Report a question
1 / 25
1.
ব্যাকটেরিওফাজ এক ধরনের-
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ব্যাকটেরিওফাজ এক ধরনের-“
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের মূল বিষয়বস্তুর মধ্যে পড়ে, বিশেষ করে মাইক্রোবায়োলজির ধারণাগুলি নিয়ে আলোচনা করে। ব্যাকটেরিওফাজ এমন এক ধরনের ভাইরাস, যা ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করে। এই ভাইরাসটি ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে প্রবেশ করে এবং সেটিকে ধ্বংস করে। প্রশ্নটির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে তাদের জ্ঞান যাচাই করা, পাশাপাশি ভাইরাসের বিশেষ প্রকারের সাথে পরিচিত করানো।
অপশন বিশ্লেষণ:
“ব্যাকটেরিয়া”:
ভুল অপশন:
ব্যাকটেরিওফাজ নামের মধ্যে “ফাজ” (phage) শব্দটি এসেছে “ফাজিন” (phagein) থেকে, যার অর্থ “খাওয়া।” এটি ব্যাকটেরিয়াকে খাওয়া বা ধ্বংস করার জন্য পরিচিত একটি ভাইরাস। তাই, এটি কোনো ব্যাকটেরিয়া নয়। ব্যাকটেরিওফাজ একটি ভাইরাস যা ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবেশ করে এবং তাদের ধ্বংস করে।
“ভাইরাস”:
সঠিক অপশন:
ব্যাকটেরিওফাজ হলো একটি ভাইরাস যা ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করে এবং ধ্বংস করে। এটি এমন একটি ভাইরাস যা ব্যাকটেরিয়া কোষে তার জিনগত উপাদান প্রবেশ করায় এবং ব্যাকটেরিয়ার কোষযন্ত্রকে ব্যবহার করে নতুন ভাইরাস তৈরি করে। এটি মূলত ভাইরাসের একটি বিশেষ প্রকার।
“ছত্রাক”:
ভুল অপশন:
ব্যাকটেরিওফাজ কোনো ছত্রাক নয়। ছত্রাক একটি আলাদা রাজ্যের জীব, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের থেকে ভিন্ন। ছত্রাক সাধারণত ডিকম্পোজার হিসেবে কাজ করে এবং এটি মাটি ও অন্যান্য বস্তুতে থাকে। ব্যাকটেরিওফাজ একটি ভাইরাস, যা ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে, তাই এটি ছত্রাক হতে পারে না।
“এককোষী উদ্ভিদ”:
ভুল অপশন:
এককোষী উদ্ভিদ বলতে সাধারণত অ্যালগি বা শৈবাল বোঝায়, যা পানিতে বসবাস করে এবং ফটোসিনথেসিস করে। ব্যাকটেরিওফাজ কোনো উদ্ভিদ নয়; এটি একটি ভাইরাস যা ব্যাকটেরিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এককোষী উদ্ভিদ এবং ব্যাকটেরিওফাজের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।
নোট:
ব্যাকটেরিওফাজ নিয়ে প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সম্পর্কিত ধারণা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকটেরিওফাজ জীবাণুবিজ্ঞানের একটি বিশেষ ধরনের ভাইরাস যা শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করে এবং তাদের ধ্বংস করে। এই ধরনের ভাইরাস প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯১৭ সালে এবং এটি আজকের দিনেও বিভিন্ন গবেষণায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যাকটেরিওফাজের সঠিক পরিচয় বোঝা শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানে ভাইরাসের ভূমিকা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান প্রদান করবে।
সঠিক উত্তর হলো “ভাইরাস,” কারণ ব্যাকটেরিওফাজ এক ধরনের ভাইরাস যা ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করে এবং ধ্বংস করে।
2 / 25
2.
মানুষের লোহিত কণিকায় ম্যালেরিয়া পরজীবীর বহুবিভাজন প্রক্রিয়ায় অযৌন জননকে কী বলে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “মানুষের লোহিত কণিকায় ম্যালেরিয়া পরজীবীর বহুবিভাজন প্রক্রিয়ায় অণুজননকে কী বলে?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়া পরজীবী (Plasmodium) এর জীবচক্র সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। Plasmodium পরজীবী বিভিন্ন পর্যায়ে বিভাজন ও বৃদ্ধির মাধ্যমে ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, এই প্রশ্নটি স্পোরোজোনি এবং এর প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্ররোচিত করছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
“এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি”:
সঠিক অপশন:
ম্যালেরিয়া পরজীবী মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় প্রবেশ করে এবং সেখানে বহুবিভাজন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, যা সাইজোগোনি নামে পরিচিত। যখন এই প্রক্রিয়াটি লোহিত রক্তকণিকায় ঘটে, তখন এটিকে এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, পরজীবী বিভাজিত হয়ে নতুন মেরোজোইট সৃষ্টি করে, যা আরও লোহিত কণিকায় সংক্রমণ ঘটায়।
“এক্সো- এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি”:
ভুল অপশন:
এক্সো- এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি সেই প্রক্রিয়া বোঝায় যা লোহিত কণিকার বাইরে ঘটে। এটি লিভারে ঘটে এবং এর ফলস্বরূপ পরজীবী লোহিত কণিকায় প্রবেশ করে। তাই এই প্রক্রিয়া লোহিত কণিকায় ঘটে না এবং এটি সঠিক উত্তর নয়।
“হেপাটিক সাইজোজোনি”:
ভুল অপশন:
হেপাটিক সাইজোজোনি সেই প্রক্রিয়া বোঝায় যা লিভারে ঘটে। এটি ম্যালেরিয়া পরজীবীর জীবনচক্রের একটি প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটে, যখন পরজীবী লিভার কোষে প্রবেশ করে এবং বিভাজন শুরু করে। তবে, প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে লোহিত কণিকা, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
“শ্রী- এরিট্রোসাইটিক সাইজোজোনি”:
ভুল অপশন:
এই অপশনটি সঠিক নয় কারণ এখানে ‘শ্রী’ শব্দটি প্রশ্নের প্রসঙ্গে ভুলভাবে ব্যবহার হয়েছে। শ্রী- এরিট্রোসাইটিক সাইজোজোনি বলে কিছু নেই, এটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর হতে পারে না।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ম্যালেরিয়া পরজীবীর জীবচক্র এবং তার বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে গভীর ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি ম্যালেরিয়া রোগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, যেখানে পরজীবী লোহিত কণিকায় বিভাজিত হয়ে ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করে। সঠিক উত্তর হলো “এরিথ্রোসাইটিক সাইজোজোনি,” যা লোহিত রক্তকণিকায় ম্যালেরিয়া পরজীবীর বিভাজন প্রক্রিয়া নির্দেশ করে।
3 / 25
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি হ্যাপ্লয়েড?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড কোষের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। হ্যাপ্লয়েড কোষে একগুণ ক্রোমোজোম থাকে, যা সাধারণত জনন কোষে দেখা যায়।
অপশন বিশ্লেষণ:
জাইগোট:
ভুল অপশন:
জাইগোট হলো ডিপ্লয়েড কোষ, যা দুটি হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট (স্পার্ম ও ডিম্বাণু) এর মিলনের ফলে তৈরি হয়। এতে দুটি ক্রোমোজোম সেট থাকে, তাই এটি হ্যাপ্লয়েড নয়।
উকিনেট:
ভুল অপশন:
উকিনেট হলো পরজীবী জীবাণুর একটি বিশেষ দশা, যা হ্যাপ্লয়েড নয়। এটি ডিপ্লয়েড কোষ হতে পারে, তবে এটি হ্যাপ্লয়েড কোষ নয়।
স্পোরাঞ্জিয়াম:
সঠিক অপশন:
স্পোরাঞ্জিয়াম হলো হ্যাপ্লয়েড কোষের উদাহরণ, যা মাইোসিসের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে জনন কোষে পরিণত হয়। এটি সাধারণত উদ্ভিদ ও ফাঙ্গাসে দেখা যায়। তাই এই অপশনটি সঠিক।
অফস্প্রিং:
ভুল অপশন:
অফস্প্রিং বা সন্তান হলো ডিপ্লয়েড কোষের একটি উদাহরণ, যা মাতৃ ও পিতৃ কোষের মিলনের ফলে তৈরি হয়। এটি হ্যাপ্লয়েড নয়।
নোট:
হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড কোষের পার্থক্য বোঝা জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাপ্লয়েড কোষের মধ্যে একগুণ ক্রোমোজোম থাকে, যা প্রধানত জনন কোষ হিসেবে কাজ করে। স্পোরাঞ্জিয়াম একটি হ্যাপ্লয়েড কোষের উদাহরণ যা শিক্ষার্থীদের জন্য মাইোসিস এবং জনন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট করতে সহায়ক।
4 / 25
4.
বহুপ্রান্তীয় অমরাবিন্যাস কোন উদ্ভিদে পাওয়া যায়?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “বহুপ্রাণী অমরাবিন্যাস কোন উদ্ভিদে পাওয়া যায়?”
এই প্রশ্নটি উদ্ভিদবিজ্ঞানের একটি মূল ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অমরাবিন্যাস (Polycarpy) হলো একটি বৈশিষ্ট্য, যেখানে একটি উদ্ভিদ বারবার ফল ধরে বা পুনরায় ফল উৎপাদন করে। সাধারণত, এটি এমন উদ্ভিদগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যারা বারবার ফলন দেয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে ফল ধরে রাখতে সক্ষম।
অপশন বিশ্লেষণ:
শিম:
সঠিক অপশন: শিম একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ এবং এটি বারবার ফল ধরে বা উৎপাদন করে। ফলে এই উদ্ভিদে অমরাবিন্যাস লক্ষ করা যায়। শিমের গাছ একাধিকবার ফল ধরে এবং এটি বহুপ্রাণী অমরাবিন্যাসের একটি উদাহরণ।
সরিষা:
ভুল অপশন: সরিষা একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ, যার ফলে এটি একবার ফুল ও ফল উৎপাদন করে এবং পরে মারা যায়। অমরাবিন্যাস সরিষা উদ্ভিদের জন্য প্রযোজ্য নয়, কারণ এটি একবার ফলন শেষে মরে যায়।
জবা:
ভুল অপশন: জবা গাছ মূলত শোভা উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত এবং এটি একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ হলেও এর ফল বা বীজ উৎপাদনের ক্ষমতা সীমিত। সাধারণত জবা ফুলদানকারী উদ্ভিদ হলেও এটি শিমের মতো অমরাবিন্যাস প্রদর্শন করে না।
বেগুন:
ভুল অপশন: বেগুন একটি সজীব উদ্ভিদ, তবে এটি একবার ফল উৎপাদনের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গাছটি আর ফল দেয় না। বেগুনের ক্ষেত্রে অমরাবিন্যাস দেখা যায় না।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের উদ্ভিদবিজ্ঞানের মূল ধারণা, বিশেষ করে অমরাবিন্যাস সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়ক। অমরাবিন্যাস বলতে একটি উদ্ভিদের একাধিকবার ফল উৎপাদনের ক্ষমতাকে বোঝায়, যা শিমের মতো উদ্ভিদে দেখা যায়। সঠিক উত্তর হলো “শিম,” কারণ এটি বহুপ্রাণী অমরাবিন্যাস প্রদর্শন করে।
5 / 25
5.
যক্ষ্মা রোগের জীবাণু কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “যক্ষ্মা রোগের জীবাণু কোনটি?”
এই প্রশ্নটি যক্ষ্মা রোগের কারণ এবং এর জন্য দায়ী জীবাণু সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। যক্ষ্মা রোগটি একটি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, যা মূলত ফুসফুসকে আক্রমণ করে এবং এটি একটি গুরুতর সংক্রমণজনিত রোগ হিসেবে পরিচিত।
অপশন বিশ্লেষণ:
Mycobacterium tuberculosis:
সঠিক অপশন:
যক্ষ্মা রোগের প্রধান জীবাণু হলো Mycobacterium tuberculosis , যা যক্ষ্মা সংক্রমণের মূল কারণ। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া, যা মানবদেহের ফুসফুস এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করে।
Escherichia tuberculosis:
ভুল অপশন:
Escherichia একটি ব্যাকটেরিয়ার জেনাস, তবে এটি যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী নয়। যক্ষ্মা রোগের কারণ Mycobacterium tuberculosis ।
Clostridium tuberculosis:
ভুল অপশন:
Clostridium একটি ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতি, তবে এটি যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী নয়। যক্ষ্মা রোগের কারণ হলো Mycobacterium tuberculosis ।
নোট:
এই প্রশ্নটি যক্ষ্মা রোগের জীবাণু সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। যক্ষ্মা রোগটি একটি মহামারী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, তাই এর সঠিক জীবাণু চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Mycobacterium tuberculosis হলো যক্ষ্মা রোগের প্রধান কারণ, যা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে বুঝতে হবে।
6 / 25
6.
কোনটি পানি বাহিত রোগ ?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি পানি বাহিত রোগ?”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পানি বাহিত রোগ বলতে সেইসব রোগকে বোঝানো হয়, যেগুলি সংক্রামিত পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের রোগের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া একটি মশাবাহিত রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
লেপ্রসি:
ভুল অপশন: লেপ্রসি একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত রোগ, যা প্রধানত ত্বক এবং স্নায়ুকে আক্রমণ করে। এটি সাধারণত মানুষের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এবং পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না। তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
টাইফয়েড:
সঠিক অপশন: টাইফয়েড একটি পানি বাহিত রোগ, যা স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়। এই রোগটি প্রধানত দূষিত পানি বা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এটি সঠিক উত্তর।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না, তাই এটি সঠিক উত্তর নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের পানি বাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়ক। পানি বাহিত রোগগুলি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে থাকে, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশে যেখানে সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা এবং স্যানিটেশন সুবিধা কম। সঠিক উত্তর হলো “টাইফয়েড,” কারণ এটি একটি পানি বাহিত রোগ যা দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়।
7 / 25
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ইন্টারফেরনের কাজ কি?”
এই প্রশ্নটি ইন্টারফেরনের ভূমিকা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীর জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ইন্টারফেরন হলো প্রোটিনের একটি পরিবার, যা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং ইমিউন প্রতিক্রিয়া চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কোষের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
খাদ্য তৈরির কাজ:
ভুল অপশন: ইন্টারফেরন খাদ্য তৈরির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তাই, এই অপশনটি ভুল।
খাদ্য সংরক্ষণ করা:
ভুল অপশন: ইন্টারফেরন খাদ্য সংরক্ষণেও কোন ভূমিকা পালন করে না। তাই, এই অপশনটি ভুল।
বংশ বিস্তারে অংশগ্রহণ করা:
ভুল অপশন: ইন্টারফেরন বংশ বিস্তারের প্রক্রিয়াতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে না। এটি কোষের ইমিউন প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। তাই, এই অপশনটি ভুল।
স্প্লার নির্গমনে সহায়তা করা:
সঠিক অপশন: ইন্টারফেরনের কাজ হলো ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা এবং ইমিউন প্রতিক্রিয়া চালু করা। এটি ভাইরাসের প্রজনন চক্রকে বাধা দিয়ে এবং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারফেরনের কাজ এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারফেরন প্রোটিন ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এটি ইমিউন সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইন্টারফেরনের ভূমিকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারে।
ইলেটারের কাজ হলো স্পোর নির্গমন সাহায্য করা।
8 / 25
8.
টোবাকো মোজাইক ভাইরাস এ কতটি ক্যাপসোমিয়ার থাকে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “টোবাকো মোজাইক ভাইরাস এ কতটি ক্যাপসোমিয়ার থাকে?”
এই প্রশ্নটি ভাইরোলজি বিষয়ে শিক্ষার্থীর ধারণা যাচাই করার জন্য করা হয়েছে, বিশেষত টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV) এর কাঠামো সম্পর্কে। ক্যাপসোমিয়ার হল প্রোটিন সাবইউনিট যা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানকে ঘিরে রাখে এবং ভাইরাসের ক্যাপসিড গঠন করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
২৩০০ – ২৫৪০:
ভুল অপশন: টোবাকো মোজাইক ভাইরাসের ক্যাপসোমিয়ার সংখ্যা সাধারণত ২১৩০-এর কাছাকাছি, তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
২১৩০ – ২২০০:
সঠিক অপশন: এই অপশনটি সঠিক কারণ টোবাকো মোজাইক ভাইরাসে সাধারণত প্রায় ২১৩০টি ক্যাপসোমিয়ার থাকে।
২৩৬০ – ২৪৭০:
ভুল অপশন: এই সংখ্যা টোবাকো মোজাইক ভাইরাসের ক্যাপসোমিয়ার সংখ্যা নয়, তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
২৪১০ – ২৫৬০:
ভুল অপশন: এই সংখ্যাও টোবাকো মোজাইক ভাইরাসের ক্যাপসোমিয়ার সংখ্যা নয়, তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি টোবাকো মোজাইক ভাইরাসের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাদের জ্ঞান পরীক্ষা করে। ভাইরাসের ক্যাপসিড গঠন এবং ক্যাপসোমিয়ার সংখ্যা ভাইরোলজির একটি মৌলিক ধারণা, যা ভাইরাসের কার্যকলাপ এবং সংক্রমণের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
9 / 25
9.
অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত ঈস্টকে নিচের কোন ভাইরাসটি ধ্বংস করে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত স্টুটকে নিচের কোন ভাইরাসটি ধ্বংস করে?”
এই প্রশ্নটি অ্যালকোহল শিল্প এবং এর সাথে সম্পর্কিত ভাইরাস ধ্বংসের প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি ভাইরাস ধ্বংসের ক্ষেত্রে অ্যালকোহলের ভূমিকা এবং সঠিক স্টুট নির্বাচন সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
সায়ানোফাগ:
ভুল অপশন: সায়ানোফাগ একটি ফেজ ভাইরাস যা সায়ানোব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এটি অ্যালকোহল দ্বারা ধ্বংস হয় না এবং অ্যালকোহল শিল্পের স্টুটের সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই এই অপশনটি সঠিক নয়।
জাইমোফাগ:
সঠিক অপশন: জাইমোফাগ হলো একটি ফেজ ভাইরাস যা ইস্ট বা খামির কোষকে আক্রমণ করে। অ্যালকোহল শিল্পে জাইমোফাগকে ধ্বংস করা প্রয়োজন হয়, এবং স্টুট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি ধ্বংস করা সম্ভব। তাই এই অপশনটি সঠিক।
ইবোলা:
ভুল অপশন: ইবোলা একটি মানব ভাইরাস যা ফিলোভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এটি অ্যালকোহল শিল্পের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং স্টুট প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করার বিষয়েও এটি প্রযোজ্য নয়। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
পলিোহাইড্রোসিস:
ভুল অপশন: পলিোহাইড্রোসিস একটি প্রোটিনসৃষ্ট রোগ যা কিছু পোকামাকড়ের মধ্যে দেখা যায়। এটি ভাইরাস নয় এবং অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত স্টুটের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এই অপশনটিও সঠিক নয়।
নোট:
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অ্যালকোহল শিল্পে ভাইরাস ধ্বংসের ক্ষেত্রে স্টুটের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। জাইমোফাগ ভাইরাস ধ্বংসের প্রক্রিয়াটি অ্যালকোহল শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি জেনে রাখা প্রয়োজন।
10 / 25
10.
মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “মানবদেহে আক্রমণকারী ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা কোনটি?”
এই প্রশ্নটি ম্যালেরিয়া রোগের সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া হলো একটি প্রোটোজোয়ান রোগ, যা প্লাজমোডিয়াম জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। এই জীবাণু মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন দশায় বিকাশ লাভ করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
মেরোজোয়েট (Merozoite):
ভুল অপশন: মেরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর একটি উন্নত দশা যা লিভারে স্পোরোজোয়েট থেকে বিভাজিত হয়ে রক্তে প্রবেশ করে এবং লোহিত রক্ত কণিকাকে সংক্রমিত করে। এটি ম্যালেরিয়ার প্রথম দশা নয়।
ট্রেফোজোয়েট (Trophozoite):
ভুল অপশন: ট্রেফোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর আরেকটি দশা, যা মেরোজোয়েট থেকে উৎপন্ন হয় এবং লোহিত রক্ত কণিকাতে বৃদ্ধি পায়। এটি ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের প্রথম দশা নয়।
ক্রিপ্টোজোয়েট (Cryptozoite):
ভুল অপশন: ক্রিপ্টোজোয়েট একটি সম্ভাব্য বিকল্প কিন্তু ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা নয়। এটি প্লাজমোডিয়ামের লাইফ সাইকেলের একটি অগ্রগামী দশা নয়।
স্পোরোজোয়েট (Sporozoite):
সঠিক অপশন: স্পোরোজোয়েট হলো ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রথম দশা যা মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এটি প্রথমে লিভারে গিয়ে সংক্রমণ ঘটায় এবং পরবর্তীতে মেরোজোয়েটে পরিণত হয়।
নোট:
ম্যালেরিয়া জীবাণুর সংক্রমণ প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং বিভিন্ন দশায় বিভক্ত। প্রথম দশায় স্পোরোজোয়েট আকারে জীবাণুটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং এটি ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ প্রক্রিয়ার শুরু। এই সংক্রামক স্পোরোজোয়েটগুলি লিভারে গিয়ে পরিপক্ক হয় এবং মেরোজোয়েট আকারে রক্তে মুক্তি পায়। তাই, সঠিক উত্তর হলো “স্পোরোজোয়েট।”
11 / 25
11.
সংক্রমণ ক্ষমতাহীন ভাইরাসকে কী বলে?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “সংক্রমণ ক্ষমতাহীন ভাইরাসকে কী বলে?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাসগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে, এবং এদের মধ্যে কিছু ভাইরাস কণা সংক্রমণ ক্ষমতাহীন অবস্থায় থাকতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ভিরিয়ন:
ভুল অপশন: ভিরিয়ন হলো একটি পূর্ণাঙ্গ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন ভাইরাস কণা, যা নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিন ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত। এটি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।
নিউক্লিওক্যাপসিড:
সঠিক উত্তর: নিউক্লিওক্যাপসিড হলো ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিন ক্যাপসিডের সমন্বয়, যা প্রয়োজনীয় সংক্রমণ ক্ষমতা অর্জন করেনি। এটি সাধারণত সংক্রমণ ক্ষমতাহীন অবস্থায় থাকে।
প্রিয়নস:
ভুল অপশন: প্রিয়নস হলো সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রোটিন কণা, যা ভাইরাস নয় এবং সংক্রমণ ক্ষমতাহীনও নয়। এটি স্নায়ুতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে।
ভিরয়েড:
ভুল অপশন: ভিরয়েড হলো ছোট সংক্রামক RNA কণা, যা উদ্ভিদে সংক্রমণ ঘটায়। এটি সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ভাইরাস নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর নিউক্লিওক্যাপসিড , যা সংক্রমণ ক্ষমতাহীন ভাইরাসের অংশ হিসেবে পরিচিত। এটি শিক্ষার্থীদের ভাইরাসের গঠন এবং তাদের সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়ক হবে।
12 / 25
12.
কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ এবং অন্যান্য প্যাথোজেন দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়া অনেক রোগের কারণ হতে পারে, এবং সঠিক রোগ চিহ্নিত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্যাথোজেন সম্পর্কিত জ্ঞান বাড়াতে পারবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যালেরিয়া:
ভুল অপশন: ম্যালেরিয়া একটি প্রোটোজোয়া পরজীবি (প্লাজমোডিয়াম) দ্বারা সৃষ্ট রোগ, যা মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ নয়।
ডেঙ্গু:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট নয়।
কলেরা:
সঠিক উত্তর: কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ, যা Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি পানির মাধ্যমে এবং খারাপ স্যানিটেশনের কারণে ছড়ায়।
হেপাটাইটিস:
ভুল অপশন: হেপাটাইটিস একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা প্রধানত লিভারকে প্রভাবিত করে। এটি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য প্যাথোজেন দ্বারা সৃষ্ট রোগগুলোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সহায়ক। সঠিক উত্তর হলো কলেরা , যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সাধারণ রোগ।
13 / 25
13.
সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস কোনটি?”
এই প্রশ্নটি সোয়াইন ফ্লু রোগের কারণভিত্তিক জ্ঞান যাচাইয়ের জন্য করা হয়েছে। সোয়াইন ফ্লু একটি ভাইরাস জনিত রোগ, যা সাধারণত শূকর এবং মানব উভয়ের মধ্যেই সংক্রমিত হতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
CMV:
ভুল অপশন: CMV বা Cytomegalovirus একটি ভিন্ন ধরনের ভাইরাস যা হারপিস ভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি সোয়াইন ফ্লুর কারণ নয়।
HIV:
ভুল অপশন: HIV (Human Immunodeficiency Virus) হলো এআইডস এর জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি সোয়াইন ফ্লুর কারণ নয়।
H1N1:
সঠিক অপশন: H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস টাইপ এ-এর একটি স্ট্রেইন, যা সোয়াইন ফ্লু রোগের জন্য দায়ী। এটি মূলত শূকর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এবং মহামারী সৃষ্টি করতে সক্ষম।
রুবেলা:
ভুল অপশন: রুবেলা ভাইরাস হলো জার্মান মিজলস নামে পরিচিত রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস। এটি সোয়াইন ফ্লুর জন্য দায়ী নয়।
নোট:
সোয়াইন ফ্লু একটি বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে ঘটে, বিশেষত H1N1 ভাইরাসের মাধ্যমে। সোয়াইন ফ্লু রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে এই ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক।
14 / 25
14.
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর মূলত কি দিয়ে গঠিত?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর মূলত কি দিয়ে গঠিত?”
এই প্রশ্নটি ব্যাকটেরিয়া জীববিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা নিয়ে তৈরি। ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের মূল উপাদান জানতে চাওয়া হয়েছে। এটি ব্যাকটেরিয়ার আকার বজায় রাখা এবং শারীরিক প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অপশন বিশ্লেষণ:
মুরামিক এসিড:
ভুল অপশন: মুরামিক এসিড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গঠনে ভূমিকা পালন করে, তবে এটি একা কোষ প্রাচীর গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। এটি পেপটাইডোগ্লাইকান গঠনের অংশ, কিন্তু প্রধান উপাদান নয়।
কাইটিন:
ভুল অপশন: কাইটিন একটি পলিস্যাকারাইড যা মূলত ছত্রাক ও কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে পাওয়া যায়। ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গঠনে এটি কোনো ভূমিকা পালন করে না।
সেলুলোজ:
ভুল অপশন: সেলুলোজ একটি পলিস্যাকারাইড যা উদ্ভিদ কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের অংশ নয়।
মিউকোপেপটাইড (পেপটাইডোগ্লাইকান):
সঠিক অপশন: ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর প্রধানত পেপটাইডোগ্লাইকান (মিউকোপেপটাইড) দিয়ে গঠিত, যা পলিস্যাকারাইড এবং পেপটাইডের মিশ্রণ। এটি কোষ প্রাচীরকে শক্তিশালী করে এবং ব্যাকটেরিয়াকে পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করে।
নোট:
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর পেপটাইডোগ্লাইকান দিয়ে গঠিত, যা ব্যাকটেরিয়াকে আকার বজায় রাখতে এবং প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে শক্তিশালী রক্ষাকারী কাঠামো হিসেবে কাজ করে। সঠিক উত্তর হলো মিউকোপেপটাইড (পেপটাইডোগ্লাইকান) ।
15 / 25
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি সচল দন্ড?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের দন্ডাকার জীবাণু বা অন্যান্য অণুজীবের চলন ক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সচল দন্ড মানে এমন দন্ডাকার অণুজীব, যেগুলি নিজে নিজেই স্থানান্তর করতে পারে।
অপশন বিশ্লেষণ:
ম্যাগনা ট্রুফোজোয়েট:
সঠিক উত্তর: ম্যাগনা ট্রুফোজোয়েট হলো এমন একটি প্রোটোজোয়া, যা দন্ডাকার এবং নিজে নিজেই স্থানান্তর করতে সক্ষম। এটি সচল দন্ডের একটি উদাহরণ।
ফ্যাগোমেটাস:
ভুল অপশন: ফ্যাগোমেটাস হলো প্রোটোজোয়ার একটি অবস্থা, তবে এটি সচল দন্ড নয় এবং নিজে নিজে চলতে সক্ষম নয়।
মাইক্রোট্রুফোজোয়েট:
ভুল অপশন: মাইক্রোট্রুফোজোয়েটও একটি অণুজীবের প্রকার, তবে এটি সচল দন্ড নয়।
ক্রিপটোজোয়েট:
ভুল অপশন: ক্রিপটোজোয়েট সচল নয় এবং এটির সাথে চলন ক্ষমতা সম্পর্কিত নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের প্রোটোজোয়া এবং অন্যান্য অণুজীবের চলন ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর ম্যাগনা ট্রুফোজোয়েট , যা সচল দন্ড হিসেবে পরিচিত।
ট্রফোজয়েট:
ট্রোফোজয়েট সর্বাধিক প্রোটোজোয়ার সক্রিয়, খাওয়ানো, গুণক পর্যায়ে এবং প্রোটোজোয়েনের প্রভাবশালী পর্যায়। পরজীবী প্রজাতিগুলিতে, এই স্তরটি সাধারণত প্যাথোজেনেসিসের সাথে যুক্ত থাকে। ট্রফোজয়েটগুলি হয় নন-ফ্ল্যাগ্লেটেলেটে ফ্ল্যাগলেটেড এবং বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করে বলা যেতে পারে। বেশিরভাগ প্রোটোজোয়ানগুলির ট্রফোজয়েটগুলি দ্বিপক্ষীয় প্রতিসাম্যযুক্ত নাশপাতি আকার। ট্রফোজয়েট কেন্দ্রীয় ক্যারিয়োসোম এবং মিডিয়ান বডিগুলির সাথে নিউক্লিকেটেড হয়। ফাইব্রিলগুলি পরজীবীর পৃষ্ঠের দৈর্ঘ্যের সাথে চালিত হয় এবং এটিকে অ্যাকোনেমেস বলে।
ট্রফোজয়েট দুধরনের; যথা- ম্যাগনা ট্রফোজয়েট এবং মাইন্যুটা ট্রফোজয়েট।
ম্যাগনা ট্রফোজয়েট:
এটি এন্টামিবার সক্রিয় ও সচল দশা।
এগুলো জিভের মতো ক্ষণপদবিশিষ্ট, বড় (২০-৪০মাইক্রন) ও অনিয়ত আকারযুক্ত সদস্য।
এরা খাদ্য হিসেবে রক্তকণিকা, ব্যাকটেরিয়া ও অন্ত্রের এপিথেলিয়াল কোষ গ্রহণ করে খাদ্যগহ্বরে জমা রাখে।
মাইন্যুটা ট্রফোজয়েট:
এটি এন্টামিবার নিষ্ক্রিয় দশা।
এগুলো বৃহদান্ত্রের গহ্বরে বসবাসকারী ক্ষণপদবিহীন, ক্ষুদ্র (১০-২০মাইক্রন) ও গোলাকার সদস্য।
এরা খাদ্য গ্রহণ করে না, তাই খাদ্যগহ্বরও থাকে না।
এ ধরনের সদস্যরাই সিস্ট তৈরি করে।
16 / 25
16.
নিচের কোন তথ্যটি ডেঙ্গু ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভুল?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নিচের কোন তথ্যটি ডেঙ্গু ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভুল?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু ভাইরাসের সঠিক বৈশিষ্ট্য এবং তার শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম, শ্রেণী এবং সংক্রমণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি। এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু ভাইরাসের গঠন এবং তার সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের মধ্যে পার্থক্য করতে শিখবে।
অপশন বিশ্লেষণ:
DNA ভাইরাস:
সঠিক উত্তর: ডেঙ্গু ভাইরাস একটি RNA ভাইরাস , তাই এই তথ্যটি ভুল। ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম একক-সু্ত্রক RNA নিয়ে গঠিত, তাই এটি DNA ভাইরাস নয়।
RNA ভাইরাস:
ভুল অপশন: এটি সঠিক তথ্য। ডেঙ্গু ভাইরাস একটি RNA ভাইরাস, এবং এর জিনোম একক-সু্ত্রক RNA দ্বারা গঠিত। তাই এই তথ্যটি ডেঙ্গু ভাইরাসের ক্ষেত্রে সঠিক।
DENV ভাইরাস:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাসকে DENV (Dengue Virus) নামে পরিচিত করা হয়। এটি ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসের সঠিক নাম। তাই এই তথ্যও সঠিক।
ফ্ল্যাভিভিরিডি গনের অন্তর্গত ভাইরাস:
ভুল অপশন: ডেঙ্গু ভাইরাস Flaviviridae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিবারের অন্যান্য ভাইরাসগুলির মধ্যে হলুদ জ্বর, জিকা এবং পশ্চিম নাইল ভাইরাস উল্লেখযোগ্য। তাই এই তথ্যটিও সঠিক।
নোট:
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য ডেঙ্গু ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার করতে সহায়ক। সঠিক উত্তর DNA ভাইরাস , কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস আসলে একটি RNA ভাইরাস। Flaviviridae পরিবারের অন্তর্গত ডেঙ্গু ভাইরাসকে সঠিকভাবে সনাক্ত করা শিক্ষার্থীদের ভাইরাস শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান প্রদান করবে।
ডেঙ্গু ভাইরাস বা ডেঙ্গি ভাইরাস(ইংরেজি: Dengue virus) (DENV) হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত মশা বাহিত এক সূত্রক আরএনএ(RNA) ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এই ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া গিয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই পূর্ণরূপে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম।
17 / 25
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “দুধ থেকে দই হয় নিচের—”
এই প্রশ্নটি জীববিজ্ঞানের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্নটি দইয়ের উৎপত্তি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা যাচাই করতে সাহায্য করে। দুধ থেকে দই হওয়ার প্রক্রিয়াটি মূলত ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ঘটে, যা দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
প্রোটোজোয়া:
ভুল অপশন: প্রোটোজোয়া এককোষী প্রাণী যা সাধারণত বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, কিন্তু দুধ থেকে দই হওয়ার ক্ষেত্রে এর কোনো ভূমিকা নেই।
ভাইরাস:
ভুল অপশন: ভাইরাস একধরনের অণুজীব যা প্রজননের জন্য একটি হোস্টের প্রয়োজন। ভাইরাসেরও দুধ থেকে দই বানানোর প্রক্রিয়ায় কোনো ভূমিকা নেই।
ব্যাকটেরিয়া:
সঠিক অপশন: দুধ থেকে দই হওয়ার প্রক্রিয়া মূলত ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ঘটে। এটি দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করে, ফলে দুধ জমাট বেঁধে দইয়ে পরিণত হয়।
ছত্রাক:
ভুল অপশন: ছত্রাক সাধারণত অন্যান্য জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়, তবে দুধ থেকে দই বানানোর প্রক্রিয়ায় ছত্রাকের কোনো ভূমিকা নেই।
নোট:
দুধ থেকে দই বানানোর প্রক্রিয়ায় ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া মূল ভূমিকা পালন করে। তাই, সঠিক উত্তর হলো ব্যাকটেরিয়া।
18 / 25
18.
কোনটি বহুরূপী ব্যাকটেরিয়া?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “কোনটি বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া?”
এই প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন ধরণের সম্পর্কে ধারণা যাচাই করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিছু ব্যাকটেরিয়া মানুষের জন্য ক্ষতিকারক, আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া মানুষের জন্য উপকারী বা বন্ধুত্বপূর্ণ বলে পরিচিত, যেমন রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া।
অপশন বিশ্লেষণ:
Vibrio cholerae:
ভুল অপশন: Vibrio cholerae হলো একটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, যা কলেরা রোগের কারণ। এটি বন্ধুত্বপূর্ণ বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া নয়।
Bacillus albus:
ভুল অপশন: Bacillus albus ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য কম, তবে এটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া হিসেবে পরিচিত নয়।
Rhizobium:
সঠিক উত্তর: Rhizobium হলো একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া, যা মূলত মাটির মধ্যে উদ্ভিদের মূলের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। এটি উদ্ভিদের জন্য উপকারী, কারণ এটি উদ্ভিদকে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে।
Stella:
ভুল অপশন: Stella ব্যাকটেরিয়া সাধারণত ক্ষতিকারক নয়, তবে এটি বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া হিসেবে পরিচিত নয়।
নোট:
এই প্রশ্নটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকারী বা বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য করতে শিখবে। সঠিক উত্তর হলো Rhizobium , যা উদ্ভিদের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে এবং কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
19 / 25
19.
নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে নিচের কোনটি?
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে নিচের কোনটি?”
এই প্রশ্নটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী জীবাণু সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করার জন্য করা হয়েছে। নাইট্রোজেন সংবন্ধন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা নির্দিষ্ট জীবাণুদের দ্বারা বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনকে উদ্ভিদের জন্য ব্যবহৃত অ্যামোনিয়া বা অন্যান্য যৌগে রূপান্তর করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Azotobacter:
ভুল অপশন: Azotobacter হলো মাটি-বাস্তব জীবাণু যা নাইট্রোজেন সংবন্ধন করতে সক্ষম। এটি ফ্রি-লিভিং নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী ব্যাকটেরিয়া, তবে এটি এককভাবে নাইট্রোজেন সংবন্ধনের জন্য পরিচিত নয়, তাই এই অপশনটি ভুল।
Pseudomonas:
ভুল অপশন: Pseudomonas হলো একটি প্রকারের ব্যাকটেরিয়া যা বিভিন্ন পরিবেশে বাস করে, তবে এটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনে বিশেষজ্ঞ নয়। তাই, এই অপশনটি ভুল।
Clostridium:
ভুল অপশন: Clostridium হলো একটি জীবাণু, কিন্তু এটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনে অংশগ্রহণ করে না। এটি অন্যান্য কার্যকলাপের জন্য পরিচিত। তাই, এই অপশনটি ভুল।
সবুজলো:
সঠিক অপশন: সবুজলো হলো একটি অ্যানাবিনোসম্পন্ন ব্যাকটেরিয়া যা নাইট্রোজেন সংবন্ধন করতে পারে। এটি উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাইট্রোজেন যোগান দেয়। তাই, এই অপশনটি সঠিক।
নোট:
এই প্রশ্নটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জীবাণুরা কীভাবে মাটিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, তা বোঝা যায়।
20 / 25
EXPLANATION:
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রশ্ন: “IEDCR এর পূর্ণরূপ কী?”
এই প্রশ্নটি জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত এবং বিশেষ করে রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জ্ঞান যাচাই করার জন্য প্রাসঙ্গিক। IEDCR (Institute of Epidemiology Disease Control and Research) হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা নিয়ে কাজ করে।
অপশন বিশ্লেষণ:
Institute of Epidemiology Disease Control And Research :
সঠিক অপশন: এটি IEDCR-এর সঠিক পূর্ণরূপ। এটি বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।
Institution of Epidemiology Disease Control And Research :
ভুল অপশন: এখানে “Institution” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যা ভুল। IEDCR-এর পূর্ণরূপে “Institute” শব্দটি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়।
Institute of Epidemiology Disease Control of Research :
ভুল অপশন: এখানে “of Research” শব্দগুচ্ছ ভুলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। সঠিক শব্দগুচ্ছ হবে “And Research”।
Institute of Epidemic Disease Control And Research :
ভুল অপশন: এখানে “Epidemic Disease” শব্দগুচ্ছ ব্যবহৃত হয়েছে, যা ভুল। সঠিক হবে “Epidemiology Disease”।
নোট:
IEDCR (Institute of Epidemiology Disease Control And Research) হলো বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণের মূল গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সঠিক উত্তর হলো “Institute of Epidemiology Disease Control And Research” ।
he Institute of Epidemiology, Disease Control And Research is a Bangladesh government research institute, under the Ministry of Health, responsible for researching epidemiological and communicable disease in Bangladesh as well as disease control. Tahmina Shirin is the head of the organization.
23 / 25
23. নিচের কোনটি সংক্রামক ব্যাধি?
EXPLANATION:
স্পর্শ, যৌন স্পর্শ, খাদ্য ও পানীয়, বায়ু বাহিত, ভেক্টর বাহিত হয়ে যে সব রোগ ছড়িয়ে পড়ে তাকে সংক্রামক রোগ বলে। উদাহরণ: স্কেবিস, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাম্পস, ‘রুবেলা, বসন্ত, হাম, করোনা ভাইরাস ইত্যাদি।
25 / 25
25. কোনটি সিমবায়োটিক অ্যাসোসিয়েশন?
EXPLANATION:
(b); Bean (লেগুমিনাস প্লান্ট) ও ব্যাকটেরিয়া Symbiotic-ভাবে বসবাস করে। যেমন: শিমজাতীয় উদ্ভিদের গোড়ায় Rhizobium ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে N₂ সংবন্ধ করে। বিনিময়ে ব্যাকটেরিয়া গাছ হতে শর্করা পায়।
RESULT
সবার রেজাল্ট একসাথে দেখার জন্য ‘Show’ এর পাশে ‘5’ ক্লিক করার পর ‘All’ এ ক্লিক করেন। ‼ এক্সাম SUBMIT করার পর, রেজাল্টে আপনার মেরিট দেখতে পেজটিকে একবার Reload করুন।
DETAILS
আপনি যদি লগিন করে এক্সাম দেন, তাহলে আপনার দাগানো কোন MCQ সঠিক এবং ভুল ছিল, সব দেখতে পারবেন এখানে।
You must log in to see your results.
📚 Address Academy কর্তৃক সকল এক্সাম ব্যাচের বিস্তারিত
📌 কৃষি গুচ্ছ এক্সাম ব্যাচ (প্রিভিয়াস লিংক)
যারা সেকেন্ড টাইম কৃষি গুচ্ছ প্রিপারেশন নিচ্ছো, তারা চাইলে পূর্ববর্তী সকল এক্সাম দিতে পারবে।
Exam Links 👉
https://addresacademy.com/agri-free/
প্রশ্ন-উত্তর
❓ লিঙ্কে ক্লিক করলে: পূর্ণাঙ্গ রুটিন সহ এক্সাম লিংক গুলো পেয়ে যাবা ⬇
এরপর, ওয়েব সাইটে যাওয়ার পর, নির্দিষ্ট চ্যাপ্টার নামের উপর ক্লিক করলে এক্সাম লিংক পেয়ে যাবা।
রেজাল্ট : এক্সাম দেওয়ার সাথে সাথে দেখতে পারবা, এক্সাম সাবমিট করার পর, ওয়েব পেজটিকে একবার রিলোড করবা অথবা একই এক্সাম লিংকে আবার ক্লিক করবা। তাহলে তোমার রেজাল্ট মেরিট লিস্টে দেখতে পারবা।
❓ প্রশ্ন ১: প্রতিদিন কি আলাদা লিংক দেওয়া হবে?
উত্তর: প্রতিদিন আলাদা লিংক লাগবে না। এই পোস্টের একটি লিংকেই সব সময় কাজ করবে। এমনকি, রুটিন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও, নতুন রুটিন একই লিংকে এড হবে। প্রতিদিন রাত ৯টার পরে নতুন এক্সাম লিংকের জন্য এখানে আসতে পারো।
❓ প্রশ্ন ২: পূর্বে হয়ে যাওয়া সকল এক্সাম কি দিতে পারব?
উত্তর: অবশ্যই। ওয়েবসাইটে প্রিভিয়াস বাটনে ক্লিক করে এক মাস, দুই মাস বা তিন মাস আগের সকল এক্সাম দিতে পারবে।
❓ প্রশ্ন ৩: কোন প্রশ্ন ভুল থাকলে কি করব?
উত্তর: ভুল প্রশ্নের নিচে থাকা কমেন্ট আইকনে ক্লিক করে সঠিক উত্তর জানিয়ে দিতে পারবে। এরপর ওয়েবসাইট থেকে তাড়াতাড়ি এডিট করে দেওয়া হবে।