Report a question
1 / 25
1.
প্যাপিলোমা ভাইরাসের কারণে কোন রোগটি হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “প্যাপিলোমা ভাইরাসের কারণে কোন রোগটি হয়?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাসবিজ্ঞান ও রোগতত্ত্ব সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) বিভিন্ন প্রকারের হয় এবং এটি শরীরে সংক্রমণ ঘটিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের HPV-এর প্রভাব এবং এর কারণে সৃষ্ট রোগ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
“কোলন ক্যান্সার”:
ভুল অপশন:
কোলন ক্যান্সার সাধারণত প্যাপিলোমা ভাইরাসের (HPV) কারণে হয় না। এটি মূলত খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা এবং বংশগত কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও কিছু ক্ষেত্রে HPV সংক্রমণ অন্যান্য ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, তবে কোলন ক্যান্সার সpecifically HPV-এর কারণে ঘটে না।
“ভূকের ক্যান্সার”:
ভুল অপশন:
প্যাপিলোমা ভাইরাস সাধারণত ভূকের ক্যান্সার সৃষ্টি করে না। এটি প্রধানত যকৃৎ এবং পাকস্থলির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, তবে HPV-এর সরাসরি সম্পর্ক নেই। HPV মূলত ত্বক এবং মিউকাস মেমব্রেনের সংক্রমণ ঘটায়, যা জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যেতে পারে, তবে ভূকের ক্যান্সার এর মধ্যে পড়ে না।
“জরায়ুর ক্যান্সার”:
সঠিক অপশন:
জরায়ুর ক্যান্সার (Cervical Cancer) প্রায়শই প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV)-এর সংক্রমণের ফলে হয়। HPV জরায়ুর কোষে সংক্রমণ ঘটায় এবং দীর্ঘ সময়ের মধ্যে এই সংক্রমণ জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে। এটি জরায়ুর ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
“খাদ্যনালি ক্যান্সার”:
ভুল অপশন:
খাদ্যনালির ক্যান্সার সাধারণত HPV-এর কারণে হয় না। এটি প্রধানত ধূমপান, মদ্যপান, এবং অন্যান্য জিনগত কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও কিছু ক্ষেত্রে খাদ্যনালির ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধিতে অন্যান্য ভাইরাসের ভূমিকা থাকতে পারে, HPV প্রধানত জরায়ুর ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্যাপিলোমা ভাইরাসের (HPV) প্রভাব এবং এর কারণে সৃষ্ট রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া হচ্ছে। HPV সাধারণত জরায়ুর ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে পরিচিত। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা HPV-এর গুরুত্ব এবং এর কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকির সঙ্গে পরিচিত হবে। সঠিক উত্তর হলো “জরায়ুর ক্যান্সার,” যা প্যাপিলোমা ভাইরাসের (HPV) সংক্রমণের একটি প্রধান ফলাফল।
2 / 25
2.
মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়ার জীবাণুর প্রথম দশাটির নাম কী?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়ার জীবাণুর প্রথম দশার নাম কী?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া জীবাণুর জীবনচক্র এবং মানবদেহে তার সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ম্যালেরিয়ার প্রোটোজোয়ান পরজীবী প্লাজমোডিয়াম মানুষের দেহে বেশ কিছু ধাপের মধ্য দিয়ে যায়, এবং প্রতিটি ধাপেই এটি ভিন্ন ভিন্ন আকার ধারণ করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ক্রিপ্টোজয়েট:
ভুল অপশন:
ক্রিপ্টোজয়েট হলো প্লাজমোডিয়ামের একটি মধ্যবর্তী দশা, কিন্তু এটি ম্যালেরিয়া সংক্রমণের প্রথম ধাপ নয়।
মেরোজয়েট:
ভুল অপশন:
মেরোজয়েট হলো প্লাজমোডিয়ামের আরেকটি দশা, যা লিভার থেকে রক্তে মুক্তি পাওয়ার পরে থাকে। এটি সংক্রমণের প্রাথমিক ধাপ নয়।
স্পোরোজয়েট:
সঠিক অপশন:
স্পোরোজয়েট হলো প্লাজমোডিয়ামের সেই দশা, যা মশার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে এবং সংক্রমণের প্রক্রিয়া শুরু করে। এটি ম্যালেরিয়া সংক্রমণের প্রথম ধাপ।
ট্রোপোজয়েট:
ভুল অপশন:
ট্রোপোজয়েট হলো প্লাজমোডিয়ামের রক্তে উপস্থিত দশা, যা পরবর্তীতে থাকে এবং রেড ব্লাড সেলস এ আক্রান্ত হয়। এটি প্রথম ধাপ নয়।
নোট:
ম্যালেরিয়া সংক্রমণের প্রথম ধাপ বোঝা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্লাজমোডিয়ামের জীবনচক্র এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়ার মূল বিষয়গুলি স্পষ্ট করে। স্পোরোজয়েট মানবদেহে সংক্রমণ শুরু করে, যা ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা পেতে সহায়ক।
3 / 25
3.
নিচের কোনটি DNA ভাইরাস?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোনটি DNA ভাইরাস?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনগত উপাদান সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে কোন ভাইরাসটি DNA দ্বারা গঠিত এবং কোনগুলো RNA দ্বারা গঠিত। ভাইরাসের জিনোমিক গঠন তাদের শ্রেণীবিন্যাস এবং কার্যক্রমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
হেপাটাইটিস বি:
সঠিক উত্তর: হেপাটাইটিস বি একটি DNA ভাইরাস। এটি হেপাডনাভাইরাস (Hepadnaviridae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং এর জিনোম দ্বি-স্ট্র্যান্ডেড DNA দ্বারা গঠিত।
চিকুনগুনিয়া:
ভুল অপশন: চিকুনগুনিয়া একটি RNA ভাইরাস, যা টোগাভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত। এর জিনোম একক-স্ট্র্যান্ডেড RNA দ্বারা গঠিত।
টোবাকো মোজাইক:
ভুল অপশন: টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV) একটি RNA ভাইরাস, যা উদ্ভিদ সংক্রমিত করে। এর জিনোম একক-স্ট্র্যান্ডেড RNA দ্বারা গঠিত।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাসও একটি RNA ভাইরাস, যা ফ্ল্যাভিভিরিডি (Flaviviridae) পরিবারের অন্তর্গত এবং এর জিনোমও একক-স্ট্র্যান্ডেড RNA দ্বারা গঠিত।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা DNA এবং RNA ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হেপাটাইটিস বি , যা একটি DNA ভাইরাস। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনোমিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে সহায়ক হবে।
4 / 25
4.
কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া-“
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার আকার এবং গঠন সম্পর্কে ধারণা যাচাই করা হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন আকৃতি থাকতে পারে, এবং এই ক্ষেত্রে, কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Pseudomonas:
ভুল অপশন: Pseudomonas হলো রড-আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (rod-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়। তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
Vibrio:
সঠিক অপশন: Vibrio হলো কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (comma-shaped bacteria)। Vibrio cholerae হল এক ধরনের Vibrio ব্যাকটেরিয়া, যা কলেরা রোগ সৃষ্টি করে। এটি সঠিক উত্তর।
Spirillium:
ভুল অপশন: Spirillium হলো সর্পিল আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (spiral-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
Sarcina:
ভুল অপশন: Sarcina হলো কক্কি আকৃতির ব্যাকটেরিয়া (cocci-shaped bacteria)। এটি কমা আকৃতির নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি এবং তাদের পার্থক্য নিয়ে জ্ঞান যাচাই করা হচ্ছে। কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া Vibrio নামে পরিচিত এবং এটি রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে Vibrio cholerae যা কলেরা রোগ সৃষ্টি করে। সঠিক উত্তর হলো “Vibrio,” কারণ এটি কমা আকৃতির ব্যাকটেরিয়া।
5 / 25
5.
ফ্লাজেলা ছাড়া ব্যাক্টেরিয়াকে কী বলা হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ফ্ল্যাজেলা ছাড়া ব্যাকটেরিয়াকে কী বলা হয়?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়ার গঠন এবং ফ্ল্যাজেলার প্রকারভেদ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। ফ্ল্যাজেলা হলো একটি লম্বা, চাবুকের মতো অঙ্গ যা ব্যাকটেরিয়াকে চলাচলে সহায়তা করে। কিছু ব্যাকটেরিয়ায় ফ্ল্যাজেলা থাকে না, এবং তাদেরকে একটি বিশেষ নামে অভিহিত করা হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Atrichous:
সঠিক অপশন: “Atrichous” হলো সেই ব্যাকটেরিয়াকে বোঝায় যার কোনো ফ্ল্যাজেলা নেই। এটি ব্যাকটেরিয়ার চলাচল করার ক্ষমতা নেই, তাই এটি ফ্ল্যাজেলা দ্বারা সৃষ্ট গতিশীলতার অভাব রয়েছে।
Monotrichous:
ভুল অপশন: Monotrichous সেই ব্যাকটেরিয়াকে বোঝায় যার একমাত্র একটি ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি সাধারণত এক প্রান্তে অবস্থান করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে চলাচল করতে সহায়তা করে।
Petririchous:
ভুল অপশন: Petririchous হলো সেই ব্যাকটেরিয়া, যার শরীরের চারদিকে অনেকগুলো ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে গতিশীলতা প্রদান করে।
Lophotrichous:
ভুল অপশন: Lophotrichous হলো সেই ব্যাকটেরিয়া, যার একটি প্রান্তে একগুচ্ছ ফ্ল্যাজেলা থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে একদিকে বা একটি নির্দিষ্ট দিকে চলাচল করতে সাহায্য করে।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার চলাচল এবং ফ্ল্যাজেলার বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করা হয়। “Atrichous” হলো সেই ব্যাকটেরিয়া যার কোনো ফ্ল্যাজেলা নেই এবং সঠিক উত্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
6 / 25
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “এইডস কী কারণে হয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের এইডস (AIDS) রোগের কারণ সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এইডস হলো একটি ক্রনিক সংক্রমণ, যা ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে এবং মানুষের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের প্রতি সংবেদনশীল করে তোলে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভাইরাস:
সঠিক উত্তর: এইডস রোগের কারণ হলো HIV (Human Immunodeficiency Virus) নামক একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের প্রধান কোষগুলিকে আক্রমণ করে এবং ধীরে ধীরে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে ফেলে, যার ফলে শরীর বিভিন্ন সংক্রমণের প্রতি অসহায় হয়ে পড়ে।
বংশগত:
ভুল অপশন: এইডস কোনো বংশগত রোগ নয়। এটি একটি সংক্রামক রোগ, যা সংক্রামিত রক্ত, যৌন সঙ্গম, বা অন্যান্য মাধ্যমের মাধ্যমে ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়া:
ভুল অপশন: ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন সংক্রমণের কারণ হতে পারে, তবে এইডস রোগের কারণ নয়। এইডস একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
প্যারাসাইট:
ভুল অপশন: প্যারাসাইট হলো এক ধরনের অণুজীব, যা হোস্টের শরীরে বাস করে এবং সেখান থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে। তবে প্যারাসাইট দ্বারা এইডস হয় না।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের HIV ভাইরাস এবং এইডস রোগের মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করে। সঠিক উত্তর ভাইরাস , কারণ HIV ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এইডস রোগ হয়। এটি শিক্ষার্থীদের এইডস সম্পর্কে আরও সচেতন করতে সাহায্য করবে এবং এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে ধারণা দেবে।
7 / 25
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি RNA ভাইরাস নয়?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের জিনোমিক গঠন সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিশেষত, এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের RNA ভাইরাস এবং DNA ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
HIV:
ভুল অপশন: HIV (Human Immunodeficiency Virus) হলো একটি RNA ভাইরাস। এটি রেট্রোভাইরাস পরিবারের সদস্য এবং এর জিনোম একক-সু্ত্রক RNA দ্বারা গঠিত।
TMV (Tobacco Mosaic Virus):
ভুল অপশন: TMV (Tobacco Mosaic Virus) হলো একটি RNA ভাইরাস, যা উদ্ভিদ সংক্রমিত করে। এর জিনোম একক-সু্ত্রক RNA দ্বারা গঠিত।
রেবিস:
ভুল অপশন: রেবিস ভাইরাস হলো একটি RNA ভাইরাস। এটি লিসাভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং এর জিনোমও একক-সু্ত্রক RNA দ্বারা গঠিত।
TIV (Trivalent Influenza Vaccine):
সঠিক উত্তর: TIV হলো একটি ভ্যাকসিন, যা তিনটি ভিন্ন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর। এটি কোনো RNA ভাইরাস নয়; এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের RNA এবং DNA ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক। সঠিক উত্তর TIV , যা একটি ভ্যাকসিন এবং RNA ভাইরাস নয়। অন্য তিনটি অপশন হলো RNA ভাইরাস, যা তাদের জিনোমিক গঠনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে
আকৃতি অনুযায়ী ভাইরাস সাধারণত ৬ প্রকার। যথাঃ i. DNA ভাইরাস- T₂ ভাইরাস, ভ্যাকসিনিয়া, ভ্যারিওলা, TIV এডিনোহার্পিস সিমপ্লেক্স ইত্যাদি ii. RNA ভাইরাস- TMV, HIV, ডেঙ্গু, পোলিও, মাম্পস, পটেটো ভাইরাস, শ্যগারকেন মোজাইক, রেবিস, আলফা- আলফা মোজাইক, পীতজ্বর, মিজলস, ইনফ্লুয়েঞ্জা- B, এনসেফালারটিস। →বহিঃস্থ আবরণ অনুযায়ী ভাইরাস ২ প্রকার। যথাঃ i. বহিঃস্থ আবরণহীন ভাইরাস- TMV, T₂ ভাইরাস ii. বহিঃস্থ আবরণী ভাইরাস- ইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস, HIV ভাইরাস → পোষকদেহ অনুযায়ী ভাইরাস ৪ প্রকার। যথাঃ i. উদ্ভিদ ভাইরাস- TMV, সিম (Bean) ভাইরাস ii. প্রাণী ভাইরাস- HIV, ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস iii. ব্যাকটেরিওফায- T2, T4,T6 ব্যাকটেরিওফায iv. সায়ানোফায- LP.P1, LPP2 অধিকাংশ ভাইরাস RNA হচ্ছে এক সূত্রক (ব্যতিক্রম- ধানের বামন রোগ ও রিও ভাইরাসের RNA) → অধিকাংশ ভাইরাসের DNA দ্বিসূত্রক (ব্যতিক্রম $X174 ও M13 কলিফায ভাইরাসের DNA). → ইমার্জিং ভাইরাসের উদাহরণ- HIV, SARS, Nile Virus, Ebola.
8 / 25
8.
ডেঙ্গু রোগ নিচের কোনটির জন্য হয় ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু রোগ নিচের কোনটির জন্য হয়?”
এই প্রশ্নটি ডেঙ্গু রোগের কারণ এবং এর বাহক সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগ এবং এর সংশ্লিষ্ট কারণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
তেলাপোকা:
ভুল অপশন: তেলাপোকা কোনো ভাইরাস বা রোগের বাহক নয় এবং ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী নয়। এটি রোগ সংক্রমণে ভূমিকা রাখে না, তাই এই অপশনটি ভুল।
মশা:
সঠিক অপশন: মশা, বিশেষ করে এডিস মশা, ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এবং এই ভাইরাসটি মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। তাই এই অপশনটি সঠিক।
মাছি:
ভুল অপশন: মাছি ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক নয় এবং ডেঙ্গু রোগের সাথে সম্পর্কিত নয়। মাছি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য প্যাথোজেন ছড়াতে পারে, কিন্তু ডেঙ্গু রোগের জন্য এটি দায়ী নয়।
মৌমাছি:
ভুল অপশন: মৌমাছি ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক নয় এবং ডেঙ্গু রোগের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। মৌমাছির সাথে ডেঙ্গু রোগের কোনো সংযোগ নেই, তাই এই অপশনটি ভুল।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগের কারণ এবং এর বাহক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে সাহায্য করবে। ডেঙ্গু একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা এবং এর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই রোগের প্রতিরোধে সচেতন হতে পারে।
9 / 25
9.
নিউক্লিক এসিড এবং ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত সংক্রমণক্ষম ভাইরাস কণাকে কী বলে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিউক্লিক এসিড এবং ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণাকে কী বলে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং তার সংক্রামক ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাস মূলত নিউক্লিক এসিড (DNA বা RNA) এবং প্রোটিন ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত একটি কণা, যা সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা রাখে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভিরিয়ন:
সঠিক উত্তর: ভিরিয়ন হলো একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণা, যা নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিন ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত। এটি ভাইরাসের সক্রিয় রূপ, যা সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।
ভিরয়েড:
ভুল অপশন: ভিরয়েড হলো ছোট এবং সংক্রামক RNA কণা, যা সাধারণত উদ্ভিদকে সংক্রমিত করে। এটি ভাইরাসের মতো প্রোটিন ক্যাপসিড দ্বারা আবৃত নয় এবং এটি পূর্ণাঙ্গ ভাইরাস নয়।
প্রিয়ন:
ভুল অপশন: প্রিয়ন হলো সংক্রমক প্রোটিন কণা, যা সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি কোনো নিউক্লিক এসিড ধারণ করে না এবং এটি ভাইরাস নয়।
নিউক্লিওক্যাপসিড:
ভুল অপশন: নিউক্লিওক্যাপসিড হলো ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিন ক্যাপসিডের যৌথ গঠন, তবে এটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভিরিয়ন নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং সংক্রামক ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর ভিরিয়ন , যা একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সংক্রামকক্ষম ভাইরাস কণা। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের কার্যক্রম এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সহায়তা করবে।
10 / 25
10.
কোন অণুজীবটি সাধারণত অ্যান্টিবায়ােটিক প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয় না?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন অণুজীবটি সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুতিতে ব্যবহারিত হয় না?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন এবং এতে ব্যবহৃত অণুজীব সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন অণুজীব, যেমন ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক, থেকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুত করা হয়। তবে সব অণুজীব অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহার করা হয় না।
অপশন বিশ্লেষণ:
Bacillus:
ভুল অপশন: Bacillus হলো একটি ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি, যা থেকে ব্যাসিট্রাসিন (Bacitracin) নামক অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
Streptomyces:
ভুল অপশন: Streptomyces হলো একটি ছত্রাক, যা থেকে স্ট্রেপ্টোমাইসিন (Streptomycin) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
Penicillium:
ভুল অপশন: Penicillium হলো একটি ছত্রাক, যা থেকে পেনিসিলিন (Penicillin) নামক বিখ্যাত অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
E.coli:
সঠিক উত্তর: E.coli (Escherichia coli) একটি ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি, যা সাধারণত মানুষের অন্ত্রে পাওয়া যায়। এটি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে সাধারণত ব্যবহার করা হয় না। বরং এটি গবেষণা এবং জিন প্রকৌশল ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের প্রক্রিয়া এবং এতে ব্যবহৃত অণুজীব সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করবে। সঠিক উত্তর E.coli , যা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় না। এটি শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিবায়োটিকের উৎপত্তি এবং এর প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত অণুজীব সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে সহায়ক হবে।
11 / 25
11.
কোনটি ব্যাকটিরয়া জনিত রোগ নয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়?”
এই প্রশ্নটি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া জনিত এবং অ-ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের পার্থক্য যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। অনেক রোগ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়, তবে কিছু রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া নয়, বরং অন্যান্য জীবাণু।
অপশন বিশ্লেষণ:
জলাতঙ্ক:
সঠিক অপশন: জলাতঙ্ক হলো একটি ভাইরাস জনিত রোগ, যা সাধারণত প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি কোনো ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়, তাই এটি সঠিক উত্তর।
টাইফয়েড:
ভুল অপশন: টাইফয়েড হলো একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ, যা Salmonella typhi নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ।
নিউমোনিয়া:
ভুল অপশন: নিউমোনিয়া হলো একটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ফাঙ্গাস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। সাধারণত Streptococcus pneumoniae ব্যাকটেরিয়া নিউমোনিয়ার কারণ হয়, তাই এটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ হতে পারে।
যক্ষ্মা:
ভুল অপশন: যক্ষ্মা (টিবি) হলো Mycobacterium tuberculosis ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগের পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করা হয়। জলাতঙ্ক একটি ভাইরাস জনিত রোগ, তাই এটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়। অন্যদিকে, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, এবং যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ।
12 / 25
12.
ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তরকে কি বলে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তরকে কি বলে?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত মাইক্রোবায়োলজির মৌলিক ধারণা সম্পর্কে। ব্যাকটেরিয়া কোষের বাইরের অংশটি কী নামে পরিচিত, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এটি ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরক্ষা ও পরিবেশের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার গঠন ও ফাংশন সম্পর্কে ধারণা যাচাই করা হয়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Typical layer:
ভুল অপশন: এটি কোনো বৈজ্ঞানিক নাম নয় যা ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তরকে বর্ণনা করে। “Typical” শব্দটি সাধারণ বা প্রাথমিক কিছু নির্দেশ করে, তবে ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তরকে এই নামে ডাকা হয় না।
Particular layer:
ভুল অপশন: “Particular” শব্দটি নির্দিষ্ট বা বিশেষ কিছু বোঝায়, তবে এটি ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তরের সঠিক নাম নয়। এটি প্রশ্নটির সাথে সম্পর্কিত হলেও সঠিক উত্তর নয়।
Slyme layer:
সঠিক অপশন: ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তরকে সাধারণত “Slyme layer” বা “Slime layer” বলা হয়। এটি ব্যাকটেরিয়ার বাইরের পলিস্যাকারাইডের স্তর, যা ব্যাকটেরিয়াকে শুষ্ক পরিবেশে বেঁচে থাকতে এবং প্রতিকূল অবস্থায় রক্ষা করতে সাহায্য করে।
Thin layer:
ভুল অপশন: যদিও ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তরটি পাতলা হতে পারে, এটি কোনো নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক নাম নয় যা এই স্তরকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে। এটি সাধারণত কোষের আকার বা গঠনের সাথে সম্পর্কিত একটি শব্দ।
নোট:
ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তর বা স্লাইম লেয়ার তাদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা এবং পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষকে শুষ্ক পরিবেশ, আক্রমণকারী প্রোটিন, এবং অন্যান্য প্রতিকূল পরিবেশগত অবস্থার বিরুদ্ধে রক্ষা করে। সঠিক উত্তর হলো “Slyme layer,” যা ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তর হিসেবে পরিচিত।
ব্যাকটেরিয়ার বাইরের স্তরকে স্লাইমার স্থর বলে।
13 / 25
13.
কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ এবং অন্যান্য প্যাথোজেন দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়া অনেক রোগের কারণ হতে পারে, এবং সঠিক রোগ চিহ্নিত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্যাথোজেন সম্পর্কিত জ্ঞান বাড়াতে পারবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া একটি প্রোটোজোয়া পরজীবি (প্লাজমোডিয়াম) দ্বারা সৃষ্ট রোগ, যা মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ নয়।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট নয়।
কলেরা:
সঠিক উত্তর: কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ, যা Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি পানির মাধ্যমে এবং খারাপ স্যানিটেশনের কারণে ছড়ায়।
হেপাটাইটিস:
ভুল অপশন: হেপাটাইটিস একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা প্রধানত লিভারকে প্রভাবিত করে। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য প্যাথোজেন দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সহায়ক। সঠিক উত্তর হলো কলেরা , যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সাধারণ রোগ।
14 / 25
14.
ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাস শ্রেণীবিন্যাসের মৌলিক ধারণা এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের সঠিক নাম এবং তার পরিবারের সাথে সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগ, যা সাধারণত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়, তার মূল কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস। এই ভাইরাসটি একটি RNA ভাইরাস এবং Flaviviridae ভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা Flaviviridae পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Flaviviridae:
সঠিক উত্তর: ডেঙ্গু ভাইরাস Flaviviridae পরিবারের অন্তর্গত। এটি একটি একক-সু্ত্রক RNA ভাইরাস, যা মানুষের শরীরে এডিস মশার মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা এবং র্যাশের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। Flaviviridae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য ভাইরাসগুলির মধ্যে জিকা, হলুদ জ্বর, এবং পশ্চিম নাইল ভাইরাস উল্লেখযোগ্য।
Claviviridae:
ভুল অপশন: Claviviridae নামে কোনো ভাইরাস পরিবারের অস্তিত্ব নেই। এটি একটি ভুল উত্তর, কারণ এটির সাথে ডেঙ্গু ভাইরাসের কোনো সম্পর্ক নেই।
Revolaviridae:
ভুল অপশন: Revolaviridae নামেও কোনো ভাইরাস পরিবার নেই। এটি একটি কাল্পনিক নাম এবং ভাইরাস শ্রেণীবিন্যাসে এ ধরনের কোনো পরিবারের উল্লেখ নেই।
Cyclolaviviridae:
ভুল অপশন: Cyclolaviviridae নামে কোনো ভাইরাস পরিবারের অস্তিত্ব নেই। এটি একটি ভুল উত্তর, যা ডেঙ্গু ভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি ভাইরাস শ্রেণীবিন্যাস এবং নির্দিষ্ট রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গু ভাইরাস Flaviviridae পরিবারের অন্তর্গত, এবং এই পরিবারের ভাইরাসগুলো সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং মানুষের জন্য মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক উত্তর Flaviviridae ।
Dengue virus is the cause of dengue fever. It is a mosquito-borne, single positive-stranded RNA virus of the family Flaviviridae; genus Flavivirus. Four serotypes of the virus have been found, a reported fifth has yet to be confirmed, all of which can cause the full spectrum of disease. Wikipedia
15 / 25
15.
নিচের কোন ভাইরাস ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন ভাইরাস ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে?”
এই প্রশ্নটি বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট নিউমোনিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের মূল্যায়ন করার জন্য। নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের একটি প্রদাহজনিত রোগ, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের কারণে হতে পারে। ভাইরাল নিউমোনিয়া হলো ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Nipah Virus:
ভুল অপশন: নিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে যা এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এটি সাধারণত ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
Polio Virus:
ভুল অপশন: পোলিও ভাইরাস সাধারণত নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না। এটি পোলিওমাইলাইটিস নামক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হয়।
Adeno Virus:
সঠিক অপশন: এডেনো ভাইরাসের সংক্রমণ ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত সংক্রমণের মাধ্যমে নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে।
Rhino Virus:
ভুল অপশন: রাইনো ভাইরাস সাধারণত ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য পরিচিত, তবে এটি নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
নোট:
ভাইরাল নিউমোনিয়া সাধারণত এডেনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, এবং আরএসভি (রেসপিরেটরি সিন্সাইটিয়াল ভাইরাস) এর মাধ্যমে হতে পারে। তাই এডেনো ভাইরাস সঠিক উত্তর।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন ভাইরাস ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে?”
এই প্রশ্নটি বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট নিউমোনিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের মূল্যায়ন করার জন্য। নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের একটি প্রদাহজনিত রোগ, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের কারণে হতে পারে। ভাইরাল নিউমোনিয়া হলো ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Nipah Virus:
ভুল অপশন: নিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে যা এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এটি সাধারণত ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
Polio Virus:
ভুল অপশন: পোলিও ভাইরাস সাধারণত নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না। এটি পোলিওমাইলাইটিস নামক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হয়।
Adeno Virus:
সঠিক অপশন: এডেনো ভাইরাসের সংক্রমণ ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত সংক্রমণের মাধ্যমে নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে।
Rhino Virus:
ভুল অপশন: রাইনো ভাইরাস সাধারণত ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য পরিচিত, তবে এটি নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
নোট:
ভাইরাল নিউমোনিয়া সাধারণত এডেনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, এবং আরএসভি (রেসপিরেটরি সিন্সাইটিয়াল ভাইরাস) এর মাধ্যমে হতে পারে। তাই এডেনো ভাইরাস সঠিক উত্তর।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন ভাইরাস ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে?”
এই প্রশ্নটি বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট নিউমোনিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের মূল্যায়ন করার জন্য। নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের একটি প্রদাহজনিত রোগ, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের কারণে হতে পারে। ভাইরাল নিউমোনিয়া হলো ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Nipah Virus:
ভুল অপশন: নিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে যা এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এটি সাধারণত ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
Polio Virus:
ভুল অপশন: পোলিও ভাইরাস সাধারণত নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না। এটি পোলিওমাইলাইটিস নামক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হয়।
Adeno Virus:
সঠিক অপশন: এডেনো ভাইরাসের সংক্রমণ ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত সংক্রমণের মাধ্যমে নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে।
Rhino Virus:
ভুল অপশন: রাইনো ভাইরাস সাধারণত ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য পরিচিত, তবে এটি নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
নোট:
ভাইরাল নিউমোনিয়া সাধারণত এডেনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, এবং আরএসভি (রেসপিরেটরি সিন্সাইটিয়াল ভাইরাস) এর মাধ্যমে হতে পারে। তাই এডেনো ভাইরাস সঠিক উত্তর।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন ভাইরাস ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে?”
এই প্রশ্নটি বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট নিউমোনিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের মূল্যায়ন করার জন্য। নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের একটি প্রদাহজনিত রোগ, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের কারণে হতে পারে। ভাইরাল নিউমোনিয়া হলো ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Nipah Virus:
ভুল অপশন: নিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে যা এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এটি সাধারণত ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
Polio Virus:
ভুল অপশন: পোলিও ভাইরাস সাধারণত নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না। এটি পোলিওমাইলাইটিস নামক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হয়।
Adeno Virus:
সঠিক অপশন: এডেনো ভাইরাসের সংক্রমণ ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত সংক্রমণের মাধ্যমে নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে।
Rhino Virus:
ভুল অপশন: রাইনো ভাইরাস সাধারণত ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য পরিচিত, তবে এটি নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
নোট:
ভাইরাল নিউমোনিয়া সাধারণত এডেনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, এবং আরএসভি (রেসপিরেটরি সিন্সাইটিয়াল ভাইরাস) এর মাধ্যমে হতে পারে। তাই এডেনো ভাইরাস সঠিক উত্তর।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন ভাইরাস ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে?”
এই প্রশ্নটি বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট নিউমোনিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের মূল্যায়ন করার জন্য। নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের একটি প্রদাহজনিত রোগ, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের কারণে হতে পারে। ভাইরাল নিউমোনিয়া হলো ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
Nipah Virus:
ভুল অপশন: নিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে যা এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এটি সাধারণত ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
Polio Virus:
ভুল অপশন: পোলিও ভাইরাস সাধারণত নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না। এটি পোলিওমাইলাইটিস নামক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হয়।
Adeno Virus:
সঠিক অপশন: এডেনো ভাইরাসের সংক্রমণ ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত সংক্রমণের মাধ্যমে নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে।
Rhino Virus:
ভুল অপশন: রাইনো ভাইরাস সাধারণত ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য পরিচিত, তবে এটি নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে না।
নোট:
ভাইরাল নিউমোনিয়া সাধারণত এডেনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, এবং আরএসভি (রেসপিরেটরি সিন্সাইটিয়াল ভাইরাস) এর মাধ্যমে হতে পারে। তাই এডেনো ভাইরাস সঠিক উত্তর।
16 / 25
16.
নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে নিচের কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে নিচের কোনটি?”
এই প্রশ্নটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী জীবাণু সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। নাইট্রোজেন সংবন্ধন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা নির্দিষ্ট জীবাণুদের দ্বারা বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনকে উদ্ভিদের জন্য ব্যবহৃত অ্যামোনিয়া বা অন্যান্য যৌগে রূপান্তর করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Azotobacter:
ভুল অপশন: Azotobacter হলো মাটি-বাস্তব জীবাণু যা নাইট্রোজেন সংবন্ধন করতে সক্ষম। এটি ফ্রি-লিভিং নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী ব্যাকটেরিয়া, তবে এটি এককভাবে নাইট্রোজেন সংবন্ধনের জন্য পরিচিত নয়, তাই এই অপশনটি ভুল।
Pseudomonas:
ভুল অপশন: Pseudomonas হলো একটি প্রকারের ব্যাকটেরিয়া যা বিভিন্ন পরিবেশে বাস করে, তবে এটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনে বিশেষজ্ঞ নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Clostridium:
ভুল অপশন: Clostridium হলো একটি জীবাণু, কিন্তু এটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনে অংশগ্রহণ করে না। এটি অন্যান্য কার্যকলাপের জন্য পরিচিত। তাই, এই অপশনটি ভুল।
সবুজলো:
সঠিক অপশন: সবুজলো হলো একটি অ্যানাবিনোসম্পন্ন ব্যাকটেরিয়া যা নাইট্রোজেন সংবন্ধন করতে পারে। এটি উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাইট্রোজেন যোগান দেয়। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
নোট:
এই প্রশ্নটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জীবাণুরা কীভাবে মাটিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, তা বোঝা যায়।
17 / 25
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “এইডস কি কারণে হয়?”
এই প্রশ্নটি এইডস রোগের কারণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। এইডস (অ্যাকোয়ার্ড ইমিউন ডিফিসিয়েন্সি সিনড্রোম) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেলে এবং তা প্রধানত ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে ঘটে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভাইরাস:
সঠিক অপশন: এইডস রোগের কারণ হলো এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস), যা ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এই ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়।
বংশগত:
ভুল অপশন: এইডস কোনো বংশগত রোগ নয়। এটি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং রক্ত বা অন্যান্য শারীরিক তরল দ্বারা ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়া:
ভুল অপশন: এইডস কোনো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ নয়। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
প্যারাসাইট:
ভুল অপশন: প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট রোগের উদাহরণ হতে পারে ম্যালেরিয়া, তবে এইডস কোনো প্যারাসাইটের কারণে হয় না।
নোট:
এইডস রোগ এইচআইভি ভাইরাসের কারণে হয়। এটি রক্ত, যৌন সংক্রমণ, বা সংক্রামিত ব্যক্তির শরীরের তরল দ্বারা অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। তাই, “ভাইরাস” সঠিক উত্তর।
18 / 25
18.
নিচের কোন রোগটি ভাইরাস দ্বারা হয়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন রোগটি ভাইরাস দ্বারা হয়?”
এই প্রশ্নটি ভাইরাসজনিত রোগ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি। ভাইরাস হলো এক ধরনের সংক্রামক এজেন্ট যা জীবন্ত কোষের ভেতরে প্রবেশ করে এবং সেগুলিকে সংক্রমিত করে বিভিন্ন রোগের কারণ সৃষ্টি করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
পোলিও:
সঠিক অপশন: পোলিও একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা পোলিও ভাইরাসের কারণে হয়। এই রোগটি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করে এবং পঙ্গুত্বের কারণ হতে পারে। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
ডিপথেরিয়া:
ভুল অপশন: ডিপথেরিয়া একটি ব্যাকটেরিয়া-জনিত রোগ যা Corynebacterium diphtheriae নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। তাই, এটি ভুল অপশন।
কলেরা:
ভুল অপশন: কলেরা Vibrio cholerae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়, যা একটি ব্যাকটেরিয়া-জনিত রোগ। তাই, এই অপশনটিও ভুল।
টাইফয়েড:
ভুল অপশন: টাইফয়েড রোগ স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়, যা ভাইরাস নয়। তাই, এটি ভুল অপশন।
নোট:
ভাইরাসজনিত এবং ব্যাকটেরিয়া-জনিত রোগগুলির মধ্যে পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই রোগগুলির চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ পদ্ধতি ভিন্ন। পোলিওর মতো ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর, যা শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে সহায়ক।
19 / 25
19.
বাংলাদেশে ব্যবহৃত প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “বাংলাদেশে ব্যবহৃত প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন কোনটি?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মহামারি এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত প্রথম টিকা সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ প্রথমে যেসব ভ্যাকসিন অনুমোদন ও ব্যবহার করেছে, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
Astrazeneca Oxford:
সঠিক উত্তর: বাংলাদেশের প্রথম ব্যবহৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ছিল AstraZeneca-এর তৈরি “Covishield,” যা ভারতীয় সিরাম ইনস্টিটিউট দ্বারা উৎপাদিত হয়েছিল। এই ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশের জন্য প্রথম অনুমোদিত এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
Mordana:
ভুল অপশন: “Moderna” নামে একটি ভ্যাকসিন আছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়েছে, তবে এটি প্রথমে বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয়নি। এছাড়া ‘Mordana’ নামে কোনো ভ্যাকসিন নেই, তাই এটি ভুল উত্তর।
Fizar:
ভুল অপশন: “Pfizer” একটি জনপ্রিয় কোভিড ভ্যাকসিন, তবে ‘Fizar’ নামে কোনো ভ্যাকসিন নেই। এছাড়া Pfizer-এর ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশে কিছুটা পরেই আসে, তাই এটি ভুল উত্তর।
Cinofarm:
ভুল অপশন: “Sinopharm” একটি চীনা ভ্যাকসিন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশে অনুমোদিত হয়েছিল, তবে এটি প্রথম ব্যবহৃত ভ্যাকসিন ছিল না।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ এবং এর সময়সীমা সম্পর্কে ধারণা পাবে। সঠিক উত্তর হলো AstraZeneca Oxford , যা “Covishield” নামে বাংলাদেশে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে এক ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেয়ার কর্মসূচি।
21 / 25
21. নিচের কোনটি সংক্রামক ব্যাধি?
EXPLANATION:
স্পর্শ, যৌন স্পর্শ, খাদ্য ও পানীয়, বায়ু বাহিত, ভেক্টর বাহিত হয়ে যে সব রোগ ছড়িয়ে পড়ে তাকে সংক্রামক রোগ বলে। উদাহরণ: স্কেবিস, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাম্পস, ‘রুবেলা, বসন্ত, হাম, করোনা ভাইরাস ইত্যাদি।
25 / 25
25. Pseudomonas flurescens কি ধরনের?
EXPLANATION:
ফ্লাজেলা ভিত্তিক ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণীবিভাগ:
শ্রেণীবিভাগ
উদাহরণ
অ্যাট্রিকাস (কোন ফ্লাজেলা নাই)
Corynebacterium diptheriae
মনোট্রিকাস (এক প্রান্তে একটি ফ্লাজেলা থাকে)
Vibrio cholerae
অ্যাম্ফিট্রিকাস (দুই প্রান্তে একটি করে ফ্লাজেলা থাকে)
Spirillum minus
সেফালোট্রিকাস (একগুচ্ছ ফ্লাজেলা থাকে)
Pseudomonas fluorescens
লফোট্রিকাস (দুই গুচ্ছ ফ্লাজেলা থাকে)
Spirillum volutans
পেরিট্রিকাস (সব দিকেই ফ্লাজেলা থাকে)
Salmonella typhi
RESULT
সবার রেজাল্ট একসাথে দেখার জন্য ‘Show’ এর পাশে ‘5’ ক্লিক করার পর ‘All’ এ ক্লিক করেন। ‼ এক্সাম SUBMIT করার পর, রেজাল্টে আপনার মেরিট দেখতে পেজটিকে একবার Reload করুন।
DETAILS
আপনি যদি লগিন করে এক্সাম দেন, তাহলে আপনার দাগানো কোন MCQ সঠিক এবং ভুল ছিল, সব দেখতে পারবেন এখানে।
You must log in to see your results.
📚 Address Academy কর্তৃক সকল এক্সাম ব্যাচের বিস্তারিত
📌 কৃষি গুচ্ছ এক্সাম ব্যাচ (প্রিভিয়াস লিংক)
যারা সেকেন্ড টাইম কৃষি গুচ্ছ প্রিপারেশন নিচ্ছো, তারা চাইলে পূর্ববর্তী সকল এক্সাম দিতে পারবে।
Exam Links 👉
https://addresacademy.com/agri-free/
প্রশ্ন-উত্তর
❓ লিঙ্কে ক্লিক করলে: পূর্ণাঙ্গ রুটিন সহ এক্সাম লিংক গুলো পেয়ে যাবা ⬇
এরপর, ওয়েব সাইটে যাওয়ার পর, নির্দিষ্ট চ্যাপ্টার নামের উপর ক্লিক করলে এক্সাম লিংক পেয়ে যাবা।
রেজাল্ট : এক্সাম দেওয়ার সাথে সাথে দেখতে পারবা, এক্সাম সাবমিট করার পর, ওয়েব পেজটিকে একবার রিলোড করবা অথবা একই এক্সাম লিংকে আবার ক্লিক করবা। তাহলে তোমার রেজাল্ট মেরিট লিস্টে দেখতে পারবা।
❓ প্রশ্ন ১: প্রতিদিন কি আলাদা লিংক দেওয়া হবে?
উত্তর: প্রতিদিন আলাদা লিংক লাগবে না। এই পোস্টের একটি লিংকেই সব সময় কাজ করবে। এমনকি, রুটিন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও, নতুন রুটিন একই লিংকে এড হবে। প্রতিদিন রাত ৯টার পরে নতুন এক্সাম লিংকের জন্য এখানে আসতে পারো।
❓ প্রশ্ন ২: পূর্বে হয়ে যাওয়া সকল এক্সাম কি দিতে পারব?
উত্তর: অবশ্যই। ওয়েবসাইটে প্রিভিয়াস বাটনে ক্লিক করে এক মাস, দুই মাস বা তিন মাস আগের সকল এক্সাম দিতে পারবে।
❓ প্রশ্ন ৩: কোন প্রশ্ন ভুল থাকলে কি করব?
উত্তর: ভুল প্রশ্নের নিচে থাকা কমেন্ট আইকনে ক্লিক করে সঠিক উত্তর জানিয়ে দিতে পারবে। এরপর ওয়েবসাইট থেকে তাড়াতাড়ি এডিট করে দেওয়া হবে।