প্রশ্ন: হাইড্রার কর্ষিকার সংখ্যা কত?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নটি হাইড্রার কর্ষিকা বা টেনট্যাকলের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চায়। হাইড্রা হল একটি জেলি জাতীয় প্রাণী যার দেহ থেকে বাহিরে আসা কর্ষিকাগুলো তার চলাফেরা, শিকার ধরা এবং পরিবেশের সাথে মিথস্ক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। কর্ষিকার সংখ্যা হাইড্রার প্রজাতিভেদে ভিন্ন হতে পারে।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. ৫-৬টি: কিছু হাইড্রার কর্ষিকার সংখ্যা ৫-৬ হতে পারে, তবে সাধারণত এই সংখ্যা আরও বড় হয়। এটি সঠিক উত্তর নয়।
2. ৫-৭টি: কর্ষিকার সংখ্যা ৫-৭টি হতে পারে, তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি হয়।
3. ৫-৮টি: সাধারণত হাইড্রার কর্ষিকার সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হয়, তাই এটি সঠিক নয়।
4. ৬-১০টি: হাইড্রার কর্ষিকার সংখ্যা সাধারণত ৬-১০টি হয়, এটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তর।

নোট:

হাইড্রার কর্ষিকার সংখ্যা সাধারণত ৬-১০টি হয়। এটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর। হাইড্রা তার কর্ষিকাগুলোর মাধ্যমে শিকার ধরে এবং পরিবেশের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে।

প্রশ্ন: রুই মাছের আইশ কোন ধরনের?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

প্রশ্নটি রুই মাছের আইশ বা স্কেল সম্পর্কিত। মাছের স্কেল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন প্ল্যাকয়েড, সাইক্লয়েড, টিনয়েড, ইত্যাদি। রুই মাছ একটি মিঠা পানির মাছ এবং এর আইশের ধরন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. প্ল্যাকয়েড: প্ল্যাকয়েড স্কেল সাধারণত হাঙর এবং রে জাতীয় মাছের মধ্যে দেখা যায়। এটি রুই মাছের জন্য প্রযোজ্য নয়, তাই এটি ভুল উত্তর।
2. সাইনয়েড: এই ধরনের স্কেল সাধারণত প্রাচীন মাছের মধ্যে দেখা যায়। এটি রুই মাছের আইশ নয়।
3. টিনয়েড: টিনয়েড স্কেলও রুই মাছের স্কেলের জন্য সঠিক নয়। এটি সাধারণত কিছু সামুদ্রিক মাছের মধ্যে পাওয়া যায়।
4. সাইক্লয়েড: রুই মাছের স্কেল সাইক্লয়েড ধরনের হয়, যা মসৃণ এবং গোলাকার। এটি সঠিক উত্তর।

নোট:

রুই মাছের আইশ হল সাইক্লয়েড ধরনের। এই স্কেলগুলো মসৃণ এবং গোলাকার, যা সাধারণত মিঠা পানির মাছের মধ্যে দেখা যায়।

প্রশ্ন: হাইড্রার বহিঃত্বকে সমগ্র অংশ জুড়ে অবস্থান করে কোনটি?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নটি হাইড্রা প্রাণীর বহিঃত্বক (outer layer) সংক্রান্ত। হাইড্রার বহিঃত্বকে যে প্রধান কোষগুলো থাকে সেগুলোর মধ্যে পেশি-আবরণী কোষ (epithelio-muscular cells) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি হাইড্রার পেশী গঠনের সাথে সম্পর্কিত এবং পুরো বহিঃত্বকে বিস্তৃত থাকে।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. সংবেদী কোষ (Sensory cells):
   সংবেদী কোষ হাইড্রার সংবেদনশীল কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এটি হাইড্রার পুরো বহিঃত্বকে অবস্থান করে না।
2. নিডোব্লাস্ট কোষ (Nidoblast cells):
   নিডোব্লাস্ট কোষ হাইড্রার দেহে নিডোসাইট নামক কোষ তৈরি করে যা শিকার ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এটি হাইড্রার পুরো বহিঃত্বকে জুড়ে থাকে না।
3. স্নায়ু কোষ (Nerve cells):
   স্নায়ু কোষ হাইড্রার স্নায়বিক কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত। এটি কিছু নির্দিষ্ট স্থানে থাকে, কিন্তু পুরো বহিঃত্বকে নয়।
4. পেশি-আবরণী কোষ (Epithelio-muscular cells):
   এটি হাইড্রার বহিঃত্বকের প্রধান কোষ, যা পুরো বহিঃত্বকে বিস্তৃত থাকে এবং হাইড্রার গতি ও পেশী কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নোট:

সঠিক উত্তর হলো পেশি-আবরণী কোষ, কারণ এটি হাইড্রার পুরো বহিঃত্বকে অবস্থান করে এবং তার গঠন ও পেশী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্ন: রুই মাছের হৃদপিণ্ডকে কী নামে অভিহিত করা হয়?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এ প্রশ্নে রুই মাছের হৃদপিণ্ডের ধরন জানতে চাওয়া হয়েছে। সাধারণত মাছের হৃদপিণ্ড শিরা এবং ধমনি দ্বারা গঠিত হয়। রুই মাছের মতো মাছের হৃদপিণ্ডের শিরা ও ধমনি সংক্রান্ত কিছু নির্দিষ্ট নাম রয়েছে যা তাদের সঞ্চালন ব্যবস্থার ধরনকে চিহ্নিত করে।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. দ্বিচক্র হৃদপিন্ড: এটি ভুল অপশন, কারণ দ্বিচক্র হৃৎপিণ্ড সাধারণত মাছের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
2. শিরা হৃৎপিণ্ড: এটি সঠিক উত্তর, কারণ মাছের হৃদপিণ্ড সাধারণত এক চক্রের শিরা হৃৎপিণ্ড দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে রক্ত শিরার মাধ্যমে হৃদপিণ্ডে প্রবাহিত হয়।
3. বহুচক্র হৃদপিন্ড: এটি ভুল অপশন, কারণ রুই মাছের হৃদপিণ্ড বহুচক্র নয়।
4. ধমনি হৃৎপিণ্ড: এটি সঠিক নয়, কারণ ধমনি হৃৎপিণ্ডের চেয়ে শিরা হৃৎপিণ্ড মাছের জন্য সঠিক বিবরণ।

নোট:

রুই মাছের হৃদপিণ্ডকে শিরা হৃৎপিণ্ড হিসেবে অভিহিত করা হয়। এটি মাছের রক্ত সঞ্চালনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত নাম।

প্রশ্ন: কিসের উপস্থিতির কারণে রুই মাছের লার্ভার রং কালো হয়?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নটি রুই মাছের লার্ভার গঠন এবং তাদের রং পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। রুই মাছের লার্ভার রং কালো হয় বিশেষ ধরনের কোষের উপস্থিতির কারণে, যেগুলো রং উৎপন্ন করার জন্য দায়ী।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. ক্রোমোফিন (Chromaffin):
   এটি সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রের এক প্রকার কোষ যা অ্যাড্রেনালিন এবং অন্যান্য হরমোন উৎপন্ন করে, কিন্তু রং পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
2. ক্রোমোপিগমেন্ট (Chromopigment):
   ক্রোমোপিগমেন্ট শব্দটি রং উৎপন্ন করে এমন উপাদান বোঝায়, কিন্তু এটি সঠিক বৈজ্ঞানিক পরিভাষা নয়।
3. ক্রোমাটোফোর (Chromatophore):
   ক্রোমাটোফোর হলো বিশেষ ধরনের কোষ, যা রং উৎপন্ন করে এবং প্রাণীর রং পরিবর্তনে সহায়ক হয়। এটি সঠিক উত্তর।
4. ক্রোমোনেমা (Chromonema):
   ক্রোমোনেমা হলো ক্রোমোসোমের সাথে সম্পর্কিত একটি অংশ, যা রং পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত নয়।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ক্রোমাটোফোর, কারণ ক্রোমাটোফোর কোষ রুই মাছের লার্ভার রং কালো করতে সহায়ক।

প্রশ্ন: নিচের কোন কোষটি হাইড্রার এপিথার্মিসের অংশ নয়?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এপিথার্মিস হলো হাইড্রার বহিঃস্তর, যা বিভিন্ন ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত। এপিথার্মিসের কোষগুলো মূলত সুরক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। প্রশ্নটি জানতে চাচ্ছে কোন কোষটি এপিথার্মিসের অংশ নয়।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ (Interstitial cells):
   ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ হাইড্রার এপিথার্মিসে থাকে এবং এটি নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই এটি এপিথার্মিসের অংশ।
2. ক্ষণপদীয় কোষ (Ephemeral cells):
   এটি একটি প্রাসঙ্গিক বৈজ্ঞানিক পরিভাষা নয় এবং হাইড্রার এপিথার্মিসের কোনো পরিচিত কোষ নয়। এটি সঠিক উত্তর।
3. সংবেদী কোষ (Sensory cells):
   সংবেদী কোষ এপিথার্মিসে থাকে এবং এটি সংবেদনশীলতার কাজ করে। সুতরাং, এটি এপিথার্মিসের অংশ।
4. স্নায়ু কোষ (Nerve cells):
   স্নায়ু কোষ হাইড্রার এপিথার্মিসে অবস্থান করে এবং এটি স্নায়বিক সংকেত প্রেরণ করে। সুতরাং, এটি এপিথার্মিসের অংশ।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ক্ষণপদীয় কোষ, কারণ এটি হাইড্রার এপিথার্মিসের কোনো অংশ নয়।

প্রশ্ন: মৎস্যধ্বনি বলা হয়?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নটি বাংলাদেশের নদীসমূহের মধ্যে মৎস্য প্রজননের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম জানতে চায়। বাংলাদেশে কিছু নদী মৎস্য প্রজননের জন্য বিখ্যাত, এবং তাদের একটি মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. পদ্মা: পদ্মা নদী বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী হলেও মৎস্য প্রজননের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে পরিচিত নয়।
2. হালদা: হালদা নদী বাংলাদেশের একমাত্র স্বাভাবিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটে। এটি সঠিক উত্তর।
3. পশুর: পশুর নদী একটি প্রধান নদী হলেও এটি মৎস্য প্রজননের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত নয়।
4. রূপসা: রূপসা নদীও মৎস্য প্রজননের জন্য বিখ্যাত নয়।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো হালদা নদী, যাকে মৎস্যধ্বনি বলা হয় কারণ এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যেখানে কার্প জাতীয় মাছ প্রাকৃতিকভাবে ডিম পাড়ে।

প্রশ্ন: কোন পদ্ধতিতে হাইড্রা লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করে?

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

এই প্রশ্নটি হাইড্রার গতিশীলতা এবং কীভাবে এটি স্থানান্তর করে তা নিয়ে। হাইড্রা সাধারণত লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করতে কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে, যেমন হামাগুড়ি (looping), যা তার মূল চলাফেরার একটি পদ্ধতি।

অপশন বিশ্লেষণ:

1. ডিগবাজি (Summersaulting):
   এটি হাইড্রার চলাফেরার একটি পদ্ধতি, তবে এটি লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য সাধারণত ব্যবহৃত হয় না।
2. হামাগুড়ি (Looping):
   হামাগুড়ি হাইড্রার মূল চলাফেরার একটি প্রক্রিয়া, যা লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সঠিক উত্তর।
3. সাঁতার (Swimming):
   হাইড্রা সাধারণত সাঁতার কাটে না, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
4. গ্লাইডিং (Gliding):
   হাইড্রা গ্লাইডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে না, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।

নোট:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো হামাগুড়ি (Looping), কারণ হাইড্রা লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে।