Options information ⤵️ (click here)

A B C D E

• এমাইলেজ: এমাইলেজ একটি এনজাইম যা মুখ্যতঃ লালনকরণে নিঃসৃত হয়। এটি মূলতঃ অন্নপ্রণালী বা মুখের অন্তর্গত গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।
• এমাইলেজ মূলতঃ কার্বোহাইড্রেটের বিভাজন করে, বিশেষ করে স্টার্চের মাল্টোজে রূপান্তর করে।
• এটি মুখের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যকলাপের অংশ হিসেবে কাজ করে, যাতে খাবার দ্রুত পচে যায় এবং পরবর্তী পাচনতন্ত্রে সহজে প্রবেশ করে।
• এমাইলেজের নিঃসরণ মুখের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অন্তর্গত গ্রন্থি, যেমন সালিভারি গ্রন্থি, দ্বারা হয়।

• টায়ালিন হল একটি এনজাইম যা মূলত লালাগ্রন্থিতে পাওয়া যায়।
• এটি প্রধানত অ্যামাইলেজ এনজাইমের সাহায্যে শর্করা ভাঙতে সহায়তা করে।
• টায়ালিনের কার্যকলাপ সাধারণত খাদ্য পরিপাকের সময় শুরু হয়, যেখানে এটি স্টার্চের মতো কার্বোহাইড্রেট ভাঙে।
• এটি মূলত প্যাংক্রিয়াসের লালাগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।
• অন্য কোন অঙ্গ বা গ্রন্থি থেকে প্রধানত এই এনজাইম পাওয়া যায় না।

• পেপসিন: এটি একটি হজমের এনজাইম যা মুখ্যতঃ পেটের লালাগ্রন্থিতে (গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ডে) নিঃসৃত হয়।
• এটি প্রোটিনের বিভাজন করে ছোট পেপটাইডে রূপান্তরিত করে।
• পেপসিনের কার্যকারিতা শুরু হয় পেটের অম্লীয় পরিবেশে, যেখানে এটি প্রোটিনের গঠন ভেঙে ছোট অংশে রূপান্তর করে হজমে সাহায্য করে।

• গ্যাস্ট্রিন: এটি একটি হরমোন যা প্রধানত পাকস্থলীতে উৎপন্ন হয়।
• এর মূল কাজ হলো পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়ানো, যা খাবার হজমে সহায়ক।
• এটি পাচনতন্ত্রে খাদ্য গঠনে সহায়তা করে এবং পেটের উপকারে আসে।
• গ্যাস্ট্রিনের সঠিক মাত্রা বজায় থাকলে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলে এবং অঙ্গপ্রতঙ্গের কার্যক্রম সুনিয়ন্ত্রিত হয়।

• মিউসিন: এটি একটি স্নেহজাতীয় পদার্থ, যা মূলত শ্লৈষ্মিক গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।
• মিউসিন শ্লৈষ্মিক স্তরের অংশ হিসেবে কাজ করে, যা রক্তপ্রবাহের সাথে সংস্পর্শে এসে শ্লৈষ্মিক স্তর গঠন করে এবং অঙ্গপ্রদাহ বা আঘাত থেকে রক্ষা করে।
• এটি সাধারনত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে, চোখের চোখের শ্লৈষ্মিক স্তর, এবং শ্বাসনালীসহ বিভিন্ন স্থানে নিঃসৃত হয়।
• মিউসিন অঙ্গের উপকারী পদার্থ হিসেবে কাজ করে, খাদ্য সহজে চলাচল করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

গ্যাস্ট্রিন: একটি হরমোন 🧐

গ্যাস্ট্রিন একটি পেপটাইড হরমোন যা পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। এটি প্রধানত পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) নিঃসরণে উদ্দীপনা যোগায় এবং হজম প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও গ্যাস্ট্রিন মূলত পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত হয়, এটি একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি (endocrine gland) থেকে নিঃসৃত হরমোন হিসেবে বিবেচিত হয়। 🤔

গ্যাস্ট্রিনের উৎস এবং নিঃসরণস্থল 🏭

• প্রধান উৎস: পাকস্থলীর অ্যান্ট্রাম অঞ্চলের জি কোষ (G cells)।
• অন্যান্য উৎস: ডিওডেনাম (Duodenum) এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু অংশ।
• নিঃসরণের উদ্দীপক:
  • পেপটাইড ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ 🍔
  • পাকস্থলীর প্রসারণ 🎈
  • ভ্যাগাস নার্ভের উদ্দীপনা (acetylcholine নিঃসরণের মাধ্যমে)

গ্যাস্ট্রিনের কাজ ⚙️

1. পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) নিঃসরণ বৃদ্ধি: এটি প্যারাইটাল কোষকে উদ্দীপিত করে HCl নিঃসরণ বাড়ায়, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে।
2. পেপসিনোজেন নিঃসরণ বৃদ্ধি: পেপসিনোজেন একটি প্রো-এনজাইম যা HCl এর সংস্পর্শে পেপসিনে রূপান্তরিত হয়ে প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে।
3. পাকস্থলীর নড়াচড়া বৃদ্ধি: এটি পাকস্থলীর পেশী সংকোচন বাড়িয়ে খাদ্য перемещении সহায়তা করে।
4. পাকস্থলীর মিউকোসাল বৃদ্ধি: গ্যাস্ট্রিন পাকস্থলীর প্রাচীরের কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।

গ্যাস্ট্রিনের অতিরিক্ত নিঃসরণজনিত সমস্যা ⚠️

গ্যাস্ট্রিনের অতিরিক্ত নিঃসরণ (যেমন, গ্যাস্ট্রিনোমা নামক টিউমারের কারণে) Zollinger-Ellison সিনড্রোমের কারণ হতে পারে। এর ফলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো দেখা যায়:

• পেপটিক আলসার 🤕
• ডায়রিয়া 🚽
• অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের কারণে খাদ্যনালীর প্রদাহ 🔥

গ্যাস্ট্রিন এবং অন্যান্য হরমোনের মধ্যে সম্পর্ক 🤝

হরমোন	গ্যাস্ট্রিনের উপর প্রভাব	গুরুত্ব
সোমাটোস্ট্যাটিন	গ্যাস্ট্রিন নিঃসরণ কমায় ⬇️	অ্যাসিড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সিক্রেটিন	অল্প পরিমাণে গ্যাস্ট্রিন নিঃসরণ বাড়াতে পারে ⬆️	ডিওডেনামের pH নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

সুতরাং, গ্যাস্ট্রিন একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন যা হজম প্রক্রিয়ায় অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করে। 👍

আরো জানতে ভিজিট করুন: গ্যাস্ট্রিন - উইকিপিডিয়া

প্রশ্নের মধ্যে থাকা যৌগ _Cu(NH3)4(H2O)₂ এর মধ্যে Cu ও O এর মধ্যে বন্ধনের ধরন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এই যৌগে Cu আটাইনের সাথে অক্সিজেনের মধ্যে শক্তিশালী ধাতু-অক্সিজেন বন্ধন রয়েছে।

এখানে, Cu আটাইনের সাথে যুক্ত অক্সিজেন অ্যাসিড বা লিগ্যান্ডের মাধ্যমে বন্ধন গঠন করে, যা সাধারণত সন্নিবেশ (coordinate bond বা dative bond) হিসেবে বিবেচিত। এই বন্ধনটি মূলত অক্সিজেনের একজোড়া ইলেকট্রন দান করে এবং Cu আটাইনের সাথে একত্রিত হয়।

অতএব, এই যৌগে Cu ও O এর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধন হচ্ছে সন্নিবেশ।

```html

বাইসাইকেল থিফ (Ladri di biciclette): একটি একাডেমিক আলোচনা 🇮🇹🚲

বাইসাইকেল থিফ (ইংরেজি: Bicycle Thieves) চলচ্চিত্রটি ১৯৪৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র। ভিত্তোরিও ডি সিকা (Vittorio De Sica) এর পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিটি ইতালির যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক দৈন্যদশা এবং মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামকে তুলে ধরেছে।

চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট 🌆

• দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী ইতালির অর্থনৈতিক সংকট।
• বেকারত্ব এবং দারিদ্র্যের চরম অবস্থা।
• সামাজিক বৈষম্য ও হতাশা।

কাহিনী সংক্ষেপ 📖

ছবিটির মূল কাহিনী আন্তোনিও রিচ্চি নামের এক বেকার লোককে কেন্দ্র করে। রোমের রাস্তায় পোস্টার লাগানোর একটি চাকরি পায় সে, যার জন্য একটি সাইকেল অত্যাবশ্যক। বহু কষ্টে সাইকেলটি কেনার পর সেটি চুরি হয়ে যায়। আন্তোনিও তার ছেলেকে সাথে নিয়ে সাইকেলটি খুঁজতে থাকে।

নব্য বাস্তবতাবাদ (Neorealism) বৈশিষ্ট্য 🎬

চলচ্চিত্রটি নব্য বাস্তবতাবাদের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এর কিছু বৈশিষ্ট্য:

1. অপেশাদার অভিনেতা ব্যবহার 🎭
2. দৈনন্দিন জীবনের প্রতিচ্ছবি 🚶‍♀️🚶
3. স্টুডিওর বাইরে বাস্তবিক লোকেশনে শুটিং 🏞️
4. রাজনৈতিক ও সামাজিক বার্তা 🗣️

প্রধান চরিত্রসমূহ 🧑‍🤝‍🧑

চরিত্রের নাম	অভিনয় শিল্পী	গুরুত্ব
আন্তোনিও রিচ্চি	লাম্বার্টো ম্যাগিওরানি	প্রধান চরিত্র, সাইকেল হারানো বেকার পিতা 😔
ব্রুনো রিচ্চি	এনজো স্টাইওলা	আন্তোনিও-র ছেলে, বাবার সঙ্গী 👦
মারিয়া রিচ্চি	লিয়ানেল্লা কারেল	আন্তোনিও-র স্ত্রী, পরিবারের ভরসা 👩

চলচ্চিত্রের প্রভাব 🌍

• বিশ্ব চলচ্চিত্রে নব্য বাস্তবতাবাদের প্রসার 🎬
• সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি 📣
• চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসা ও পুরস্কার 🏆

পুরস্কার ও স্বীকৃতি 🏅

• অস্কার অনারারি অ্যাওয়ার্ড (১৯৫০) 🌟
• ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট কর্তৃক সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকাভুক্ত 🥇

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ 🤔

• দারিদ্র‍্য ও ??সহায়তার চিত্র 😥
• পিতা-পুত্রের বন্ধন 👨‍👦
• ন্যায়ের অভাব ⚖️
• যুদ্ধপরবর্তী ইতালির সামাজিক অবস্থা 🇮🇹

বাইসাইকেল থিফ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সময়ের দলিল। এটি আজও দর্শকদের মনে দাগ কাটে এবং চলচ্চিত্র ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। 💯

আরও জানতে ভিজিট করুন: উইকিপিডিয়া 🌐

```

ট্রানজিস্টরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পরিবর্তন 🌡️

ট্রানজিস্টরের তাপমাত্রা বাড়লে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়। নিচে এই পরিবর্তনগুলো আলোচনা করা হলো:

মূল পরিবর্তনসমূহ 📉

• কারেন্ট বৃদ্ধি 📈: তাপমাত্রা বাড়লে ট্রানজিস্টরের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর কারণ হলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে সেমিকন্ডাক্টরের মধ্যে বেশি সংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন এবং হোল তৈরি হয়।
• ভোল্টেজ পরিবর্তন ⚡: ট্রানজিস্টরের ভোল্টেজ বৈশিষ্ট্য, যেমন বেস-এমিটার ভোল্টেজ (VBE), তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তিত হয়। তাপমাত্রা বাড়লে VBE সাধারণত কমে যায়।
• বিটা (β) বা কারেন্ট গেইন পরিবর্তন ⚙️: বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টরের (BJT) ক্ষেত্রে, কারেন্ট গেইন (β) তাপমাত্রার সাথে সংবেদনশীল। তাপমাত্রা বাড়লে β সাধারণত বৃদ্ধি পায়, তবে খুব বেশি তাপমাত্রায় এটি কমেও যেতে পারে।
• লিকেজ কারেন্ট বৃদ্ধি 💧: তাপমাত্রা বাড়লে ট্রানজিস্টরের লিকেজ কারেন্ট (ICBO বা ICO) উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এই কারেন্ট মূলত সংখ্যালঘু চার্জ ক্যারিয়ারের কারণে হয়ে থাকে।
• রোধ হ্রাস পায় 📉: হ্যাঁ, আপনার উত্তরটি সঠিক। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ট্রানজিস্টরের রোধ (Resistance) সাধারণত হ্রাস পায়। এর কারণ হলো তাপমাত্রা বাড়লে বেশি সংখ্যক চার্জ ক্যারিয়ার (ই??েকট্রন ও হোল) সৃষ্টি হয়, যা বিদ্যুৎ পরিবহনে সাহায্য করে।

টেবিল আকারে পরিবর্তন 📊

বৈশিষ্ট্য	তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পরিবর্তন	কারণ
কারেন্ট (IC)	বৃদ্ধি পায় ⬆️	বেশি সংখ্যক চার্জ ক্যারিয়ার তৈরি হয়
ভোল্টেজ (VBE)	হ্রাস পায় ⬇️	ডায়োডের ভোল্টেজ সংবেদনশীলতা
কারেন্ট গেইন (β)	বৃদ্ধি পায় (কিছু ক্ষেত্রে) ⬆️	পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি
লিকেজ কারেন্ট (ICBO/ICO)	বৃদ্ধি পায় ⬆️	সংখ্যালঘু চার্জ ক্যারিয়ার বৃদ্ধি
রোধ (Resistance)	হ্রাস পায় ⬇️	চার্জ ক্যারিয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ➕

অতিরিক্ত তথ্য 💡

• অতিরিক্ত তাপমাত্রা ট্রানজিস্টরের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে 💥।
• কিছু ট্রানজিস্টর বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয় যেন তারা উচ্চ তাপমাত্রায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে 🌞।
• সার্কিটে ট্রানজিস্টরের সঠিক কুলিং নিশ্চিত করা প্রয়োজন 🧊, অন্যথায় এটি পুড়ে যেতে পারে 🔥।

আশা করি এই ব্যাখ্যাটি আপনার কাজে লাগবে! 😊🙏

বেনজিন অণুর পরমাণু কোন ধরনের সংকরিত তা বোঝার জন্য প্রথমে আমরা বুঝি যে, বেনজিনের অণু (C₆H₆) এর প্রতিটি কার্বন পরমাণু কিভাবে সংকরিত। **ব্যাখ্যা:** 1. **অণুর গঠন ও সিএসটি (Cyclic Structure):** বেনজিনের অণু একটি ষড়ভুজ আকৃতির রিং, যেখানে প্রতিটি কার্বন পরমাণু একটি করে হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত। এই রিংয়ে ৬টি কার্বন ও ৬টি হাইড্রোজেন থাকে। 2. **অতিপ্রচলিত স্পেকট্রাম ও বিকিরণ:** বেনজিনের ব্যান্ডের বিকিরণ বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, এর অণুর কার্বন পরমাণুগুলোর সংকরিত স্পেকট্রাম স্পষ্টভাবে দেখায় যে, প্রতিটি কার্বনের সংকরিত অবস্থা হলো **sp²**। 3. **অর্থাৎ:** প্রতিটি কার্বন পরমাণু **sp²** সংকরিত, যার ফলে তার একটির একটি অক্ষীয় অর্ধ-সংকোচন (p) অরিয়েন্টেড অরথোগোনাল (90°) সেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটাই বেনজিনের উজ্জ্বল অণু গঠনের কারণ। --- **সংক্ষিপ্তভাবে:** **বেনজিন অণুর প্রতিটি কার্বন পরমাণু sp² সংকরিত।**

দৃশ্যমান আলোকের কম্পাঙ্ক: বেগুনী রঙের প্রাধান্য ⚛️

দৃশ্যমান আলোকরশ্মি হলো তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালীর (Electromagnetic Spectrum) একটি অংশ যা আমাদের চোখ দ্বারা দৃশ্যমান। এই আলোকরশ্মি বিভিন্ন রঙে বিভক্ত, যাদের প্রত্যেকটির নিজস্ব তরঙ্গদৈর্ঘ্য (Wavelength) ও কম্পাঙ্ক (Frequency) রয়েছে।🌈

আলোর রঙ এবং কম্পাঙ্ক 📊

আলোর রঙ এবং কম্পাঙ্কের মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। অর্থাৎ, যে রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, তার কম্পাঙ্ক তত বেশি। দৃশ্যমান আলোর বর্ণালীতে বেগুনী রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম।

দৃশ্যমান আলোর বর্ণালী (কম্পাঙ্ক অনুসারে):

1. বেগুনী (Violet): সর্বোচ্চ কম্পাঙ্ক 💜
2. নীল (Indigo) 💙
3. আকাশী (Blue) 🧊
4. সবুজ (Green) 💚
5. হলুদ (Yellow) 💛
6. কমলা (Orange) 🧡
7. লাল (Red): সর্বনিম্ন কম্পাঙ্ক ❤️

কেন বেগুনী রঙের কম্পাঙ্ক সর্বোচ্চ? 🤔

আমরা জানি, কম্পাঙ্ক (f) এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য (λ) এর মধ্যে সম্পর্ক হলো:

c = fλ

এখানে, c হলো আলোর বেগ (Speed of Light), যা একটি ধ্রুবক। যেহেতু আলোর বেগ ধ্রুবক, তাই তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হলে কম্পাঙ্ক বাড়বে। বেগুনী রঙের আলোকের তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর মধ্যে সবচেয়ে কম, তাই এর কম্পাঙ্ক সবচেয়ে বেশি।✨

আলোর কম্পাঙ্কের ব্যবহার 💡

বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোর কম্পাঙ্কের ভিন্নতা ব্যবহার করা হয়। যেমন:

• যোগাযোগ প্রযুক্তি (Communication Technology) 📡
• চিকিৎসা বিজ্ঞান (Medical Science) 🩺
• স্পেকট্রোস্কোপি (Spectroscopy) 🔬

রঙধনুর সাত রঙ 🌈

রঙধনুর সাতটি রঙ হলো:

রঙ	তরঙ্গদৈর্ঘ্য (ন্যানোমিটার)	কম্পাঙ্ক (টেরাহাটর্জ)
বেগুনী	380-450	668-789
নীল	450-495	606-668
আকাশী	495-570	526-606
সবুজ	570-590	508-526
হলুদ	590-620	484-508
কমলা	620-750	400-484
লাল	750-	-400

সুতরাং, দৃশ্যমান আলোকের মধ্যে বেগুনী রঙের কম্পাঙ্ক সর্বোচ্চ। 🎉

Options information ⤵️ (click here)

A B C D E

• RNA (রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড): ভিরয়েডের গাঠনিক উপাদান হলো RNA। এটি এক ধরনের ক্ষুদ্র, সিঙ্গল-স্ট্র্যান্ডেড নিউক্লিক অ্যাসিড যা ডিএনএ’র তুলনায় খুবই ছোট।
• প্রোটিনের অভাব: ভিরয়েডের মধ্যে কোনও প্রোটিনের উপস্থিতি দেখা যায় না। তারা কেবলমাত্র RNA দ্বারা গঠিত।
• গঠন: ভিরয়েডের RNA সাধারণত সিঙ্গল-স্ট্র্যান্ডেড এবং বাঁকানো বা ক্রস-সেকশনাল গঠন ধারণ করে, যা তাদের স্থিতিশীলতা ও কার্যকলাপে সহায়তা করে।

• DNA (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লেইক অ্যাসিড): DNA হলো একটি জৈবিক অণু যা জীবের জেনেটিক তথ্য ধারণ করে। এটি ডাবল হেলিক্যাল আকারে গঠিত এবং জীবের বৃদ্ধি, বিকাশ, পুনরুত্পাদন ও প্রজননের জন্য অপরিহার্য।
• গঠন: DNA এর মূল উপাদান হলো নিউক্লিওটাইড, যা নিউক্লোটাইডের সংমিশ্রণে গঠিত। প্রতিটি নিউক্লিওটাইডে থাকে একটি ফসফেট গ্রুপ, একটি শর্করা (ডিঅক্সিরাইবো), এবং একটি নাইট্রোজেন বেস।
• কার্যপ্রণালী: DNA এর মাধ্যমে জীবের জেনেটিক তথ্য প্রেরিত হয় এবং এটি প্রোটিন সংশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• প্রকার: বিভিন্ন ধরনের DNA রয়েছে, যেমন চROMOSোমের মধ্যে থাকা ডি.এন.এ., মাইটোকন্ড্রিয়াল ডি.এন.এ, ইত্যাদি।

• প্রোটিন: ইন্টারকাইনেসিসের সময় সাধারণত প্রোটিন সংশ্লেষিত হয় না।
• এটি একটি কোষের বিভাজনের সময় যে সময়ে DNA, RNA এবং অন্যান্য উপাদানগুলি সংশ্লেষিত হয়, তবে প্রোটিনের সংশ্লেষণ ঘটে মূলত গ্লাইকোলাইসিস বা অন্যান্য সময়ে।
• অর্থাৎ, ইন্টারকাইনেসিসের সময় প্রোটিনের সংশ্লেষণ কম বা হয় না, তবে এটি মূলত অন্য সময়ে ঘটে থাকে।

• প্রধান কারণ: ভাইরাস
• বর্ণনা: হেপাটাইটিস রোগের জন্য ভাইরাসই মূল কারন। এই ভাইরাসগুলো হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি, এবং ই ধরনের হতে পারে।
• প্রভাব: ভাইরাসগুলো লিভারকোষের মধ্যে প্রবেশ করে সংক্রমণ সৃষ্টি করে, ফলে লিভার ফাংশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
• সংক্রমণের মাধ্যম: আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, শারীরিক নিঃসরণ, বা সঠিক স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ছড়ায়।

• রোগ সৃষ্টিকারী প্রোটিন হলো প্রোটিন যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটিয়ে রোগ সৃষ্টি করে।
• এগুলি বিভিন্ন ভাইরাসের ভিতরে থাকে এবং ভাইরাসের সংক্রমণ দ্বারা মানবদেহে রোগের সৃষ্টি করে।
• উদাহরণস্বরূপ, কিছু ভাইরাসের প্রোটিন শরীরের কোষে প্রবেশ করে এবং সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত করে রোগের লক্ষণ দেখায়।
• এছাড়াও, এই প্রোটিনগুলি রোগের লক্ষণ আরো তীব্র বা দুর্বল করতে পারে।

প্রিয়ন্স: রোগ সৃষ্টিকারী প্রোটিন 🧬

প্রিয়ন্স হলো প্রোটিন দ্বারা গঠিত রোগ সৃষ্টিকারী উপাদান। এটি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নয়। এটি মূলত মিসফোল্ডেড (misfolded) প্রোটিন।

প্রিয়ন্স কিভাবে কাজ করে? 🤔

• সাধারণ প্রোটিনকে (PrPC) অস্বাভাবিক রূপে (PrPSc) পরিবর্তন করে।
• রূপান্তরিত প্রোটিনগুলো মস্তিষ্কে জমা হয়ে নিউরনের ক্ষতি করে। 🧠
• এর ফলে মস্তিষ্কে ছিদ্র হয়ে যায় এবং স্পঞ্জ এর মতো আকার ধারণ করে।

প্রিয়ন্স রোগের লক্ষণ ⚠️

1. স্মৃতিভ্রংশ 😓
2. শারীরিক ভারসাম্যহীনতা 🚶‍♀️➡️🤸
3. মেজাজ পরিবর্তন 😠➡️😢
4. ঘুমের সমস্যা 😴➡️🤯

কিছু উল্লেখযোগ্য প্রিয়ন্স রোগ 🤒

রোগের নাম	কারণ	প্রভাব
ক্রুটজফেল্ড-জ্যাকব রোগ (CJD)	sporadic, বংশগত, দূষিত খাদ্য গ্রহণ 🍔	দ্রুত স্মৃতিভ্রংশ, মাংসপেশীর খিঁচুনি
ভেরিয়েন্ট ক্রুটজফেল্ড-জ্যাকব রোগ (vCJD)	দূষিত গরুর মাংস খাওয়া 🥩	CJD এর মতই, তবে কম বয়সে শুরু হয়
কুরু	নরমাংস ভক্ষণ 🍖 (fore tribe of Papua New Guinea)	শারীরিক ভারসাম্যহীনতা, হাঁটাচলায় সমস্যা
গের্স্টম্যান-স্ট্রাউসলার-শিনকার সিনড্রোম (GSS)	বংশগত 🧬	গতিশীল সমস্যা, ডিমেনশিয়া
ফেটাল ফ্যামিলিয়াল ইনসমনিয়া (FFI)	বংশগত 🧬	ঘুমের অভাব, ডিমেনশিয়া

সংক্রমণের পদ্ধতি 🦠➡️🧠

• দূষিত খাদ্য গ্রহণ 🍔
• দূষিত সার্জিক্যাল সরঞ্জাম ব্যবহার 🔪
• অঙ্গ প্রতিস্থাপন 🫀
• বংশগতভাবে 🧬

প্রতিরোধ ও চিকিৎসা 🛡️

বর্তমানে প্রিয়ন্স রোগের কোনো কার্যকরী চিকিৎসা নেই। সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং দূষিত খাদ্য পরিহার করা উচিত। ❤️

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ✨

• প্রিয়ন্স অত্যন্ত প্রতিরোধী। 🌡️🔥
• সাধারণ জীবাণুনাশক দিয়ে এদের ধ্বংস করা যায় না। ☠️
• অটোক্লেভিং এবং শক্তিশালী রাসায়নিক দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।

এটি রোগ সৃষ্টিকারী প্রোটিন হওয়ায়, এটি নিয়ে গবেষণা🔬 ভবিষ্যতে কার্যকর চিকিৎসা🩺 পদ্ধতি খুঁজে বের করতে সহায়ক হতে পারে।

```html

0.4 gm/litre NaOH দ্রবণের pH নির্ণয়

প্রথমে, NaOH দ্রবণের মোলারিটি নির্ণয় করি। সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের আণবিক ভর (NaOH) = 23 + 16 + 1 = 40 gm/mol 🤔

সুতরাং, 40 গ্রাম NaOH = 1 মোল

অতএব, 0.4 গ্রাম NaOH = \(\frac{1}{40} \times 0.4\) মোল = 0.01 মোল 😮

যেহেতু দ্রবণটি 1 লিটার, তাই NaOH এর মোলারিটি = 0.01 M 😊

NaOH একটি শক্তিশালী ক্ষার, তাই এটি সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হবে:

NaOH \(\rightarrow\) Na\(^+\) + OH\(^-\) 😉

সুতরাং, [OH\(^-\)] = 0.01 M 🤩

এখন, আমরা pOH নির্ণয় করি:

pOH = -log[OH\(^-\)] = -log(0.01) = -log(10\(^{-2}\)) = 2 😎

আমরা জানি, pH + pOH = 14 😇

সুতরাং, pH = 14 - pOH = 14 - 2 = 12 🥳

অতএব, 0.4 gm/litre NaOH দ্রবণের pH হল 12।

```

গ্লাইকোলাইসিস: কোষীয় শ্বসনের প্রথম ধাপ 🧪

গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) একটি অত্যাবশ্যকীয় বিপাকীয় পথ যা প্রায় সকল জীবন্ত কোষেই ঘটে। এটি কোষীয় শ্বসনের (Cellular Respiration) প্রথম পর্যায়। গ্লাইকোলাইসিসের মূল কাজ হলো গ্লুকোজকে ভেঙে পাইরুভেট (Pyruvate) উৎপাদন করা। এই প্রক্রিয়ায় সামান্য পরিমাণে ATP (এডেনোসিন ট্রাইফসফেট) এবং NADH (নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড) উৎপন্ন হয়, যা পরবর্তীতে কোষের শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। ⚡

গ্লাইকোলাইসিস কোথায় ঘটে? 📍

গ্লাইকোলাইটিক প্রক্রিয়াটি কোষের সাইটোপ্লাজমে (Cytoplasm) ঘটে। সাইটোপ্লাজম হলো কোষের নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থিত জেলির মতো একটি অঞ্চল, যেখানে বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গাণু (Cell organelles) বিদ্যমান। 🤔 যেহেতু গ্লাইকোলাইসিসের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক (Enzymes) সাইটোপ্লাজমে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে, তাই এই প্রক্রিয়াটি সাইটোপ্লাজমের মধ্যেই সম্পন্ন হয়।

গ্লাইকোলাইসিসের ধাপসমূহ: 👣

গ্লাইকোলাইসিস মূলত দশটি ধাপে সম্পন্ন হয়। নিচে ধাপগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হলো:

1. গ্লুকোজের ফসফোরিলেশন (Phosphorylation of Glucose)
2. গ্লুকোজ-৬-ফসফেট থেকে ফ্রুক্টোজ-৬-ফসফেটে রূপান্তর (Isomerization of Glucose-6-Phosphate to Fructose-6-Phosphate)
3. ফ্রুক্টোজ-৬-ফসফেটের ফসফোরিলেশন (Phosphorylation of Fructose-6-Phosphate)
4. ফ্রুক্টোজ-১,৬-বিসফসফেট এর বিভাজন (Cleavage of Fructose-1,6-Bisphosphate)
5. ডাইহাইড্রোক্সিঅ্যাসিটোন ফসফেট থেকে গ্লিসার‍্যালডিহাইড-3-ফসফেটে রূপান্তর (Isomerization of Dihydroxyacetone Phosphate to Glyceraldehyde-3-Phosphate)
6. গ্লিসার‍্যালডিহাইড-3-ফসফেটের জারন ও ফসফোরিলেশন (Oxidation and Phosphorylation of Glyceraldehyde-3-Phosphate)
7. 1,3-বিসফসফোগ্লিসারেট থেকে 3-ফসফোগ্লিসারেট উৎপাদন (Transfer of Phosphate from 1,3-Bisphosphoglycerate to ADP)
8. 3-ফসফোগ্লিসারেট থেকে 2-ফসফোগ্লিসারেটে রূপান্তর (Isomerization of 3-Phosphoglycerate to 2-Phosphoglycerate)
9. 2-ফসফোগ্লিসারেট থেকে ফসফোইনলপাইরুভেট উৎপাদন (Dehydration of 2-Phosphoglycerate to Phosphoenolpyruvate)
10. ফসফোইনলপাইরুভেট থেকে পাইরুভেট উৎপাদন (Transfer of Phosphate from Phosphoenolpyruvate to ADP)

গ্লাইকোলাইসিসের তাৎপর্য: ✅

• এটি শক্তি উৎপাদনের প্রাথমিক উৎস। 💪
• পাইরুভেট ক্রেবস চক্রে (Krebs Cycle) প্রবেশ করে আরও বেশি শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
• বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক যৌগ তৈরিতে গ্লাইকোলাইসিসের মধ্যবর্তী যৌগগুলো ব্যবহৃত হয়।

গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র: 🖼️

বৈশিষ্ট্য	বর্ণনা
স্থান (Location)	কোষের সাইটোপ্লাজম 📍
কাঁচামাল (Input)	গ্লুকোজ, ATP, NAD+
উৎপাদন (Output)	পাইরুভেট, ATP, NADH
অক্সিজেনের প্রয়োজন (Oxygen Requirement)	অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই (অনারোবিক) 🚫💨

আশা করি, গ্লাইকোলাইসিস সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। 😊 আরও কিছু জানতে চান? 🤔