলার ধরন নয়। এটি সঠিক উত্তর নয়।
3. ২টি: হাইড্রার চলাচলের সময় সাধারণত ২টি লুপ তৈরি হয়। এটি সঠিক উত্তর, কারণ হাইড্রার চলাচল পদ্ধতি দুইটি লুপ তৈরি করার জন্য উপযোগী।
4. ৩টি: তিনটি লুপ তৈরি করা হাইড্রার চলাচলের জন্য সঠিক নয়। সাধারণত হাইড্রা দুটি লুপ তৈরি করে চলাফেরা করে।

নোট:

এই প্রশ্নে সঠিক উত্তর হবে ২টি। কারণ, হাইড্রা তার দেহকে সংকুচিত করে এবং ফোল্ড করে চলার সময় সাধারণত দুটি লুপ তৈরি করে। এর থেকে কম বা বেশি লুপ তৈরি করা হাইড্রার স্বাভাবিক গঠন বা চলার পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

প্রশ্ন: ঘাস ফড়িংয়ের পুষ্পিকির কোন অংশটি আলো গ্রহণ করে?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এখানে প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, ঘাস ফড়িংয়ের চোখের যে অংশটি আলো গ্রহণ করে। ঘাস ফড়িংয়ের চোখ সাধারণত যৌগিক চোখ (compound eye) হয়, যেখানে আলোর সংবেদনশীলতা ও গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট কোষ থাকে।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. কর্নিয়া: কর্নিয়া চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা আলো প্রবেশে সহায়ক, তবে এটি সরাসরি আলো গ্রহণকারী কোষ নয়। তাই এটি ভুল উত্তর।
2. র‍্যাবডোম: র‍্যাবডোম হলো চোখের একটি অংশ যা আলোক সংবেদনশীল কোষ হিসেবে কাজ করে। এটি আলো গ্রহণ করে এবং সঠিক উত্তর।
3. কর্নিয়াজেন কোষ: কর্নিয়াজেন কোষ চোখের কর্নিয়ার সাথে সম্পর্কিত, তবে সরাসরি আলো গ্রহণ করে না। তাই এটি ভুল উত্তর।
4. ক্রিস্টোলাইন কোণ কোষ: এটি আলোর প্রতিসরণ ঘটাতে সাহায্য করে, তবে সরাসরি আলো গ্রহণ করে না। সুতরাং এটি সঠিক উত্তর নয়।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো র‍্যাবডোম, কারণ এটি ঘাস ফড়িংয়ের চোখের সেই অংশ যা সরাসরি আলো গ্রহণ করে এবং আলোকে প্রক্রিয়াজাত করে।

প্রশ্ন: কিসের উপস্থিতির কারণে রুই মাছের লার্ভার রং কালো হয়?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নটি রুই মাছের লার্ভার গঠন এবং তাদের রং পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। রুই মাছের লার্ভার রং কালো হয় বিশেষ ধরনের কোষের উপস্থিতির কারণে, যেগুলো রং উৎপন্ন করার জন্য দায়ী।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. ক্রোমোফিন (Chromaffin):
   এটি সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রের এক প্রকার কোষ যা অ্যাড্রেনালিন এবং অন্যান্য হরমোন উৎপন্ন করে, কিন্তু রং পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
2. ক্রোমোপিগমেন্ট (Chromopigment):
   ক্রোমোপিগমেন্ট শব্দটি রং উৎপন্ন করে এমন উপাদান বোঝায়, কিন্তু এটি সঠিক বৈজ্ঞানিক পরিভাষা নয়।
3. ক্রোমাটোফোর (Chromatophore):
   ক্রোমাটোফোর হলো বিশেষ ধরনের কোষ, যা রং উৎপন্ন করে এবং প্রাণীর রং পরিবর্তনে সহায়ক হয়। এটি সঠিক উত্তর।
4. ক্রোমোনেমা (Chromonema):
   ক্রোমোনেমা হলো ক্রোমোসোমের সাথে সম্পর্কিত একটি অংশ, যা রং পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত নয়।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ক্রোমাটোফোর, কারণ ক্রোমাটোফোর কোষ রুই মাছের লার্ভার রং কালো করতে সহায়ক।

প্রশ্ন: হাইড্রার কোন অংশে নিডোসাইট কোষ সবচেয়ে বেশি থাকে?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নটি হাইড্রার শারীরবৃত্তীয় গঠন এবং নিডোসাইট কোষের অবস্থান সম্পর্কিত। নিডোসাইট হলো এক ধরনের বিশেষ কোষ, যা হাইড্রা শিকার ধরার জন্য ব্যবহার করে। সাধারণত, নিডোসাইট কোষগুলো কর্ষিকাতে সবচেয়ে বেশি থাকে, কারণ এই কোষগুলো শিকারের সময় দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করে।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. দেহ প্রাচীর: দেহ প্রাচীরে কিছু নিডোসাইট কোষ থাকতে পারে, তবে এটি হাইড্রার সবচেয়ে বেশি নিডোসাইট কোষের অবস্থান নয়।
2. কর্ষিকা: হাইড্রার কর্ষিকাতে নিডোসাইট কোষ সবচেয়ে বেশি থাকে, কারণ এটি শিকার ধরার প্রধান মাধ্যম। এটি সঠিক উত্তর।
3. দেহ কান্ড: দেহ কান্ডে নিডোসাইট কোষ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এটি ভুল উত্তর।
4. পাদ-চাকতি: হাইড্রার পাদ-চাকতিতে নিডোসাইট কোষ থাকে না। এটি ভুল উত্তর।

নোট:

হাইড্রার কর্ষিকাতে সবচেয়ে বেশি নিডোসাইট কোষ থাকে, যা শিকার ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো কর্ষিকা।

প্রশ্ন: নিচের কোন কোষটি হাইড্রার এপিথার্মিসের অংশ নয়?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এপিথার্মিস হলো হাইড্রার বহিঃস্তর, যা বিভিন্ন ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত। এপিথার্মিসের কোষগুলো মূলত সুরক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। প্রশ্নটি জানতে চাচ্ছে কোন কোষটি এপিথার্মিসের অংশ নয়।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ (Interstitial cells):
   ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ হাইড্রার এপিথার্মিসে থাকে এবং এটি নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই এটি এপিথার্মিসের অংশ।
2. ক্ষণপদীয় কোষ (Ephemeral cells):
   এটি একটি প্রাসঙ্গিক বৈজ্ঞানিক পরিভাষা নয় এবং হাইড্রার এপিথার্মিসের কোনো পরিচিত কোষ নয়। এটি সঠিক উত্তর।
3. সংবেদী কোষ (Sensory cells):
   সংবেদী কোষ এপিথার্মিসে থাকে এবং এটি সংবেদনশীলতার কাজ করে। সুতরাং, এটি এপিথার্মিসের অংশ।
4. স্নায়ু কোষ (Nerve cells):
   স্নায়ু কোষ হাইড্রার এপিথার্মিসে অবস্থান করে এবং এটি স্নায়বিক সংকেত প্রেরণ করে। সুতরাং, এটি এপিথার্মিসের অংশ।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ক্ষণপদীয় কোষ, কারণ এটি হাইড্রার এপিথার্মিসের কোনো অংশ নয়।

প্রশ্ন: মৎস্যধ্বনি বলা হয়?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নটি বাংলাদেশের নদীসমূহের মধ্যে মৎস্য প্রজননের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম জানতে চায়। বাংলাদেশে কিছু নদী মৎস্য প্রজননের জন্য বিখ্যাত, এবং তাদের একটি মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. পদ্মা: পদ্মা নদী বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী হলেও মৎস্য প্রজননের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে পরিচিত নয়।
2. হালদা: হালদা নদী বাংলাদেশের একমাত্র স্বাভাবিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটে। এটি সঠিক উত্তর।
3. পশুর: পশুর নদী একটি প্রধান নদী হলেও এটি মৎস্য প্রজননের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত নয়।
4. রূপসা: রূপসা নদীও মৎস্য প্রজননের জন্য বিখ্যাত নয়।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো হালদা নদী, যাকে মৎস্যধ্বনি বলা হয় কারণ এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যেখানে কার্প জাতীয় মাছ প্রাকৃতিকভাবে ডিম পাড়ে।