ম্যাগনেটাইট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ আকরিক যা লোহা (Fe) এর প্রধান উৎস। এটি বিশেষ করে লোহা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
**উপযুক্ত ব্যাখ্যা:**
- **ম্যাগনেটাইট** মূলত একটি লোহার অক্সাইড (Fe₃O₄) যা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
- এটি **লোহার (Fe)** একটি ধাতু হিসেবে পরিচিত, যা বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যবহারিক।
- ম্যাগনেটাইট থেকে লোহা আলাদা করার জন্য বিভিন্ন রূপান্তর প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়, যেমন ব্লাস্ট ফার্নেসে গলানো।
**সারাংশ:**
| উপাদান | ব্যাখ্যা |
|---------|-----------|
| **Fe** | ম্যাগনেটাইটের মূল উপাদান, যা লোহার (Iron) প্রতীক। এটি লোহার আকরিক। |
অতএব, **ম্যাগনেটাইট কোন ধাতুর আকরিক?**
**উত্তর:** **Fe** (লোহা)।
মৌলের আইসোটোপের মূল কার্যকর সংখ্যার উপর নির্ভর করে **প্রোটনের সংখ্যা**। এর কারণ হলো, আইসোটোপ হলো একই মৌলের বিভিন্ন রূপ, যেখানে প্রোটনের সংখ্যা পরিবর্তিত হয় না, তবে নিউট্রনের সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
কার্বনের আইসোটোপগুলি সমস্তই 6 প্রোটন ধারণ করে, তবে নিউট্রনের সংখ্যা পরিবর্তিত হয় (উদাহরণস্বরূপ, কার্বন-12 ও কার্বন-14)।
প্রোটনের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলে মৌলটির পরিচিতি বদলায় না, তবে নিউট্রনের সংখ্যা পরিবর্তিত হলে আইসোটোপ তৈরি হয়।
সুতরাং, মৌলের আইসোটোপের মূল কার্যকর সংখ্যা হলো **প্রোটনের সংখ্যা**, কারণ এটি মৌলের মৌলিক পরিচিতি নির্ধারণ করে।
প্রশ্নের উত্তর হলো: আলফা, বিটা, গামা রশ্মি। এই তিনটি রশ্মি তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে নির্গত হয়। নিচে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
আলফা রশ্মি: এটি দুটি প্রোটন এবং দুটি নিউট্রনের সমন্বয়ে গঠিত। এটি খুবই ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যের এবং সহজে আবদ্ধ হতে পারে। আলফা বিকিরণ সাধারণত তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপর অবস্থান করে এবং শরীরের উপর খুব কম ক্ষতি করে যদি অন্যভাবে ভিতরে প্রবেশ না করে।
বিটা রশ্মি: এটি ইলেকট্রনের মতো ধনাত্মক বা ঋণাত্মক চার্জধারী কণিকা। বিটা বিকিরণ সাধারণত নিউক্লিয়াসের মধ্যে থেকে নির্গত হয় এবং শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে ক্ষতি করতে সক্ষম।
গামা রশ্মি: এটি উচ্চ শক্তির রেডিয়েশন, যা আলফা ও বিটার তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকর। গামা রশ্মি মূলত অতি শক্তিশালী ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ, যা ন্যূনতম বাধা পেয়েও গভীর থেকে গভীরতর অংশে প্রবেশ করতে সক্ষম।
সুতরাং, তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে নির্গত এই বিকিরণগুলোই মূলত তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হিসেবে পরিচিত।
মাইটোকন্ড্রিয়া হচ্ছে কোষের প্রধান শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র। এটি ইউক্যারিওটিক কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত ডিম্বাকৃতির অঙ্গাণু। এদেরকে কোষের পাওয়ার হাউস বা শক্তিঘর বলা হয়। নিচে এর গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করা হলো:
মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন 🔬
আকৃতি: সাধারণত ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকার। 🥚
আবরণী: দুটি ঝিল্লি দ্বারা বেষ্টিত – বহিঃঝিল্লি (outer membrane) ও অন্তঃঝিল্লি (inner membrane)।
ক্রিস্টি: অন্তঃঝিল্লিটি ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে ক্রিস্টি গঠন করে। 🧬
ম্যাট্রিক্স: ক্রিস্টির ভিতরের তরল পদার্থকে ম্যাট্রিক্স বলে। এতে বিভিন্ন এনজাইম, রাইবোসোম, DNA ও অন্যান্য উপাদান থাকে।
রাইবোসোম: মাইটোকন্ড্রিয়ার নিজস্ব রাইবোসোম (70S) আছে।
মাইটোকন্ড্রিয়ার কার্যাবলী ⚙️
শক্তি উৎপাদন: ক্রেবস চক্র (Krebs cycle) ও ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইনের (electron transport chain) মাধ্যমে ATP (অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট) তৈরি করে, যা কোষের প্রধান শক্তি উৎস। 🔋
কোষীয় শ্বসন: অক্সিজেন ব্যবহার করে খাদ্যকে জারিত করে শক্তি উৎপন্ন করে। 💨
ক্যালসিয়াম আয়ন নিয়ন্ত্রণ: কোষের মধ্যে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ⚖️
programmed cell death (apoptosis) নিয়ন্ত্রণ: কোষের স্বাভাবিক মৃত্যু প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 💀
হরমোন সংশ্লেষ: কিছু হরমোন সংশ্লেষে সাহায্য করে। hormone💊
মাইটোকন্ড্রিয়ার গুরুত্ব 🌟
মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এটি শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে কোষকে সচল রাখে। মাইটোকন্ড্রিয়ার কার্যকারিতা ব্যাহত হলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কিত কিছু তথ্য
বৈশিষ্ট্য
বর্ণনা
আবিষ্কারক
আলবার্ট ভন কলিকার (1857) 👨🔬
নামকরণ
কার্ল বেন্ডা (1898) ✍️
প্রধান কাজ
ATP উৎপাদন (শক্তি উৎপাদন) 💪
অবস্থান
ইউক্যারিওটিক কোষের সাইটোপ্লাজম 🌍
আশা করি মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছি। 👍
Options information ⤵️ (click here)
নিউক্লিয়াস: নিউক্লিয়াস কোষের কেন্দ্রীয় অঙ্গাণুটি, যা কোষের জেনেটিক তথ্য ধারণ করে।
পানি ও pH বজায় রাখা: নিউক্লিয়াসের মূল কাজের মধ্যে নয়, বরং এটি ডিএনএ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী।
অঙ্গাণু হিসেবে ভূমিকা: নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে কোষের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ হয়, তবে পানি ও pH এর মাত্রা ঠিক রাখতে অন্যান্য অঙ্গাণুগুলি বেশি কার্যকর।
মাইটোকন্ড্রিয়া হল কোষের একপ্রকার অঙ্গ, যা জীবনীশক্তি উৎপাদনে মূল ভূমিকা পালন করে।
এটি কোষের শক্তি কেন্দ্র (Powerhouse of the Cell) হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি এন্ট্রি করে শক্তি সংশ্লেষণে সহায়তা করে।
মাইটোকন্ড্রিয়া নিজেদের ডিএনএ ধারণ করে এবং নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন উৎপাদন করতে সক্ষম।
এটি প্রায় সব ধরনের ইওক্যারিয়টিক কোষে পাওয়া যায়, যেমন উদ্ভিদ, প্রাণী ও ছত্রাক কোষে।
মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে ক্রিয়াকলাপের জন্য বিভিন্ন ধরনের এনজাইম ও প্রোটিন রয়েছে যা শর্করা, ফ্যাট ও প্রোটিনের বিপাকের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করে।
রাইবোজোম: রাইবোজোম হল কোষে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য দায়ী অঙ্গানু। এটি সাধারণত কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত এবং দুটি ধরণের হতে পারে: ফ্রি রাইবোজোম এবং রিটিকুলার এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (ER)-এর সাথে যুক্ত রাইবোজোম।
অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য: রাইবোজোমের মধ্যে রাইবোজোমের উপাদানগুলি প্রধানত RNA এবং প্রোটিন। এগুলি ছোট, গোলাকার গঠন, যা প্রোটিন সংশ্লেষের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
অঙ্গানুর গঠন: রাইবোজোম সাধারণত দুটি উপাদানে গঠিত: ছোট এবং বড় উপাদান। এগুলি একসাথে জোড়া হয়ে কাজ করে, এবং এর মধ্যে RNA এর উপস্থিতি প্রোটিন সংশ্লেষণে সহায়ক।
অঙ্গানুর কার্যকারিতা: রাইবোজোমের মূল কাজ হল অ্যামিনো অ্যাসিডের যোগান দিয়ে প্রোটিন তৈরি করা, যা কোষের বিভিন্ন কার্যকলাপে ব্যবহৃত হয়।
লাইসোজোম: লাইসোজোম হল একটি অণুকোষী বা ইউক্যারিওটিক কোষে থাকা এক ধরনের অঙ্গাণু যা জীবাণু বা মৃত কোষের অঙ্গাণু ও কণিকাগুলি ভেঙে ফেলার জন্য কাজ করে।
ভিত্তি: লাইসোজোমের মধ্যে বিভিন্ন এঞ্জাইম থাকে, যেমন হাইড্রোলাইসিস এঞ্জাইম, যা পচনপ্রক্রিয়া চালায়।
গঠন: এটি সাধারণত গ্লাইকলিপিড দিয়ে আবৃত, যার ভিতরে এঞ্জাইম ও বিভিন্ন প্রকারের প্রোটিন থাকে।
কাজ: এটি জীবাণু বা মৃত কোষের অঙ্গাণু ভেঙে নতুন উপাদানে রূপান্তর করে, যা কোষের স্বাভাবিক কার্যকলাপে সহায়তা করে।
উপকারিতা: কোষের পরিপক্বতা ও পুনঃপ্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গলগি বডি (Golgi Apparatus) সম্পর্কে ব্যাখ্যা:
অবস্থান: গলগি বডি কোষের সেন্ট্রোলের কাছাকাছি অবস্থিত, সাধারণত পরিপাকতন্ত্রের পাশে দেখা যায়।
গঠন: এটি স্তরযুক্ত ঝিল্লিযুক্ত ভাস্কর্য, যা একাধিক স্ল্যাম বা স্তরের মতো দেখায়।
মূল কাজ:
প্রোটিন ও লিপিডের প্যাকেজিং ও ট্রান্সপোর্ট;
প্রোটিনের সংশোধন ও গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিতকরণ;
নতুন লিপিড ও প্রোটিন তৈরির জন্য সহায়তা।
অন্য নাম: এটি "সেলের প্যাকেজিং প্ল্যান্ট" বা "রিপোর্টিং স্টেশন" হিসেবেও পরিচিত।
সাধারণত পাওয়া যায়: সমস্ত ইউক্যারিওটিক কোষে, বিশেষ করে পশু ও উদ্ভিদ কোষে।
স্নায়ু কোষ, যা নিউরন নামেও পরিচিত, আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের মূল উপাদান। এই কোষগুলো সংবেদী অঙ্গ থেকে তথ্য গ্রহণ করে, সেগুলোকে প্রক্রিয়াকরণ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে। একটি নিউরনের প্রধান দুটি অংশ হলো:
কোষদেহ (Cell body): এটি নিউরনের মূল অংশ, যেখানে নিউক্লিয়াস এবং অন্যান্য অঙ্গাণু থাকে।
প্রলম্বিত অংশ (Projections): কোষদেহ থেকে নির্গত শাখা-প্রশাখা, যা অন্য নিউরনের সাথে সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করে। এর মধ্যে প্রধান হলো অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট।
অ্যাক্সন: বিস্তারিত আলোচনা 🔬
অ্যাক্সন হলো নিউরনের দীর্ঘ, নলাকার প্রলম্বিত অংশ। এটি কোষদেহ থেকে উৎপন্ন হয়ে অন্য নিউরন, পেশী বা গ্রন্থিতে সংবেদী তথ্য (স্নায়ু সংকেত) প্রেরণ করে। অ্যাক্সনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
দৈর্ঘ্য: অ্যাক্সনের দৈর্ঘ্য কয়েক মাইক্রোমিটার থেকে শুরু করে কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে! 📏
কাজ: এটি মূলত নিউরনের সংবেদী সংকেত পরিবহনকারী অংশ। 🚚
গঠন: অ্যাক্সন সাধারণত একটিমাত্র এবং লম্বা হয়। এর শেষ প্রান্তে সিনাপ্স (Synapse) গঠিত হয়, যা অন্য নিউরনের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। 🔗
মায়েলিন শীথ (Myelin Sheath): কিছু অ্যাক্সনের চারপাশে মায়েলিন শীথ নামক একটি চর্বিযুক্ত স্তর থাকে, যা সংকেত দ্রুত পরিবহনে সাহায্য করে। ⚡
অ্যাক্সনের গঠন এবং কার্যাবলী একটি টেবিলে:
বৈশিষ্ট্য
বিবরণ
গুরুত্ব
দৈর্ঘ্য
কয়েক মাইক্রোমিটার থেকে কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
সংবেদী সংকেত কত দূরে যাবে, তা নির্ধারণ করে।
কাজ
কোষদেহ থেকে সংবেদী সংকেত বহন করে।
স্নায়ু তাড়না পরিবহনের প্রধান মাধ্যম।
মায়েলিন শীথ
কিছু অ্যাক্সনের চারপাশে থাকে।
সংকেত দ্রুত পরিবহন করে। 🚀
সিনাপ্স
অ্যাক্সনের শেষ প্রান্তে গঠিত হয়।
অন্য নিউরনের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।🤝
সংক্ষেপে: অ্যাক্সন একটি নিউরনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সংবেদী সংকেত পরিবহনের মাধ্যমে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে সচল রাখে। 🎯
আশা করি, অ্যাক্সন সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছি। 😊 যদি আরও কিছু জানার থাকে, তবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। 👍
প্রশ্নের উত্তর হলো: ক্ষারীয় KMnO4 দ্রবণের সাহায্যে **অ্যামিনো গ্রুপযুক্ত যৌগ বা অ্যালকিন** সনাক্ত করা যায়। তবে, বিশেষ করে **এথিন (CH2=CH2)** এর ক্ষেত্রে, এটি ক্ষারীয় KMnO4 দ্বারা সহজেই অক্সিডাইড হয় এবং মূলত এর দ্বিগুণ বন্ধন ভেঙে যায়।
### ব্যাখ্যা:
- **ক্ষারীয় KMnO4** একটি শক্তিশালী অক্সিডাইজার।
- এটি সাধারণত অ্যালকিন বা অ্যালেনের দ্বিগুণ বন্ধনগুলোকে অ্যাসিড বা ক্ষারীয় পরিবেশে অক্সিড করে কার্বক্সিলিক অ্যাসিড বা কার্বক্সাইলেট যৌগে রূপান্তর করে।
- **এথিন (CH2=CH2)** এর ক্ষেত্রে, ক্ষারীয় KMnO4 এর উপস্থিতিতে এই দ্বিগুণ বন্ধন ভেঙে যায়, এবং ফলস্বরূপ কার্বক্সিলিক অ্যাসিড বা কার্বক্সাইলেট যৌগ গঠিত হয়।
### সারাংশ:
- **অ্যামিনো গ্রুপযুক্ত যৌগ বা অ্যালকিন** ক্ষারীয় KMnO4 দ্বারা সনাক্ত সম্ভব।
- **CH2=CH2** (এথিন) এর ক্ষেত্রে, এই যৌগটি এই অক্সিডাইজিং এজেন্ট দ্বারা সহজে অক্সিডেড হয় এবং সনাক্ত করা যায়।
অতএব, **ক্ষারীয় KMnO4** এর সাহায্যে **এথিন (CH2=CH2)** যৌগটি সনাক্ত করা যায়।
প্রোক্যাম্বিয়াম থেকে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন ধরণের টিস্যু, যার মধ্যে অন্যতম হলো জাইলেম।
**প্রোক্যাম্বিয়াম** হলো একটি মূল স্তর বা জৈবনিক স্তর যা অঙ্গের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এটি মূলত দুই ধরনের টিস্যু সৃষ্টি করে:
1. **জাইলেম (Xylem):**
- এই টিস্যুটি মূলত উদ্ভিদের মধ্যে জল ও খনিজ পদার্থ পরিবহণের জন্য দায়ী।
- এটি প্রোক্যাম্বিয়াম থেকে সৃষ্টি হয় এবং মূলত পানি এবং খনিজ উপাদান শস্য থেকে শাখা ও মূল পর্যন্ত সরবরাহ করে।
2. **ফ্লোয়েম (Phloem):**
- এটি উদ্ভিদের শর্করা ও অন্যান্য অণুগুলির পরিবহণ করে।
অতএব, **প্রোক্যাম্বিয়াম থেকে সৃষ্টি হয়** **জাইলেম**।
**উপসংহার:**
প্রোক্যাম্বিয়াম থেকে **জাইলেম** তৈরি হয়, যা উদ্ভিদের জল ও খনিজ পদার্থ পরিবহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মাইটোসিস একটি অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া যা জীবন্ত প্রাণীর দেহকোষ বিভাজনে ঘটে। এর মাধ্যমে একটি কোষ থেকে দুটি নতুন কোষ সৃষ্টি হয়, যাদের প্রত্যেকটিতে মাতৃকোষের সমান সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে। এটি বৃদ্ধি, উন্নয়ন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 💪
মাইটোসিসের পর্যায়সমূহ مراحل
প্রোফেজ (Prophase):
ক্রোমোজোমগুলো ঘনীভূত হতে শুরু করে এবং দৃশ্যমান হয়। 👀
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি (nuclear membrane) ভেঙে যেতে শুরু করে।
স্পিন্ডল ফাইবার (spindle fiber) গঠিত হতে শুরু করে।
মেটাফেজ (Metaphase):
ক্রোমোজোমগুলো কোষের কেন্দ্রে (equator) সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করে। 🧍♀️🧍
স্পিন্ডল ফ???ইবারগুলো ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের (centromere) সাথে যুক্ত হয়।
অ্যানাফেজ (Anaphase):
সেন্ট্রোমিয়ারগুলো আলাদা হয়ে যায় এবং সিস্টার ক্রোমাটিডগুলো (sister chromatids) দুটি বিপরীত মেরুর দিকে সরতে শুরু করে। ➡️⬅️
টেলোফেজ (Telophase):
ক্রোমাটিডগুলো মেরুতে পৌঁছায় এবং পুনরায় ক্রোমোজোমগুলো খুলে যায়।
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি গঠিত হয়। 🧅🧅
কোষ বিভাজন শুরু হয় (সাইটোকিনেসিস)।
মাইটোসিসের গুরুত্ব 🌟
বৃদ্ধি ও বিকাশ: ভ্রূণ থেকে শুরু করে একটি পূর্ণাঙ্গ জীব তৈরি পর্যন্ত মাইটোসিস কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। 👶➡️🧑
ক্ষয়পূরণ ও মেরামত: শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ক্ষত নিরাময় এবং টিস্যু পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। 🩹
অঙ্গ প্রতিস্থাপন: কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে, মাইটোসিস অঙ্গহানির পরে নতুন অঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে। 🦎
অযৌন প্রজনন: কিছু জীব, যেমন ব্যাকটেরিয়া, মাইটোসিসের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। 🦠
রবিন হিল ছিলেন একজন ব্রিটিশ উদ্ভিদ শরীরবিদ। তিনি ১৯৩৭ সালে প্রমাণ করেন যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় পানি অক্সিজেনের উৎস হিসাবে কাজ করে। তাঁর এই আবিষ্কার সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশার (Dark Phase) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল। 🌿
হিল-এর পরীক্ষার মূল বিষয়বস্তু 🔬
হিল ক্লোরোপ্লাস্টকে আলাদা করে নিয়ে আলোর উপস্থিতিতে বিভিন্ন জারক পদার্থ (Oxidant) ব্যবহার করেন এবং প্রমাণ করেন যে, জারক পদার্থগুলো বিজারিত হয় এবং অক্সিজেন নির্গত হয়। এই অক্সিজেন নির্গত হওয়ার উৎস পানি। নিচে পরীক্ষার মূল বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো:
উদ্ভিদ অঙ্গাণু: ক্লোরোপ্লাস্ট (Chloroplast)
আলো: প্রয়োজন (Essential) ☀️
জারক পদার্থ: যেমন ফেরিক অক্সালেট (Ferric Oxalate)
ফলাফল: অক্সিজেন উৎপাদন (Oxygen Production) 💨
পরীক্ষার পদ্ধতি ⚙️
প্রথমে, উদ্ভিদ কোষ থেকে ক্লোরোপ্লাস্ট আলাদা করা হয়।
এরপর, ক্লোরোপ্লাস্টকে একটি টেস্ট টিউবে রাখা হয়, যেখানে জারক পদার্থ মিশ্রিত দ্রবণ ছিল।
টিউবটিকে আলোর সামনে উন্মুক্ত করা হয়।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, দ্রবণটিতে অক্সিজেন উৎপন্ন হচ্ছে।
ফলাফল এবং ব্যাখ্যা 📊
হিলের পরীক্ষার ফলাফল স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে:
ক্লোরোপ্লাস্ট আলো ব্যবহার করে অক্সিজেন তৈরি করতে পারে।
এই অক্সিজেনের উৎস কার্বন ডাই অক্সাইড নয়, বরং পানি।
গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের তালিকা 📜
বৈশিষ্ট্য
বর্ণনা
বিজ্ঞানীর নাম
রবিন হিল
আবিষ্কারের সাল
১৯৩৭
বিষয়
সালোকসংশ্লেষে পানির ভূমিকা
তাৎপর্য
প্রমাণিত যে পানি অক্সিজেনের উৎস 💧
হিল রিঅ্যাকশন (Hill reaction) ⚛️
হিল রিঅ্যাকশন হলো সালোকসংশ্লেষণের আলোক দশার (Light Phase) একটি অংশ। 🌱 এটি প্রমাণ করে যে, আলো এবং ক্লোরোপ্লাস্টের উপস্থিতিতে পানি ভেঙে অক্সিজেন, প্রোটন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এই ইলেকট্রনগুলো পরবর্তীতে এটিপি (ATP) এবং এনএডিপিএইচ (NADPH) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ⚡
হিল রিঅ্যাকশন এর বিক্রিয়া : H₂O + A → AH₂ + 1/2 O₂
এখানে, A হলো ইলেক্ট্রন গ্রহণকারী।
উপসংহার 🎉
রবিন হিলের এই আবিষ্কার সালোকসংশ্লেষের প্রক্রিয়া বুঝতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে ??বং এটি উদ্ভিদ বিজ্ঞান এবং জীবরসায়নে একটি মাইলফলক। 🌟
প্রশ্ন: Riccia কোন জাতীয় উদ্ভিদ?
উত্তর: Riccia হলো ব্রায়োফাইটা শ্রেণীর উদ্ভিদ।
Riccia একটি জলজ বা স্থলজ উদ্ভিদ যা প্রধানত মুজগু বা প্রাচীন শাখার ব্রায়োফাইটা বিভাগের অন্তর্গত।
এই উদ্ভিদটি সাধারণত ছোটো ও সহজে দেখা যায়, এবং এর গঠন মূলত প্রাইমারী স্টেম ও অন্তঃকোষীয় শাখা দ্বারা গঠিত।
ব্রায়োফাইটা উদ্ভিদগুলি মূলত মাটির নিচে জড়িত বা জলজ উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত, যেখানে তারা জীবনচক্রে স্পোর উৎপাদন করে।
Riccia এর এই বৈশিষ্ট্যগুলো এটিকে ব্রায়োফাইটা শ্রেণীর উদ্ভিদ বলে চিহ্নিত করে।
উপযুক্ত ব্যাখ্যা>
প্রশ্নের উত্তর: **"প্যাকাইটিন"**
**ব্যাখ্যা:**
মিয়োসিসের বিভিন্ন উপপর্যায়ে কায়াজমা (কোম্বিনেশন বা ক্রসওভার) তৈরি হয়। বিশেষ করে, **মিয়োসিসের প্রথম ধাপ—মিয়োসিসের প্রোপ্যাজ ও মেটাপ্যাজ**তে কায়াজমা (ক্রসওভার) ঘটে। এই পর্যায়ে, হোমোলগাস ক্রোমোসোমের মধ্যে ক্রসওভার বা উপসর্গের বিনিময় হয়, যা জেনেটিক বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে।
তবে, প্রশ্নে উল্লেখিত **"প্যাকাইটিন" (Pachytene)** হলো **মিয়োসিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপপর্যায়**। এই সময়, হোমোলগাস ক্রোমোসোমের মধ্যে কায়াজমা বা ক্রসওভার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
**সারাংশ:**
- **প্যাকাইটিন** হলো মিয়োসিসের **প্রথম ধাপের** (প্রোপ্যাজ বা মেটাপ্যাজ) অন্তর্গত একটি সময়।
- এই পর্যায়ে, হোমোলগাস ক্রোমোসোমের মধ্যে **ক্রসওভার বা কায়াজমা** ঘটে।
- এই প্রক্রিয়াটি জেনেটিক বৈচিত্র্য বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
**সুতরাং,**
**মিয়োসিসের প্যাকাইটিন উপপর্যায়ে কায়াজমা বা ক্রসওভার তৈরি হয়।**
ম্যালেরিয়ার জীবাণু যখন মানবদেহে প্রবেশ করে, তখন এটি প্রথমে লিভারে বসবাস করে এবং সেখানে কিছু দিন বৃদ্ধি পায়। এই সময়ের মধ্যে ব্যক্তির শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। সাধারণত, এই লুকানো পর্যায় শেষ হলে, জীবাণু রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে এবং রক্তের লোহিত রক্তকণিকাগুলোতে আঘাত করে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সময়ের উপর নির্ভর করে, জ্বরের শুরু সাধারণত ঘটে:
প্রায় ১০ দিন পরে।
অর্থাৎ, যখন মানবদেহে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রবেশের পর প্রাথমিক লুকানো পর্যায় শেষ হয়, তখন থেকে আনুমানিক ১০ দিন পরে জ্বর দেখা দেয়। এই সময়ের মধ্যে রোগীর শরীরে অস্থিরতা ও অসুস্থতা শুরু হয়, যা ম্যালেরিয়ার মূল উপসর্গ।
Options information ⤵️ (click here)
ম্যালেরিয়ার জীবাণু যখন মানবদেহে প্রবেশ করে, তখন এটি প্রথমে লিভার কোষে বৃদ্ধি পায়।
প্রথম কয়েকদিনের মধ্যে এটি লিভার থেকে রক্তে রূপান্তরিত হয় এবং ট্রান্সমিশন শুরু করে।
এই পর্যায়ে, রোগীর শরীরে কোনও স্পষ্ট লক্ষণ দেখা দেয় না, বা খুবই সূক্ষ্ম লক্ষণ থাকতে পারে।
সাধারণত, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় একদিনের মধ্যেই, ফলে জ্বরের লক্ষণ প্রথম দেখা যায় খুব দ্রুত।
ম্যালেরিয়ার জীবাণু যখন মানবদেহে প্রবেশ করে, তখন এটি রক্তে প্রবেশের জন্য কিছু সময় নেয়।
প্রথম কিছু দিন, জীবাণু গাঢ় হয় এবং শরীরের অভ্যন্তরে বিভাজিত হয়।
প্রায় ১-2 দিনের মধ্যে, এই জীবাণু রক্তে উপস্থিত হয়ে জ্বরের লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে।
এটি সাধারণত দ্রুত সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয় এবং জ্বরের প্রারম্ভিক সময়ের মধ্যে অনুভূত হয়।
ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানবদেহে প্রবেশের পরে, এটি লিভারে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে।
এই সংক্রমণের পরে সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে, কিছু প্রকারের ম্যালেরিয়ার জীবাণুর ক্ষেত্রে, জ্বরের উপসর্গের শুরু হতে পারে তিনদিনের মধ্যে।
এটি নির্ভর করে জীবাণুর ধরণ ও সংক্রমণের গভীরতার উপর।
ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানবদেহে প্রবেশের পর প্রাথমিকভাবে লুকানো থাকে এবং তখন কোনও উপসর্গ দেখা যায় না।
এটি সাধারণত লুকানো অবস্থায় থাকাকালীন সময়কে "ইনকিউবেশন পিরিয়ড" বলা হয়।
এটি সাধারণত ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ৭ থেকে ২১ দিনেও হতে পারে।
এই সময়ের মধ্যে, জীবনচক্রের বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন হয় এবং পরবর্তীতে জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়।
অতএব, সাধারণত ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রবেশের ১০ দিন পরে জ্বর শুরু হয়।
ম্যালেরিয়ার জীবাণু শরীরে প্রবেশের পরে সাধারণত চার থেকে দুটি সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয়।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কিছু ধরণের প্লাসমোডিয়াম জীবাণুর ক্ষেত্রে, লক্ষণের দেখা দেয়ার সময়কাল অনেক বেশি হতে পারে।
ত্রিশ দিন বা তার বেশি সময় লাগতে পারে জীবাণুর পুরোপুরি বিকাশ এবং লক্ষণ প্রকাশের জন্য।
এটি একটি কম সাধারণ পরিস্থিতি, তবে এটি সম্ভব যখন ইনকিউবেশন পিরিয়ড দীর্ঘ হয়।
মাটির pH মান কত থাকা উচিত, তা নির্ভর করে মাটির ধরনের এবং গাছের প্রকারের উপর। সাধারণত, বেশিরভাগ গাছপালা ভালো ফলন ও সুস্থতার জন্য নিরপেক্ষ বা সামান্য ক্ষারীয় মাটির প্রয়োজন হয়। নিচে এর কারণ ও বিবরণ দেওয়া হলো:
pH ৭-৮: এই স্তরটি সাধারণত নিরপেক্ষ থেকে হালকা ক্ষারীয়। এই স্তরে মাটি বিভিন্ন ধরনের গাছের জন্য উপযুক্ত, কারণ এতে পুষ্টির শোষণ সহজ হয়।
অতিরিক্ত অ্যাসিড বা ক্ষারীয়তা: যদি pH খুব বেশি কম (অর???থাৎ অম্লীয়) বা বেশি বেশি (অর্থাৎ ক্ষারীয়) হয়, তবে গাছের পুষ্টি শোষণে বাধা সৃষ্টি হয়।
উপযুক্ত পিএইচ মানের গুরুত্ব: সঠিক pH মান গাছের জন্য উপকারী উপাদানের উপলব্ধতা নিশ্চিত করে, যেমন নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি।
সারসংক্ষেপে, মাটির pH ৭ থেকে ৮ এর মধ্যে থাকলে গাছের জন্য পুষ্টির শোষণ ও বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা ফলনের মান উন্নত করে।
অভিযোগ: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণকারী ইনসুলিন উৎপন্ন হয় কোথায়?
উত্তর: অগ্নাশয়েব্যাখ্যা: ইনসুলিন হলো একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার (গ্লুকোজ) পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি মূলত অগ্নাশয় (প্যানক্রিয়াস) নামে একটি অঙ্গের লিভার বা লিভার-সদৃশ অঙ্গের আইলোয়েড ব্যাল্ডের কোষ দ্বারা উৎপন্ন হয়। এই ইনসুলিন শরীরের কোষগুলোকে গ্লুকোজ গ্রহণে সাহায্য করে, ফলে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অগ্নাশয় হলো সেই অঙ্গ যেখানে ইনসুলিন তৈরি হয়।
ইনসুলিন উৎপন্ন হয় আইলোয়েড বাল্বের কোষ থেকে।
এই হরমোনটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
শ্বসন প্রক্রিয়ার বাহ্যিক প্রভাবক: অক্সিজেনের ভূমিকা 🫁💨
শ্বসন একটি অত্যাবশ্যকীয় জৈবিক প্রক্রিয়া যা জীবন্ত কোষগুলির মধ্যে শক্তি উৎপাদনের জন্য ঘটে। এই জটিল প্রক্রিয়াটি অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় কারণের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এখানে, অক্সিজেনের (O2) একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহ্যিক প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা আলোচনা করা হলো:
অক্সিজেন: প্রধান বাহ্যিক প্রভাবক 🎯
অক্সিজেন শ্বসন প্রক্রিয়ার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি মূলত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে প্রভাব ফেলে:
গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis): যদিও গ্লাইকোলাইসিস অক্সিজেনের উপস্থিতি ছাড়াই সাইটোপ্লাজমে ঘটে,পরবর্তীতে অক্সিজেনের অভাব হলে এই ধাপে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়।
ক্রেবস চক্র (Krebs Cycle) ও ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইন (Electron Transport Chain): এই দুটি পর্যায় মাইটোকন্ড্রিয়ায় ঘটে এবং সম্পূর্ণরূপে অক্সিজেনের উপর নির্ভরশীল। অক্সিজেন ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইনের শেষ ইলেকট্রন গ্রহণকারী হিসেবে কাজ করে, যা ATP ( Adenosine Triphosphate) তৈরির জন্য অত্যাবশ্যক। ATP হলো কোষের প্রধান শক্তি মুদ্রা। 💰
অক্সিজেনের অভাবের প্রভাব 📉
শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে শ্বসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, যার ফলস্বরূপ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে:
শক্তি উৎপাদন হ্রাস: অক্সিজেনের অভাবে ATP উৎপাদন কমে যায়, ফলে কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। 😓
অ্যাণারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration): অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে কোষগুলি অ্যাণারোবিক শ্বসন শুরু করে, যা ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে। এর ফলে পেশীতে ব্যথা ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। 😫
কোষের ক্ষতি: দীর্ঘ সময় ধরে অক্সিজেনের অভাব থাকলে কোষের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, এমনকি কোষের মৃত্যুও ঘটতে পারে। 💀
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা: মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে অজ্ঞান হওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া সহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। 💔
অক্সিজেনের গুরুত্ব: একটি টেবিলে 📊
বৈশিষ্ট্য
অক্সিজেনের উপস্থিতি
অক্সিজেনের অনুপস্থিতি
ATP উৎপাদন
বেশি (প্রায় 36-38 ATP)
কম (2 ATP)
শেষ উৎপাদ
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) ও পানি (H2O)
ল্যাকটিক অ্যাসিড (Lactic Acid)
দক্ষতা
উচ্চ
নিম্ন
সারসংক্ষেপ 📝
অক্সিজেন শ্বসন প্রক্রিয়ার একটি অত্যাবশ্যকীয় বাহ্যিক প্রভাবক। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং শক্তি উৎপাদন বজায় রাখা সম্ভব। অক্সিজেনের অভাব শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই, সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ করা জরুরি। 👍