Report a question
1 / 50
1. ভাইরাস হতে কোনটি প্রস্তুত করা হয়?
EXPLANATION:
Ans A Why ভাইরাসের উপকারিতা:
টিকা হিসেবে বসন্ত, পোলিও, জলাতঙ্ক, প্লেগ, হেপাটাইটিস বা ভিন্ন রোগের টিকা উৎপন্ন হয়।
ওষুধ হিসেবে কলেরা, টাইফয়েড, আমাশা, প্লেগ ইত্যাদি রোগের
ওষুধ তৈরিতে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভাইরাসের আক্রমণে লাল টিউলিপ ফুলে সাদা দাগ
পড়ে। একে ব্লেকেন টিউলিপ বলে।
পতঙ্গনাশক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে NPV (Nuclear Polyhydrosis Virus)
কে পতঙ্গনাশক হিসেবে প্রয়োগ করা হয়।
স্বকল্পিত নিয়ন্ত্রণে অণুজীবজাতীয় Myxovirus ব্যবহার হয়।
জীন প্রকল্পনে বাইরে থেকে ভাইরাস ব্যবহার হয়।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাস ব্যবহার হয়।
7 / 50
7. নিচের কোনটি সংক্রামক ব্যাধি?
EXPLANATION:
স্পর্শ, যৌন স্পর্শ, খাদ্য ও পানীয়, বায়ু বাহিত, ভেক্টর বাহিত হয়ে যে সব রোগ ছড়িয়ে পড়ে তাকে সংক্রামক রোগ বলে। উদাহরণ: স্কেবিস, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাম্পস, ‘রুবেলা, বসন্ত, হাম, করোনা ভাইরাস ইত্যাদি।
11 / 50
11.
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর গঠিত-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গঠন?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়া কোষের গঠন এবং এর প্রাচীরের রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীর তাদের রক্ষা করে এবং আকৃতি প্রদান করে, যা তাদের পরিবেশের কঠোর অবস্থার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গঠন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা যাচাই করার জন্য এই প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
কাইটিন:
ভুল অপশন:
কাইটিন হলো এক ধরনের পলিস্যাকারাইড, যা প্রধানত ফাঙ্গি এবং কিছু আর্থ্রোপোডের এক্সোস্কেলিটন গঠনের উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরে পাওয়া যায় না, তাই এই উত্তরটি ভুল।
কাইটিন: প্রোটিন:
ভুল অপশন:
এই অপশনটিও ভুল কারণ ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরে কাইটিন নেই। ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান হলো পেপটাইডোগ্লাইকান, যা পলিস্যাকারাইড এবং প্রোটিনের মিশ্রণ।
প্রোটিন: ফসফোপ্রোটিন:
ভুল অপশন:
প্রোটিন এবং ফসফোপ্রোটিন ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের প্রধান গঠনমূলক উপাদান নয়। এটি একটি ভুল উত্তর।
লিপিড: প্রোটিন:
সঠিক অপশন:
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর প্রধানত পেপটাইডোগ্লাইকান দিয়ে গঠিত, কিন্তু কিছু ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে, যেমন গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া, প্রাচীরের বাইরের দিকে লিপিড এবং প্রোটিনের স্তর থাকে। এই লিপিড স্তর লিপোপলিস্যাকারাইড দ্বারা গঠিত, যা ব্যাকটেরিয়ার সুরক্ষা প্রদান করে এবং এর পরিবেশের সাথে ইন্টারেক্ট করে। তাই এই অপশনটি সঠিক।
নোট:
ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের গঠন এবং এর উপাদানগুলির জ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণীবিন্যাস এবং এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা বুঝতে সাহায্য করে। সঠিক উত্তর হলো “লিপিড: প্রোটিন,” যা কিছু ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
12 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি হ্যাপ্লয়েড?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড কোষের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। হ্যাপ্লয়েড কোষে একগুণ ক্রোমোজোম থাকে, যা সাধারণত জনন কোষে দেখা যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
জাইগোট:
ভুল অপশন:
জাইগোট হলো ডিপ্লয়েড কোষ, যা দুটি হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট (স্পার্ম ও ডিম্বাণু) এর মিলনের ফলে তৈরি হয়। এতে দুটি ক্রোমোজোম সেট থাকে, তাই এটি হ্যাপ্লয়েড নয়।
উকিনেট:
ভুল অপশন:
উকিনেট হলো পরজীবী জীবাণুর একটি বিশেষ দশা, যা হ্যাপ্লয়েড নয়। এটি ডিপ্লয়েড কোষ হতে পারে, তবে এটি হ্যাপ্লয়েড কোষ নয়।
স্পোরাঞ্জিয়াম:
সঠিক অপশন:
স্পোরাঞ্জিয়াম হলো হ্যাপ্লয়েড কোষের উদাহরণ, যা মাইোসিসের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে জনন কোষে পরিণত হয়। এটি সাধারণত উদ্ভিদ ও ফাঙ্গাসে দেখা যায়। তাই এই অপশনটি সঠিক।
অফস্প্রিং:
ভুল অপশন:
অফস্প্রিং বা সন্তান হলো ডিপ্লয়েড কোষের একটি উদাহরণ, যা মাতৃ ও পিতৃ কোষের মিলনের ফলে তৈরি হয়। এটি হ্যাপ্লয়েড নয়।
নোট:
হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড কোষের পার্থক্য বোঝা জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাপ্লয়েড কোষের মধ্যে একগুণ ক্রোমোজোম থাকে, যা প্রধানত জনন কোষ হিসেবে কাজ করে। স্পোরাঞ্জিয়াম একটি হ্যাপ্লয়েড কোষের উদাহরণ যা শিক্ষার্থীদের জন্য মাইোসিস এবং জনন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট করতে সহায়ক।
13 / 50
13.
পােষক কোষের কোথায় ভাইরাসের প্রােটিন সংযুক্ত হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “পোষক কোষের কোথায় ভাইরাসের প্রোটিন সংযুক্ত হয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাস সংক্রমণ প্রক্রিয়া এবং পোষক কোষের সাথে ভাইরাসের ইন্টারঅ্যাকশনের প্রাথমিক ধাপ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে, এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পোষক কোষের সেই নির্দিষ্ট অংশটি চিহ্নিত করতে পারবে, যেখানে ভাইরাসের প্রোটিন সংযুক্ত হয় এবং পরবর্তীতে কোষের ভিতরে প্রবেশের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
রিসেপ্টর সাইট:
সঠিক উত্তর: ভাইরাসের প্রোটিন পোষক কোষের রিসেপ্টর সাইটের সাথে সংযুক্ত হয়, যা ভাইরাসকে কোষের ভিতরে প্রবেশ করতে সহায়তা করে। এটি ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ধাপ এবং কোষের সাথে ভাইরাসের সংযুক্তি এই সাইটে ঘটে।
নিউক্লিয়াস:
ভুল অপশন: নিউক্লিয়াস হলো কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে ডিএনএ এবং জিনোমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে ভাইরাসের প্রোটিন প্রথমে নিউক্লিয়াসে সংযুক্ত হয় না।
সাইটোপ্লাজম:
ভুল অপশন: সাইটোপ্লাজম কোষের অভ্যন্তরীণ একটি অংশ, যেখানে কোষের অন্যান্য কার্যক্রম ঘটে। ভাইরাসের প্রোটিনের প্রথম সংযুক্তি এখানে হয় না।
নিউক্লিয়ার মেমব্রেন:
ভুল অপশন: নিউক্লিয়ার মেমব্রেন হলো নিউক্লিয়াসের চারপাশে অবস্থিত একটি স্তর, যা নিউক্লিয়াসকে ঘিরে রাখে। ভাইরাসের প্রোটিন প্রথমে এই স্তরের সাথে সংযুক্ত হয় না।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাস প্রথমে পোষক কোষের রিসেপ্টর সাইটের সাথে সংযুক্ত হয়, যা তাকে কোষের ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দেয়। সঠিক উত্তর রিসেপ্টর সাইট , যা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
14 / 50
14.
নিচের কোনটি সংক্রামক ব্যাধি ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি সংক্রমক ব্যাধি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের সংক্রমণযোগ্য এবং অসংক্রমণযোগ্য রোগ সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সংক্রমক ব্যাধি হলো সেই সব রোগ যা জীবাণুর দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের সংক্রমণযোগ্য রোগ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক।
অপশন বিশ্লেষণ:
যক্ষ্মা:
সঠিক উত্তর: যক্ষ্মা (টিবি) একটি সংক্রমক ব্যাধি, যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি সাধারণত ফুসফুসকে আক্রমণ করে এবং এটি বাতাসের মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়াতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ:
ভুল অপশন: উচ্চ রক্তচাপ একটি অসংক্রমণযোগ্য রোগ। এটি সাধারণত হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণের কারণে হয় না।
ডায়াবেটিস:
ভুল অপশন: ডায়াবেটিসও একটি অসংক্রমণযোগ্য রোগ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি কোনো সংক্রমণের কারণে হয় না।
রেইন স্ট্রোক:
ভুল অপশন: রেইন স্ট্রোক একটি অসংক্রমণযোগ্য সমস্যা, যা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের বাধার কারণে ঘটে। এটি সংক্রমণজনিত রোগ নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সংক্রমণযোগ্য এবং অসংক্রমণযোগ্য রোগের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানতে পারবে। সঠিক উত্তর যক্ষ্মা , যা একটি সংক্রমক ব্যাধি এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট হয়। এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায় এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
15 / 50
15.
কোনটি পানি বাহিত রোগ ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি পানি বাহিত রোগ?”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পানি বাহিত রোগ বলতে সেইসব রোগকে বোঝানো হয়, যেগুলি সংক্রামিত পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের রোগের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া একটি মশাবাহিত রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
লেপ্রসি:
ভুল অপশন: লেপ্রসি একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত রোগ, যা প্রধানত ত্বক এবং স্নায়ুকে আক্রমণ করে। এটি সাধারণত মানুষের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এবং পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না। তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
টাইফয়েড:
সঠিক অপশন: টাইফয়েড একটি পানি বাহিত রোগ, যা স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়। এই রোগটি প্রধানত দূষিত পানি বা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এটি সঠিক উত্তর।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের পানি বাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়ক। পানি বাহিত রোগগুলি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে থাকে, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশে যেখানে সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা এবং স্যানিটেশন সুবিধা কম। সঠিক উত্তর হলো “টাইফয়েড,” কারণ এটি একটি পানি বাহিত রোগ যা দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়।
16 / 50
16.
T2 ফাজ ভাইরাসের মাথায় কতটি জিন থাকে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “T₂ ফাজ ভাইরাসের মাথায় কতটি জিন থাকে?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিওফাজ, যা একটি ভাইরাস, তার জিনোম এবং জেনেটিক উপাদান সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ফাজ ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার উপর আক্রমণ করে এবং তার মধ্যে নিজের জিন প্রবেশ করিয়ে দেয়। T₂ ফাজ একটি বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিওফাজ যা ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াতে সংক্রমণ ঘটায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
১৫০ টি:
সঠিক অপশন: T₂ ফাজ ভাইরাসের মাথায় মোট ১৫০টি জিন থাকে। এটি সঠিক জিন সংখ্যা যা T₂ ফাজের জেনেটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
২৫০ টি:
ভুল অপশন: ২৫০ টি জিন সংখ্যা সঠিক নয়। T₂ ফাজ ভাইরাসে এতগুলো জিন থাকে না। তাই, এই অপশনটি ভুল।
১০০ টি:
ভুল অপশন: T₂ ফাজ ভাইরাসের মাথায় ১০০ টি জিন থাকে না। তাই, এই অপশনটি ভুল।
২০০ টি:
ভুল অপশন: ২০০ টি জিন সংখ্যা সঠিক নয়। T₂ ফাজ ভাইরাসে এতগুলো জিন থাকে না। তাই, এই অপশনটি ভুল।
নোট:
T₂ ফাজ ভাইরাসের জিন সংখ্যা সম্পর্কে জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাসের জিনোম তার সংক্রমণ প্রক্রিয়া এবং প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং তার জেনেটিক উপাদান সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে এই প্রশ্নটি সহায়ক।
T2 ব্যাকটেরিওফাজের মাথয় ১৫০ টি জিন থাকে৷
Ref-Hasan Sir,P-145
17 / 50
17.
ভাইরাসজনিত রোগ কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ভাইরাসজনিত রোগ কোনটি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসজনিত এবং ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য কারণ দ্বারা সৃষ্ট রোগের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ভাইরাসজনিত রোগগুলো বিশেষভাবে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং এগুলো সাধারণত সংক্রামক প্রকৃতির হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
ক্যাপসি সারকোমা:
সঠিক উত্তর: ক্যাপসি সারকোমা হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা হিউম্যান হার্পেস ভাইরাস ৮ (HHV-8) দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি সাধারণত ইমিউন সিস্টেম দুর্বল ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়, যেমন এইচআইভি/এইডস রোগীদের ক্ষেত্রে।
ডিপথেরিয়া:
ভুল অপশন: ডিপথেরিয়া একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা Corynebacterium diphtheriae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়।
টিটেনাস:
ভুল অপশন: টিটেনাসও একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা Clostridium tetani ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়।
ব্রঙ্কোমাইকোসিস:
ভুল অপশন: ব্রঙ্কোমাইকোসিস হলো ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যা ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাইরাসজনিত রোগ এবং অন্যান্য সংক্রমণজনিত রোগের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর ক্যাপসি সারকোমা , যা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসজনিত রোগ এবং তাদের লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক হবে।
18 / 50
18.
ধানের ব্লাইট রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ধানের ব্লাস্ট রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব কোনটি?”
এই প্রশ্নটি ধান গাছের রোগজীবাণু এবং সেই জীবাণু সৃষ্টিকারী অনুজীব সম্পর্কে শিক্ষার্থীর জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ধান চাষের সময় ব্লাস্ট রোগ একটি প্রচলিত সমস্যা, যা ধানের উৎপাদনে বিপুল ক্ষতি করতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Azotobacter sp.:
ভুল অপশন: Azotobacter একটি বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন সংশোধনকারী ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণত মাটিতে পাওয়া যায় এবং গাছের জন্য সহায়ক, কিন্তু এটি ধানের ব্লাস্ট রোগ সৃষ্টি করে না। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Clostridium sp.:
ভুল অপশন: Clostridium হল একটি বায়ুবিহীন ব্যাকটেরিয়া যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে, কিন্তু এটি ধানের ব্লাস্ট রোগ সৃষ্টি করে না। এই অপশনটিও ভুল।
Xanthomonas sp.:
সঠিক অপশন: Xanthomonas হল একটি ব্যাকটেরিয়া যা বিভিন্ন উদ্ভিদের রোগের কারণ হয়ে থাকে, এবং এটি ধানের ব্লাস্ট রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
Penicillium:
ভুল অপশন: Penicillium হল একটি ছত্রাক যা সাধারণত খাবার ও অন্যান্য জৈব পদার্থে পচন ঘটায়, কিন্তু এটি ধানের ব্লাস্ট রোগের কারণ নয়। তাই, এই অপশনটিও ভুল।
নোট:
এই প্রশ্নটি ধান চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ ধানের ব্লাস্ট রোগ একটি মারাত্মক রোগ যা উৎপাদনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। সঠিক উত্তর এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই রোগ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারে এবং এর প্রতিরোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
19 / 50
19.
বিনাইন টারশিয়ান ম্যালেরিতা পরজীবী কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “বিভাইনে টারশিয়ান ম্যালেরিয়া পরজীবী কোনটি?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়া রোগের বিভিন্ন পরজীবী এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীর জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া হল একটি সংক্রামক রোগ যা Plasmodium পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট, এবং এটি প্রধানত মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। ম্যালেরিয়ার বিভিন্ন ধরনের পরজীবী রয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন ধরনের ম্যালেরিয়া সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Plasmodium vivax:
সঠিক অপশন: Plasmodium vivax হল টারশিয়ান ম্যালেরিয়া পরজীবী যা ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ম্যালেরিয়া সংক্রমণের জন্য দায়ী। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
Plasmodium malariae:
ভুল অপশন: Plasmodium malariae হল কোয়ার্টান ম্যালেরিয়ার কারণ, যা টারশিয়ান ম্যালেরিয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Plasmodium ovale:
ভুল অপশন: Plasmodium ovale একটি বিরল প্রজাতি যা মূলত আফ্রিকায় পাওয়া যায় এবং এটি টারশিয়ান ম্যালেরিয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Plasmodium falciparum:
ভুল অপশন: Plasmodium falciparum হল সবচেয়ে মারাত্মক ম্যালেরিয়া পরজীবী যা প্রাণঘাতী সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এটি টারশিয়ান ম্যালেরিয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া রোগের বিভিন্ন পরজীবী এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক উত্তর এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ম্যালেরিয়ার বিভিন্ন ধরনের পরজীবী এবং তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
20 / 50
20.
কোন উদ্ভিদ ভাইরাসে ডিএনএ থাকে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন উদ্ভিদ ভাইরাসে ডিএনএ থাকে?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাসের গঠন এবং প্রকার সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে, বিশেষ করে উদ্ভিদ ভাইরাসের ক্ষেত্রে। সাধারণত, বেশিরভাগ ভাইরাসের জিনোম RNA নিয়ে গঠিত হয়, তবে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে ভাইরাসের জিনোম DNA দিয়ে গঠিত হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
টোবাকো মোজাইক:
ভুল অপশন: টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV) হলো RNA ভাইরাস, যার জিনোম RNA নিয়ে গঠিত। এটি উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন এবং বেশি গবেষণা করা ভাইরাসগুলির একটি।
পোটেটো মোজাইক:
ভুল অপশন: পোটেটো মোজাইক ভাইরাসও একটি RNA ভাইরাস। এটি আলুর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে থাকে এবং ফসলের ক্ষতি করে।
সুগারকেন মোজাইক:
ভুল অপশন: সুগারকেন মোজাইক ভাইরাসও RNA ভাইরাস, যা চিনি গাছের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে থাকে এবং এটি ফসলের ক্ষতি করতে পারে।
ফুলকপি মোজাইক:
সঠিক অপশন: ফুলকপি মোজাইক ভাইরাস (Cauliflower Mosaic Virus বা CaMV) হলো একটি DNA ভাইরাস। এটি উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম DNA ভাইরাস, যা ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ (dsDNA) দিয়ে গঠিত।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনোম সম্পর্কিত ধারণা এবং উদ্ভিদ ভাইরাসের প্রকারভেদ সম্পর্কে সচেতন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ উদ্ভিদ ভাইরাস RNA ভাইরাস হলেও, ফুলকপি মোজাইক ভাইরাস ব্যতিক্রমী একটি DNA ভাইরাস। সঠিক উত্তর হলো “ফুলকপি মোজাইক,” কারণ এই ভাইরাসে ডিএনএ থাকে।
21 / 50
21.
ফ্লাজেলা ছাড়া ব্যাক্টেরিয়াকে কী বলা হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ফ্ল্যাজেলা ছাড়া ব্যাকটেরিয়াকে কী বলা হয়?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়ার গঠন এবং ফ্ল্যাজেলার প্রকারভেদ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ফ্ল্যাজেলা হলো একটি লম্বা, চাবুকের মতো অঙ্গ যা ব্যাকটেরিয়াকে চলাচলে সহায়তা করে। কিছু ব্যাকটেরিয়ায় ফ্ল্যাজেলা থাকে না, এবং তাদেরকে একটি বিশেষ নামে অভিহিত করা হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Atrichous:
সঠিক অপশন: “Atrichous” হলো সেই ব্যাকটেরিয়াকে বোঝায় যার কোনো ফ্ল্যাজেলা নেই। এটি ব্যাকটেরিয়ার চলাচল করার ক্ষমতা নেই, তাই এটি ফ্ল্যাজেলা দ্বারা সৃষ্ট গতিশীলতার অভাব রয়েছে।
Monotrichous:
ভুল অপশন: Monotrichous সেই ব্যাকটেরিয়াকে বোঝায় যার একমাত্র একটি ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি সাধারণত এক প্রান্তে অবস্থান করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে চলাচল করতে সহায়তা করে।
Petririchous:
ভুল অপশন: Petririchous হলো সেই ব্যাকটেরিয়া, যার শরীরের চারদিকে অনেকগুলো ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে গতিশীলতা প্রদান করে।
Lophotrichous:
ভুল অপশন: Lophotrichous হলো সেই ব্যাকটেরিয়া, যার একটি প্রান্তে একগুচ্ছ ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে একদিকে বা একটি নির্দিষ্ট দিকে চলাচল করতে সাহায্য করে।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার চলাচল এবং ফ্ল্যাজেলার বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করা হয়। “Atrichous” হলো সেই ব্যাকটেরিয়া যার কোনো ফ্ল্যাজেলা নেই এবং সঠিক উত্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
22 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “এইডস কী কারণে হয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের এইডস (AIDS) রোগের কারণ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এইডস হলো একটি ক্রনিক সংক্রমণ, যা ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে এবং মানুষের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের প্রতি সংবেদনশীল করে তোলে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভাইরাস:
সঠিক উত্তর: এইডস রোগের কারণ হলো HIV (Human Immunodeficiency Virus) নামক একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের প্রধান কোষগুলিকে আক্রমণ করে এবং ধীরে ধীরে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে ফেলে, যার ফলে শরীর বিভিন্ন সংক্রমণের প্রতি অসহায় হয়ে পড়ে।
বংশগত:
ভুল অপশন: এইডস কোনো বংশগত রোগ নয়। এটি একটি সংক্রামক রোগ, যা সংক্রামিত রক্ত, যৌন সঙ্গম, বা অন্যান্য মাধ্যমের মাধ্যমে ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়া:
ভুল অপশন: ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন সংক্রমণের কারণ হতে পারে, তবে এইডস রোগের কারণ নয়। এইডস একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
প্যারাসাইট:
ভুল অপশন: প্যারাসাইট হলো এক ধরনের অণুজীব, যা হোস্টের শরীরে বাস করে এবং সেখান থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে। তবে প্যারাসাইট দ্বারা এইডস হয় না।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের HIV ভাইরাস এবং এইডস রোগের মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করে। সঠিক উত্তর ভাইরাস , কারণ HIV ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এইডস রোগ হয়। এটি শিক্ষার্থীদের এইডস সম্পর্কে আরও সচেতন করতে সাহায্য করবে এবং এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে ধারণা দেবে।
23 / 50
23.
নিচের কোনটির দ্বারা গনোরিয়া রোগ হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটির দ্বারা গনোরিয়া রোগ হয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের যৌনবাহিত রোগ সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ যা নিসেরিয়া গনোরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই ধরনের প্রশ্ন যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ এবং এর কারণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক।
অপশন বিশ্লেষণ:
ছত্রাক:
ভুল অপশন: গনোরিয়া রোগ ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয় না। ছত্রাক দ্বারা কিছু সংক্রমণ হতে পারে, তবে গনোরিয়া এর মধ্যে পড়ে না। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
ভাইরাস:
ভুল অপশন: গনোরিয়া একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এটি কোনো ভাইরাসজনিত রোগ নয়। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
ব্যাকটেরিয়া:
সঠিক অপশন: গনোরিয়া রোগ নিসেরিয়া গনোরিয়া (Neisseria gonorrhoeae) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। তাই এই অপশনটি সঠিক।
প্রটোজোয়া:
ভুল অপশন: গনোরিয়া রোগ প্রটোজোয়া দ্বারা সৃষ্ট নয়। প্রটোজোয়া বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে, তবে গনোরিয়া এর মধ্যে পড়ে না।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যৌনবাহিত রোগ এবং তার কারণ সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতে পারবে। গনোরিয়া রোগটি একটি সাধারণ যৌনবাহিত রোগ যা নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই ধরনের প্রশ্ন যৌন স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
24 / 50
24.
ডেঙ্গু ভাইরাসের আকৃতি কেমন?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু ভাইরাসের আকৃতি কেমন?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং তার আকৃতি সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করবে। ডেঙ্গু ভাইরাস, যা ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী, তার বিশেষ আকৃতি এবং গঠন দ্বারা চিহ্নিত হয়। শিক্ষার্থীরা এ প্রশ্নের মাধ্যমে ভাইরাসের বিভিন্ন আকৃতির সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
গোলাকার:
সঠিক অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাসের আকৃতি গোলাকার (Spherical)। এটি একটি ইন্টারন্যাশনালি স্বীকৃত সত্য যে ডেঙ্গু ভাইরাস গোলাকার গঠনের। ভাইরাসটি প্রোটিন কোট এবং জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল দ্বারা ঘেরা থাকে, যা এটিকে গোলাকার আকৃতি প্রদান করে।
দন্ডাকার:
ভুল অপশন: দন্ডাকার (Rod-shaped) ভাইরাস হিসেবে ডেঙ্গু ভাইরাসকে চিহ্নিত করা ভুল হবে। দন্ডাকার আকৃতির ভাইরাসের উদাহরণ হিসেবে রেবিস ভাইরাস উল্লেখ করা যায়।
ডিস্কের আকৃতির:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাসের আকৃতি ডিস্কের মতো নয়। ডিস্কের আকৃতির ভাইরাসের উদাহরণ হিসেবে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসকে উল্লেখ করা যেতে পারে।
ঘন্ট্রাকার:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাসের আকৃতি ঘন্ট্রাকার (Helical) নয়। কিছু ভাইরাসের গঠন ঘন্ট্রাকার হয়, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, তবে ডেঙ্গু ভাইরাস এই ধরনের নয়।
নোট:
ডেঙ্গু ভাইরাসের গঠন ও আকৃতি সম্পর্কে এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের আকৃতির বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতে সাহায্য করবে। সঠিক উত্তর হলো “গোলাকার,” কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস গোলাকার আকৃতির হয়।
25 / 50
25.
অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত ঈস্টকে নিচের কোন ভাইরাসটি ধ্বংস করে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত স্টুটকে নিচের কোন ভাইরাসটি ধ্বংস করে?”
এই প্রশ্নটি অ্যালকোহল শিল্প এবং এর সাথে সম্পর্কিত ভাইরাস ধ্বংসের প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি ভাইরাস ধ্বংসের ক্ষেত্রে অ্যালকোহলের ভূমিকা এবং সঠিক স্টুট নির্বাচন সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
সায়ানোফাগ:
ভুল অপশন: সায়ানোফাগ একটি ফেজ ভাইরাস যা সায়ানোব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এটি অ্যালকোহল দ্বারা ধ্বংস হয় না এবং অ্যালকোহল শিল্পের স্টুটের সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
জাইমোফাগ:
সঠিক অপশন: জাইমোফাগ হলো একটি ফেজ ভাইরাস যা ইস্ট বা খামির কোষকে আক্রমণ করে। অ্যালকোহল শিল্পে জাইমোফাগকে ধ্বংস করা প্রয়োজন হয়, এবং স্টুট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি ধ্বংস করা সম্ভব। তাই এই অপশনটি সঠিক।
ইবোলা:
ভুল অপশন: ইবোলা একটি মানব ভাইরাস যা ফিলোভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এটি অ্যালকোহল শিল্পের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং স্টুট প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করার বিষয়েও এটি প্রযোজ্য নয়। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
পলিোহাইড্রোসিস:
ভুল অপশন: পলিোহাইড্রোসিস একটি প্রোটিনসৃষ্ট রোগ যা কিছু পোকামাকড়ের মধ্যে দেখা যায়। এটি ভাইরাস নয় এবং অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত স্টুটের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অ্যালকোহল শিল্পে ভাইরাস ধ্বংসের ক্ষেত্রে স্টুটের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। জাইমোফাগ ভাইরাস ধ্বংসের প্রক্রিয়াটি অ্যালকোহল শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি জেনে রাখা প্রয়োজন।
26 / 50
26.
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রােগীর রক্তে কোনটির উপস্থিতি পাওয়া যায়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তে কোনটি উপস্থিতি পাওয়া যায়?”
এই প্রশ্নটি মূলত ইমিউনোলজি এবং ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে সংক্রমিত হয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
IgA:
ভুল অপশন: IgA হলো একটি অ্যান্টিবডি যা সাধারণত শ্লেষ্মা ঝিল্লি এবং অন্যান্য শরীরের শারীরিক প্রতিবন্ধকে পাওয়া যায়। এটি ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিরক্ষা ভূমিকা পালন করে না।
IgK:
ভুল অপশন: IgK হলো একটি কল্পিত নাম। এর কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই এবং এটি কোনও অ্যান্টিবডি নয়।
IgM:
সঠিক অপশন: IgM হলো প্রাথমিক অ্যান্টিবডি যা শরীরে নতুন কোনো সংক্রমণের সময় প্রথম তৈরি হয়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তে IgM এর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে সংক্রমণটি নতুন এবং শরীর এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করছে।
IgE:
ভুল অপশন: IgE সাধারণত অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার সাথে যুক্ত এবং এটি ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্রধান অ্যান্টিবডি নয়।
নোট:
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে IgM এর উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। IgM এর উপস্থিতি নির্দেশ করে যে রোগী সম্প্রতি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে এবং শরীর প্রাথমিকভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা তৈরি করছে। সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো “IgM।”
27 / 50
27.
ডেঙ্গু রোগ নিচের কোনটির জন্য হয় ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু রোগ নিচের কোনটির জন্য হয়?”
এই প্রশ্নটি ডেঙ্গু রোগের কারণ এবং এর বাহক সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগ এবং এর সংশ্লিষ্ট কারণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
তেলাপোকা:
ভুল অপশন: তেলাপোকা কোনো ভাইরাস বা রোগের বাহক নয় এবং ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী নয়। এটি রোগ সংক্রমণে ভূমিকা রাখে না, তাই এই অপশনটি ভুল।
মশা:
সঠিক অপশন: মশা, বিশেষ করে এডিস মশা, ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এবং এই ভাইরাসটি মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। তাই এই অপশনটি সঠিক।
মাছি:
ভুল অপশন: মাছি ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক নয় এবং ডেঙ্গু রোগের সাথে সম্পর্কিত নয়। মাছি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য প্যাথোজেন ছড়াতে পারে, কিন্তু ডেঙ্গু রোগের জন্য এটি দায়ী নয়।
মৌমাছি:
ভুল অপশন: মৌমাছি ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক নয় এবং ডেঙ্গু রোগের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। মৌমাছির সাথে ডেঙ্গু রোগের কোনো সংযোগ নেই, তাই এই অপশনটি ভুল।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগের কারণ এবং এর বাহক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে সাহায্য করবে। ডেঙ্গু একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা এবং এর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই রোগের প্রতিরোধে সচেতন হতে পারে।
28 / 50
28.
মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা কোনটি?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়া রোগের সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া হলো একটি প্রোটোজোয়ান রোগ, যা প্লাজমোডিয়াম জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। এই জীবাণু মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন দশায় বিকাশ লাভ করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
মেরোজোয়েট (Merozoite):
ভুল অপশন: মেরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর একটি উন্নত দশা যা লিভারে স্পোরোজোয়েট থেকে বিভাজিত হয়ে রক্তে প্রবেশ করে এবং লোহিত রক্ত কণিকাকে সংক্রমিত করে। এটি ম্যালেরিয়ার প্রথম দশা নয়।
ট্রেফোজোয়েট (Trophozoite):
ভুল অপশন: ট্রেফোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর আরেকটি দশা, যা মেরোজোয়েট থেকে উৎপন্ন হয় এবং লোহিত রক্ত কণিকাতে বৃদ্ধি পায়। এটি ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের প্রথম দশা নয়।
ক্রিপ্টোজোয়েট (Cryptozoite):
ভুল অপশন: ক্রিপ্টোজোয়েট একটি সম্ভাব্য বিকল্প কিন্তু ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা নয়। এটি প্লাজমোডিয়ামের লাইফ সাইকেলের একটি অগ্রগামী দশা নয়।
স্পোরোজোয়েট (Sporozoite):
সঠিক অপশন: স্পোরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা যা মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এটি প্রথমে লিভারে গিয়ে সংক্রমণ ঘটায় এবং পরবর্তীতে মেরোজোয়েটে পরিণত হয়।
নোট:
ম্যালেরিয়া জীবাণুর সংক্রমণ প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং বিভিন্ন দশায় বিভক্ত। প্রথম দশায় স্পোরোজোয়েট আকারে জীবাণুটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং এটি ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ প্রক্রিয়ার শুরু। এই সংক্রামক স্পোরোজোয়েটগুলি লিভারে গিয়ে পরিপক্ক হয় এবং মেরোজোয়েট আকারে রক্তে মুক্তি পায়। তাই, সঠিক উত্তর হলো “স্পোরোজোয়েট।”
29 / 50
29.
নিউক্লিক এসিড এবং ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত সংক্রমণক্ষম ভাইরাস কণাকে কী বলে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিউক্লিক এসিড এবং ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণাকে কী বলে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং তার সংক্রামক ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাস মূলত নিউক্লিক এসিড (DNA বা RNA) এবং প্রোটিন ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত একটি কণা, যা সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা রাখে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভিরিয়ন:
সঠিক উত্তর: ভিরিয়ন হলো একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণা, যা নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিন ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত। এটি ভাইরাসের সক্রিয় রূপ, যা সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।
ভিরয়েড:
ভুল অপশন: ভিরয়েড হলো ছোট এবং সংক্রামক RNA কণা, যা সাধারণত উদ্ভিদকে সংক্রমিত করে। এটি ভাইরাসের মতো প্রোটিন ক্যাপসিড দ্বারা আবৃত নয় এবং এটি পূর্ণাঙ্গ ভাইরাস নয়।
প্রিয়ন:
ভুল অপশন: প্রিয়ন হলো সংক্রমক প্রোটিন কণা, যা সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি কোনো নিউক্লিক এসিড ধারণ করে না এবং এটি ভাইরাস নয়।
নিউক্লিওক্যাপসিড:
ভুল অপশন: নিউক্লিওক্যাপসিড হলো ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিন ক্যাপসিডের যৌথ গঠন, তবে এটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভিরিয়ন নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং সংক্রামক ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর ভিরিয়ন , যা একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণা। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের কার্যক্রম এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সহায়তা করবে।
30 / 50
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “উদ্ভিদ ভাইরাস-“
এই প্রশ্নটি উদ্ভিদে সংক্রমিত ভাইরাসগুলির সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। উদ্ভিদ ভাইরাস হল ভাইরাসগুলির একটি বিশেষ ধরনের গ্রুপ যা শুধুমাত্র উদ্ভিদ কোষে সংক্রমিত হয় এবং তাদের বিকাশকে ব্যাহত করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
HIV:
ভুল অপশন: HIV হলো একটি RNA ভাইরাস যা মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। এটি একটি মানব-সংক্রমিত ভাইরাস, উদ্ভিদ ভাইরাস নয়।
Influenza:
ভুল অপশন: ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি RNA ভাইরাস যা মানুষের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায় এবং ফ্লু বা সর্দি-কাশির কারণ হয়। এটি উদ্ভিদ ভাইরাস নয়।
Polio:
ভুল অপশন: পোলিও ভাইরাস হলো একটি মানব-সংক্রমিত ভাইরাস যা নিউরন কোষে আক্রমণ করে এবং পোলিওমাইলাইটিস রোগের সৃষ্টি করে। এটি উদ্ভিদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায় না।
TMV (Tobacco Mosaic Virus):
সঠিক অপশন: টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV) হলো একটি উদ্ভিদ ভাইরাস যা তামাক এবং অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়। এটি উদ্ভিদ কোষে সংক্রমিত হয় এবং পাতা ও অন্যান্য অংশে মোজাইক মত দাগের সৃষ্টি করে।
নোট:
উদ্ভিদ ভাইরাসগুলি উদ্ভিদের কোষে সংক্রমণ ঘটায় এবং তাদের বৃদ্ধি ও বিকাশকে ব্যাহত করে। TMV বা টোবাকো মোজাইক ভাইরাস উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাস যা উদ্ভিদ বিজ্ঞান এবং রোগবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই, সঠিক উত্তর হলো “TMV,” কারণ এটি একটি উদ্ভিদ ভাইরাস যা তামাক এবং অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়।
31 / 50
31.
নিচের কোন ব্যাকটেরিয়া মুক্ত অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন ব্যাকটেরিয়া মুক্ত অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচে?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়ার শ্বাসক্রিয়া সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। কিছু ব্যাকটেরিয়া অ্যারোবিক অর্থাৎ অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় শ্বাসক্রিয়ার জন্য, আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া অ্যানঅ্যারোবিক যা অক্সিজেন ছাড়াই বেঁচে থাকতে সক্ষম।
অপশন বিশ্লেষণ:
Azotobacter:
ভুল অপশন: Azotobacter হলো একটি অ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া যা মাটিতে বেঁচে থাকে এবং নাইট্রোজেন ফিক্সেশন প্রক্রিয়ায় জড়িত। এটি অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বেঁচে থাকে। তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
Bacillus:
ভুল অপশন: Bacillus সাধারণত অ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া হিসেবে পরিচিত, তবে কিছু Bacillus প্রজাতি ফ্যাকালটেটিভ অ্যানঅ্যারোবিক হতে পারে। তবুও এটি সঠিক উত্তর নয়।
Clostridium:
সঠিক অপশন: Clostridium একটি অ্যানঅ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া যা মুক্ত অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচতে পারে। এটি বিশেষ করে মাটিতে পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন রকম শ্বাসক্রিয়া করতে সক্ষম। এটি সঠিক উত্তর।
Staphylococcus:
ভুল অপশন: Staphylococcus সাধারণত একটি ফ্যাকালটেটিভ অ্যানঅ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া, যা অক্সিজেনের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি উভয় অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে। তবে এটি সম্পূর্ণ অ্যানঅ্যারোবিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের অ্যানঅ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়ার ধরন এবং তাদের শ্বাসক্রিয়া সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক। Clostridium একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যানঅ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া যা অক্সিজেন ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে, এবং এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি রয়েছে যেগুলি বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে থাকে।
32 / 50
32.
জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় কোন বাহকের মাধ্যমে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় কোন বাহকের মাধ্যমে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। জিকা ভাইরাস মূলত মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়, এবং এটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
এডিস মশক:
ভুল অপশন: এই অপশনটি আংশিক ভুল। এডিস মশক জিকা ভাইরাসের বাহক হলেও এখানে আরও সুনির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
এডিস মশকী:
সঠিক উত্তর: এডিস মশা, বিশেষত এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস মশা, জিকা ভাইরাসের প্রধান বাহক। এই মশাগুলি মানুষকে কামড়ানোর মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায়। এটি সঠিক উত্তর।
অ্যানোফিলিস মশক:
ভুল অপশন: অ্যানোফিলিস মশা হলো ম্যালেরিয়া রোগের বাহক। এটি জিকা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে জড়িত নয়।
অ্যানোফিলিস মশকী:
ভুল অপশন: অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী, কিন্তু জিকা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জিকা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার বাহক সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হলো এডিস মশকী , কারণ এডিস মশা জিকা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য প্রধান বাহক হিসেবে কাজ করে। এটি শিক্ষার্থীদের রোগের সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সহায়ক হবে।
33 / 50
33.
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর মূলত কি দিয়ে গঠিত?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর মূলত কি দিয়ে গঠিত?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়া জীববিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা নিয়ে তৈরি। ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের মূল উপাদান জানতে চাওয়া হয়েছে। এটি ব্যাকটেরিয়ার আকার বজায় রাখা এবং শারীরিক প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
মুরামিক এসিড:
ভুল অপশন: মুরামিক এসিড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গঠনে ভূমিকা পালন করে, তবে এটি একা কোষ প্রাচীর গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। এটি পেপটাইডোগ্লাইকান গঠনের অংশ, কিন্তু প্রধান উপাদান নয়।
কাইটিন:
ভুল অপশন: কাইটিন একটি পলিস্যাকারাইড যা মূলত ছত্রাক ও কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে পাওয়া যায়। ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গঠনে এটি কোনো ভূমিকা পালন করে না।
সেলুলোজ:
ভুল অপশন: সেলুলোজ একটি পলিস্যাকারাইড যা উদ্ভিদ কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের অংশ নয়।
মিউকোপেপটাইড (পেপটাইডোগ্লাইকান):
সঠিক অপশন: ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর প্রধানত পেপটাইডোগ্লাইকান (মিউকোপেপটাইড) দিয়ে গঠিত, যা পলিস্যাকারাইড এবং পেপটাইডের মিশ্রণ। এটি কোষ প্রাচীরকে শক্তিশালী করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করে।
নোট:
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর পেপটাইডোগ্লাইকান দিয়ে গঠিত, যা ব্যাকটেরিয়াকে আকার বজায় রাখতে এবং প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে শক্তিশালী রক্ষাকারী কাঠামো হিসেবে কাজ করে। সঠিক উত্তর হলো মিউকোপেপটাইড (পেপটাইডোগ্লাইকান) ।
34 / 50
34.
সমগোত্রীয় নয় কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “সমগোত্রীয় জ্বর কোনটি?”
এই প্রশ্নটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের সংক্রামক রোগ সম্পর্কিত। এখানে সমগোত্রীয় জ্বর অর্থ এমন একটি জ্বর যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য সংক্রামক কারণ দ্বারা সৃষ্ট এবং একই ধরণের জ্বরের উপসর্গ রয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Yellow Fever:
ভুল অপশন: ইয়েলো ফিভার একটি ভাইরাস-সৃষ্ট রোগ যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সমগোত্রীয় জ্বর নয়, কারণ এর সংক্রমণ ও লক্ষণ অন্যান্য সাধারণ জ্বরের সাথে সম্পূর্ণ আলাদা।
Typhoid Fever:
সঠিক অপশন: টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া (Salmonella typhi) দ্বারা সৃষ্ট রোগ, যা সাধারণত খারাপ পানির মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সমগোত্রীয় জ্বর কারণ টাইফয়েডের উপসর্গগুলি অনেক সাধারণ জ্বরের মতো এবং এর চিকিৎসাও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
Influenza Fever:
ভুল অপশন: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। যদিও এর উপসর্গ জ্বরের মতো, এটি সমগোত্রীয় জ্বর নয়, কারণ এর কারণ এবং সংক্রমণের ধরন টাইফয়েড থেকে ভিন্ন।
Dengue Fever:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি মশা-বাহিত ভাইরাস-জনিত রোগ। এটি সমগোত্রীয় জ্বর নয়, কারণ এর লক্ষণ ও সংক্রমণ পদ্ধতি টাইফয়েডের থেকে আলাদা।
নোট:
সমগোত্রীয় জ্বর মূলত এমন একটি জ্বরকে বোঝায়, যা সংক্রমণ বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে ঘটে এবং এর উপসর্গগুলি এক ধরণের জ্বরের মতো হয়। টাইফয়েড ফিভার এমন একটি উদাহরণ, যা সাধারণ জ্বরের উপসর্গের সাথে মেলে এবং এটি ব্যাকটেরিয়া-সৃষ্ট। সঠিক উত্তর হলো Typhoid Fever ।
35 / 50
35.
নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত জ্বর নয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত জ্বর নয়?”
এই প্রশ্নটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের রোগ সংক্রান্ত অংশের একটি বিষয়। এখানে ভাইরাসজনিত জ্বর এমন একটি জ্বর যা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়। তবে, এই প্রশ্নের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ভাইরাসজনিত ও ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য কারণে সৃষ্ট জ্বরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে সাহায্য করা।
অপশন বিশ্লেষণ:
ডেঙ্গু জ্বর:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এটি ভাইরাসজনিত জ্বর এবং সঠিক উত্তর নয়।
চিকুনগুনিয়া জ্বর:
ভুল অপশন: চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি ভাইরাসজনিত জ্বরের অন্তর্ভুক্ত।
টাইফয়েড জ্বর:
সঠিক অপশন: টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া (Salmonella typhi) দ্বারা সৃষ্ট জ্বর। এটি ভাইরাসজনিত নয়, তাই সঠিক উত্তর হলো টাইফয়েড জ্বর।
ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর:
ভুল অপশন: ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি ভাইরাসজনিত জ্বরের একটি উদাহরণ।
নোট:
ভাইরাসজনিত ও ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বরের মধ্যে পার্থক্য বোঝা রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর, যা ভাইরাসজনিত নয়। সঠিক উত্তর হলো টাইফয়েড জ্বর ।
36 / 50
36.
নিচের কোনটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাস সংক্রান্ত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদানের কার্যকারিতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জানা দরকার যে ভাইরাসের প্রতিরোধ বা নিষ্ক্রিয়করণের জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর। সাধারণভাবে, ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান এবং ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
রাইবোজোম:
ভুল অপশন: রাইবোজোম কোষের প্রোটিন সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার অংশ, কিন্তু এটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার কোনো ক্ষমতা রাখে না। তাই, এই অপশনটি ভুল।
ইন্টারফেরন:
সঠিক অপশন: ইন্টারফেরন ভাইরাস প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন। এটি সংক্রমিত কোষ থেকে নিঃসৃত হয় এবং ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে অন্যান্য কোষগুলোকে সতর্ক করে, যার ফলে ভাইরাসের বৃদ্ধি বা প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে কার্যকর, তাই এই অপশনটি সঠিক।
হরমোন:
ভুল অপশন: হরমোন বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে, কিন্তু ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে না। তাই এই অপশনটি ভুল।
ব্যাকটেরিয়া:
ভুল অপশন: ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের জীবাণু। যদিও কিছু ব্যাকটেরিয়াফেজ ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত করতে পারে, সাধারণ ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে না। সুতরাং, এই অপশনটি ভুল।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন, যেমন ইন্টারফেরন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। ইন্টারফেরন ভাইরাস প্রতিরোধে অন্যতম কার্যকর এবং প্রাকৃতিক উপাদান যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এই ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের ভাইরাসবিরোধী প্রতিরোধ এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান দিতে সাহায্য করে।
37 / 50
37.
হেপাটাইটিস সি কে আবিষ্কার করেন?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “হেপাটাইটিস সি কে আবিষ্কার করেন?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের আবিষ্কার এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। হেপাটাইটিস সি হলো একটি ভাইরাস যা প্রধানত লিভারকে সংক্রমিত করে, এবং এর আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
অপশন বিশ্লেষণ:
Gallow:
ভুল অপশন: Gallow নামে কোনো ব্যক্তি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত নন। এটি ভুল উত্তর।
Stanley:
ভুল অপশন: Stanley এর নামের সাথে হেপাটাইটিস সি আবিষ্কারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ভুল উত্তর।
Hervey J. Alter:
সঠিক উত্তর: Hervey J. Alter একজন চিকিৎসক ও গবেষক, যিনি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি এবং তার সহকর্মীরা রক্ত সংক্রমণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস শনাক্ত করেন। ২০২০ সালে তাকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
Edward Jenner:
ভুল অপশন: Edward Jenner প্রথম সফল ভ্যাকসিন আবিষ্কারক হিসেবে পরিচিত, তবে তিনি হেপাটাইটিস সি আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি স্মলপক্স ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাইরাস আবিষ্কার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের সম্পর্কে ধারণা দেয়। সঠিক উত্তর Hervey J. Alter , যিনি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
Hervey J.Alter হেপাটাইটিস -সি ভাইরাস আবিষ্কার করেন৷
Ref-Hasan Sir,P-140,2020 Edition
38 / 50
38.
TMV এর ক্যাপসোমিয়ারে কয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “TMV এর ক্যাপসোমিয়ারে কতটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে?”
এই প্রশ্নটি TMV (Tobacco Mosaic Virus) এর গঠন ও ক্যাপসোমিয়ারের বায়োকেমিক্যাল তথ্য সম্পর্কে। TMV এর কাঠামো এবং তার ক্যাপসোমিয়ার প্রোটিন কম্পোনেন্ট কীভাবে গঠিত হয়, তা বোঝা এই প্রশ্নের মূল উদ্দেশ্য।
অপশন বিশ্লেষণ:
১৫৪টি:
সঠিক অপশন: TMV এর ক্যাপসোমিয়ার প্রোটিনে সাধারণত ১৫৪টি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এটি একক প্রোটিন ইউনিট যা ভাইরাসের প্রোটিন শেল তৈরি করে।
১৫৫টি:
ভুল অপশন: TMV এর ক্যাপসোমিয়ারে ১৫৫টি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে না, সঠিক সংখ্যা ১৫৪টি।
১৫৩টি:
ভুল অপশন: TMV এর ক্যাপসোমিয়ার গঠন ১৫৩টি অ্যামিনো অ্যাসিড নিয়ে গঠিত নয়, সঠিক সংখ্যা ১৫৪টি।
১৫৬টি:
ভুল অপশন: TMV এর ক্যাপসোমিয়ারে ১৫৬টি অ্যামিনো অ্যাসিড নেই, সঠিক সংখ্যা হলো ১৫৪টি।
নোট:
TMV (তামাক মোজাইক ভাইরাস) হলো এক প্রকার RNA ভাইরাস, যা উদ্ভিদের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করে। এর ক্যাপসোমিয়ার প্রোটিন ১৫৪টি অ্যামিনো অ্যাসিড নিয়ে গঠিত।
TMV এর ক্যাপসোমিয়ারে ১৫৮ টি এমাইনো এসিড থাকে৷
Ref-Hasan Sir,P-145,2020 Edition
39 / 50
39.
মানবদেহে ম্যালেরিয়ার চক্রকে কি বলে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “মানবদেহে ম্যালেরিয়ার চক্রকে কী বলে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ম্যালেরিয়া রোগের জীবনচক্র এবং এর সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া পরজীবী প্লাজমোডিয়াম (Plasmodium) মশার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে এবং এর জীবনচক্রের একটি অংশ মানবদেহে সম্পন্ন হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
সাইজোগিনি:
সঠিক উত্তর: সাইজোগিনি (Schizogony) হলো ম্যালেরিয়া পরজীবীর মানবদেহে সংঘটিত অসংখ্য কোষ বিভাজনের প্রক্রিয়া, যা রক্তের লোহিত কণিকায় ঘটে। এটি ম্যালেরিয়ার জীবচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
গ্যামিটোগিনি:
ভুল অপশন: গ্যামিটোগিনি হলো ম্যালেরিয়া পরজীবীর প্রজনন চক্রের অংশ, যা মশার দেহে সংঘটিত হয়। এটি মানবদেহে সংঘটিত নয়, তাই এটি ভুল উত্তর।
স্পোরোগনি:
ভুল অপশন: স্পোরোগনি হলো ম্যালেরিয়া পরজীবীর সেই ধাপ, যা মশার শরীরে সংঘটিত হয়। এটি মশার দেহে স্পোরোজোয়েট উৎপন্ন করে। তাই এটি মানবদেহে সংঘটিত হয় না।
স্পোরোজোয়েট:
ভুল অপশন: স্পোরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া পরজীবীর সংক্রমক ধাপ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। তবে এটি চক্রের কোনো প্রক্রিয়া নয়, বরং পরজীবীর একটি সংক্রামক ধাপ।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া পরজীবীর জীবনচক্র সম্পর্কে ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর সাইজোগিনি , কারণ এটি মানবদেহে সংঘটিত ম্যালেরিয়া পরজীবীর কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া।
40 / 50
40.
নিচের কোনটি DNA ভাইরাস?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি DNA ভাইরাস?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনগত উপাদান (DNA বা RNA) সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাসের দুটি প্রধান শ্রেণী রয়েছে: DNA ভাইরাস এবং RNA ভাইরাস। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাইরাসের শ্রেণীবিভাগ বুঝতে শিখবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
হেপাটাইটিস বি:
সঠিক উত্তর: হেপাটাইটিস বি হলো একটি DNA ভাইরাস, যা প্রধানত লিভার সংক্রমণ ঘটায়। এর জিনোম ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড DNA দ্বারা গঠিত। তাই এটি সঠিক উত্তর।
চিকুনগুনিয়া:
ভুল অপশন: চিকুনগুনিয়া একটি RNA ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এটি DNA ভাইরাস নয়, তাই এটি ভুল উত্তর।
টোব্যাকো মোজাইক:
ভুল অপশন: টোব্যাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV) একটি RNA ভাইরাস। এটি উদ্ভিদকে সংক্রমিত করে এবং এটি DNA ভাইরাস নয়।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাস একটি RNA ভাইরাস, যা Flaviviridae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি DNA ভাইরাস নয়, তাই এটি ভুল উত্তর।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাইরাসের জিনোম এবং তার শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হলো হেপাটাইটিস বি , যা একটি DNA ভাইরাস এবং লিভার সংক্রমণের জন্য দায়ী।
41 / 50
41.
নিচের কোন রোগটি ভাইরাস দ্বারা হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন রোগটি ভাইরাস দ্বারা হয়?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাসজনিত রোগ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি। ভাইরাস হলো এক ধরনের সংক্রামক এজেন্ট যা জীবন্ত কোষের ভেতরে প্রবেশ করে এবং সেগুলিকে সংক্রমিত করে বিভিন্ন রোগের কারণ সৃষ্টি করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
পোলিও:
সঠিক অপশন: পোলিও একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা পোলিও ভাইরাসের কারণে হয়। এই রোগটি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করে এবং পঙ্গুত্বের কারণ হতে পারে। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
ডিপথেরিয়া:
ভুল অপশন: ডিপথেরিয়া একটি ব্যাকটেরিয়া-জনিত রোগ যা Corynebacterium diphtheriae নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। তাই, এটি ভুল অপশন।
কলেরা:
ভুল অপশন: কলেরা Vibrio cholerae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়, যা একটি ব্যাকটেরিয়া-জনিত রোগ। তাই, এই অপশনটিও ভুল।
টাইফয়েড:
ভুল অপশন: টাইফয়েড রোগ স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়, যা ভাইরাস নয়। তাই, এটি ভুল অপশন।
নোট:
ভাইরাসজনিত এবং ব্যাকটেরিয়া-জনিত রোগগুলির মধ্যে পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই রোগগুলির চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ পদ্ধতি ভিন্ন। পোলিওর মতো ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর, যা শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে সহায়ক।
42 / 50
42.
কোনটি প্লাজমিডের বৈশিষ্ট্য?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি প্লাজমিডের বৈশিষ্ট্য?”
এই প্রশ্নটি প্লাজমিডের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি। প্লাজমিড হলো ছোট, বৃত্তাকার ডিএনএ অণু যা ব্যাকটেরিয়ায় স্বতন্ত্রভাবে উপস্থিত থাকে এবং প্রজনন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
এক ব্যাকটেরিয়া থেকে অন্য ব্যাকটেরিয়ায় স্থানান্তরে সক্ষম:
সঠিক অপশন: প্লাজমিডের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি এক ব্যাকটেরিয়া থেকে অন্য ব্যাকটেরিয়ায় স্থানান্তরিত হতে পারে। এটি ব্যাকটেরিয়ার জিনগত বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করতে সহায়ক। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা নেই:
ভুল অপশন: প্লাজমিড প্রায়শই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য দায়ী। এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধশীল হয়ে উঠতে পারে। তাই, এটি ভুল অপশন।
100 µm পর্যন্ত লম্বা হতে পারে:
ভুল অপশন: প্লাজমিড খুবই ছোট আকারের হয় এবং কখনোই 100 µm পর্যন্ত লম্বা হয় না। এটি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে দেখা যায়। তাই, এটি ভুল অপশন।
কোষের ক্রোমোসোমের মত:
ভুল অপশন: প্লাজমিড কোষের ক্রোমোসোমের থেকে আলাদা, কারণ এটি স্বতন্ত্রভাবে প্রতিলিপি করতে সক্ষম এবং ক্রোমোসোমের তুলনায় ছোট আকারের হয়। তাই, এটি ভুল অপশন।
নোট:
প্লাজমিড ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জিনগত উপাদান, যা ব্যাকটেরিয়ার অভিযোজন এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের প্লাজমিডের বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
43 / 50
43.
মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা কোনটি?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়া জীবাণুর (Plasmodium) জীবনচক্রের প্রথম ধাপ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার পর ম্যালেরিয়া জীবাণু মানবদেহে বিভিন্ন ধাপে তার চক্র সম্পন্ন করে। এর মধ্যে প্রথম দশা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা জীবাণুর সংক্রমণের সূচনা করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
মেরোজোয়েট:
ভুল অপশন: মেরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর একটি দশা, তবে এটি প্রথম ধাপ নয়। মেরোজোয়েট লোহিত রক্তকণিকায় প্রবেশ করে এবং কোষের ভেতরে বিভাজন করে।
ক্রিসপোজোয়েট:
ভুল অপশন: ক্রিসপোজোয়েট নামের কোনো ধাপ ম্যালেরিয়া জীবাণুর জীবচক্রে নেই, তাই এটি ভুল অপশন।
ট্রুফোজোয়েট:
ভুল অপশন: ট্রুফোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর একটি দশা, যা লোহিত রক্তকণিকায় বিভাজন শেষে গঠিত হয়। তবে এটি প্রথম ধাপ নয়।
স্পোরোজোয়েট:
সঠিক উত্তর: স্পোরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। এটি রক্তের মাধ্যমে লিভারে গিয়ে সংক্রমণ শুরু করে।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ম্যালেরিয়া জীবাণুর জীবনচক্র এবং এর সংক্রমণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। স্পোরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে।
44 / 50
44.
কোন সংক্রমন ব্যাধি পৃথিবী হতে নির্মূল হয়েছে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন সংক্রমণ ব্যাধি পৃথিবী হতে নির্মূল হয়েছে?”
এই প্রশ্নটি সংক্রমণ ব্যাধি সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। পৃথিবী থেকে কোন রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল করা হয়েছে, সেটি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা পরীক্ষা করা হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
কলেরা:
ভুল অপশন: কলেরা একটি সংক্রামক ব্যাধি, যা এখনও বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান। এটি সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায়নি। তাই, এটি ভুল অপশন।
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি। এটি এখনও বহু দেশে প্রচলিত একটি রোগ। তাই, এটি ভুল অপশন।
প্লেগ:
ভুল অপশন: প্লেগ অতীতে মহামারীর আকার ধারণ করলেও এটি এখনও পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায়নি। তাই, এটি ভুল অপশন।
গুটি বসন্ত:
সঠিক অপশন: গুটি বসন্ত পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হয়েছে। ১৯৮০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুটি বসন্তের নির্মূল ঘোষণা করে। এটি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর।
নোট:
গুটি বসন্ত পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র সংক্রমণ ব্যাধি, যা টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ রোগ এবং তাদের নির্মূল করার ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়।
45 / 50
45.
নিচের কোনটি এডিস (Aedes) মশা বাহিত রোগ নয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি এডিস (Aedes) মশা বাহিত রোগ নয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য এডিস মশা দ্বারা বহনকৃত রোগগুলি সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এডিস মশা কিছু নির্দিষ্ট রোগের বাহক হিসেবে পরিচিত, তবে কিছু রোগ এডিস মশা দ্বারা বহন করা হয় না।
অপশন বিশ্লেষণ:
চিকুনগুনিয়া:
ভুল অপশন: চিকুনগুনিয়া একটি এডিস মশা দ্বারা বহনকৃত ভাইরাসজনিত রোগ। এটি এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। তাই এটি এডিস মশা বহিত রোগ।
জিকা:
ভুল অপশন: জিকা ভাইরাসও এডিস মশা দ্বারা বহন করা হয়। এটি গর্ভবতী নারীদের মাধ্যমে নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এটি এডিস মশা বহিত রোগ।
ম্যালেরিয়া:
সঠিক উত্তর: ম্যালেরিয়া এডিস মশা দ্বারা বহন করা হয় না। এটি অ্যানোফিলিস মশা দ্বারা বহনকৃত রোগ। তাই এটি সঠিক উত্তর।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি এডিস মশা বহিত একটি রোগ।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এডিস মশা দ্বারা বহনকৃত এবং অন্যান্য মশা দ্বারা বহনকৃত রোগের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবে। সঠিক উত্তর হলো ম্যালেরিয়া , কারণ এটি এডিস মশা বহিত রোগ নয়, বরং অ্যানোফিলিস মশা এর বাহক।
46 / 50
46.
কোন ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক ও পিইটি খেতে পারে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক ও পিইটি (PET) খেতে পারে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ ক্ষমতা এবং পরিবেশ দূষণ রোধে এর ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিছু ব্যাকটেরিয়া প্লাস্টিক এবং অন্যান্য কঠিন পদার্থ ভেঙে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, যা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
রাইজোবিয়াম লিলিগ্নোমেসোরাম:
ভুল অপশন: রাইজোবিয়াম একটি নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া, যা মূলত মাটিতে উদ্ভিদের সঙ্গে সহবাস করে এবং নাইট্রোজেন ফিক্সেশনের মাধ্যমে উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি প্লাস্টিক ভাঙতে বা পিইটি খেতে পারে না।
ক্যালজিব্যাক্টেরিয়া:
ভুল অপশন: ক্যালজিব্যাক্টেরিয়া প্লাস্টিক ভাঙতে পারে না বা পিইটি খেতে পারে না। এটি অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাই এটি ভুল অপশন।
ইডিওনেলা সাকারেনসিস:
সঠিক উত্তর: ইডিওনেলা সাকারেনসিস হলো একটি ব্যাকটেরিয়া যা পিইটি (PET) প্লাস্টিক খেতে সক্ষম। এটি প্লাস্টিক দূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ইনডোসিনিক্রোবিয়া:
ভুল অপশন: এই ব্যাকটেরিয়াটি প্লাস্টিক বা পিইটি খেতে পারে না। এটি পরিবেশগত উপাদানগুলির জন্য ব্যবহৃত হয় না, তাই এটি ভুল অপশন।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিক দূষণ কমাতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা দেয়। সঠিক উত্তর হলো ইডিওনেলা সাকারেনসিস , যা পিইটি প্লাস্টিক খেতে সক্ষম এবং পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইডেওনেলা সাকায়েনসিস’(Ideonella sakaiensis) নামের ব্যাকটেরিয়া দুটি এনজাইম ব্যবহার করে পলিইথিলিন টেরেপথালেটকে (PTE) ভেঙে ফেলে।
পরিবেশের জন্য সত্যিই এটা একটা ভালো খবর হতে পারে মন্তব্য করে CNN বলছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (WIF) তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বে যে সব প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয় তার এক তৃতীয়াংশই সংগ্রহের বাইরে গিয়ে পরিবেশে ছড়িয়ে যায়।
47 / 50
47.
ব্যাকটেরিয়া আবিস্কার করেন কোন বিজ্ঞানী?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন কোন বিজ্ঞানী?”
এই প্রশ্নটি ইতিহাস এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ক প্রশ্ন, যা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার এবং তাদের অবদান সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
লুইসেন হুক (সঠিক উত্তর): সঠিক অপশন: লুইসেন হুক প্রথম ব্যক্তি যিনি মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন। তিনি ১৬৭৬ সালে এটি দেখতে সক্ষম হন এবং এর মাধ্যমে মাইক্রোবায়োলজির সূচনা হয়।
রবার্ট কুক: ভুল অপশন: রবার্ট কুক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেননি। তিনি কোষ আবিষ্কার করেন এবং কোষ তত্ত্বের প্রবর্তন করেন।
রবার্ট হুক: ভুল অপশন: রবার্ট হুক কোষ আবিষ্কারের জন্য পরিচিত, তবে তিনি ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেননি।
লুইসেন কুক: ভুল অপশন: এই নামে কোন বিজ্ঞানী উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার করেননি।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লুইসেন হুকের অবদান সম্পর্কে জানতে পারে, যিনি মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে প্রথম ব্যাকটেরিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।
অ্যান্টনি ভ্যান লীউয়েনহুক ১৬৭৫ সালে তার নিজের আবিষ্কৃত সরল অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে এক ফোঁটা বৃষ্টির পানিতে ব্যাক্টেরিয়া উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। Edward jenner 1796 সালে সর্বপ্রথম ভাইরাসগঠিত গুটি বসন্তের কথা উল্লেখ করেন।
48 / 50
48.
নিচের কোনটি অকোষীয় ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি আকণ্ঠীয়?”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে আকণ্ঠীয় (Acellular) জীবের কথা বলা হচ্ছে। আকণ্ঠীয় জীব মানে সেই জীব যা কোষীয় গঠন দ্বারা গঠিত নয়। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসগুলো অন্তর্ভুক্ত।
অপশন বিশ্লেষণ:
ব্যাকটেরিয়া :
ভুল অপশন: ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী জীব যা প্রোক্যারিয়টিক কোষ গঠন করে। ব্যাকটেরিয়া আকণ্ঠীয় নয়, কারণ এর কোষ রয়েছে।
ফাঙ্গাস :
ভুল অপশন: ফাঙ্গাস বা ছত্রাক বহু-কোষী জীব হতে পারে এবং এগুলোর কোষ রয়েছে। তাই এটি আকণ্ঠীয় নয়।
ভাইরাস :
সঠিক অপশন: ভাইরাস হলো আকণ্ঠীয়, কারণ এর কোনো কোষ নেই। এটি একটি প্রোটিন কোটের ভেতরে জিনোম নিয়ে গঠিত। ভাইরাস শুধুমাত্র অন্য জীবের কোষের ভেতরে প্রবেশ করে নিজেকে পুনরুৎপাদন করতে পারে।
মস :
ভুল অপশন: মস হলো বহুকোষী উদ্ভিদ। এটি আকণ্ঠীয় জীব নয়, কারণ এর কোষ গঠন রয়েছে।
নোট:
ভাইরাস হলো আকণ্ঠীয় জীব, যা কোষের অভাব রয়েছে এবং এটি শুধুমাত্র কোষের মধ্যে প্রবেশ করেই কার্যকর হতে পারে। সঠিক উত্তর হলো “ভাইরাস” ।
ভাইরাস – নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিন (আরকা) দিয়ে গঠিত অকোষীয় অতি আণুবীক্ষণিক সত্তা ।
ব্যাক্টেরিয়া- ব্যাক্টেরিয়া হল জড় কোষপ্রাচীর বিশিষ্ট, এককোষী, আণুবীক্ষণিক আদিকেন্দ্রিক অণুজীব।
মস- হল খুবই ছোট সবুজ কিংবা হলুদ রঙের উদ্ভিদ যা ভেজা পরিবেশ কিংবা পাথরের উপর জন্মে।
ফাংগাস- ছত্রাক শব্দটির ইংরেজি শব্দ হল ফাংগাস। আর ফাংগাস হল একধরনের ইউক্যারিওটিক পরজীবী বা মৃতজীবী জীব যা উদ্ভিদরাজ্য, প্রাণীরাজ্য, প্রোটাজোয়া এবং মোনেরার পাশাপাশি ছত্রাক রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত
RESULT
সবার রেজাল্ট একসাথে দেখার জন্য ‘Show’ এর পাশে ‘5’ ক্লিক করার পর ‘All’ এ ক্লিক করেন। ‼ এক্সাম SUBMIT করার পর, রেজাল্টে আপনার মেরিট দেখতে পেজটিকে একবার Reload করুন ।
DETAILS
আপনি যদি লগিন করে এক্সাম দেন, তাহলে আপনার দাগানো কোন MCQ সঠিক এবং ভুল ছিল, সব দেখতে পারবেন এখানে।
You must log in to see your results.